Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আটাব নির্বাচনে ব্যাপক ভাঙচুর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া আহত ৫

আটাব গণতান্ত্রিক সচেতন পরিষদ এগিয়ে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বহিরাগত ক্যাডারদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ভাঙচুরের মধ্যে দিয়ে গতকাল অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতাকারী দুটি প্যানেলের দুই প্রার্থীর হাতাহাতিকে কেন্দ্র বহিরাগত ক্যাডার ও সমর্থকদের মধ্যেও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং বিল বোর্ড ও ব্যানার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। দু’পক্ষের বিলবোর্ড ভাঙচুর ও ব্যানার-পোস্টার ছিড়ে ফেলা হয়। এতে কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছে। এসময়ে উপস্থিত একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার এক জন সাংবাদিক তার মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ভাঙচুরের ছবি তুলতে গেলে বহিরাগত ক্যাডাররা তার মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা চালায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় প্রায় এক ঘন্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ রাখা হয়। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভোট গননায় বায়রার সাবেক মহাসচিব ও আটাব গণতান্ত্রিক সচেতন পরিষদ এর প্যানেল প্রধান মনছুর আহামেদ কালামের দল এগিয়ে রয়েছে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল সকাল ৯ টা থেকে আটাব নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্মেলন কেন্দ্রসহ আশেপাশের এলাকায় সাজসাজ রব দেখা যায়। কেন্দ্রের ভেতর ও বাইরে বিলবোর্ড ও ব্যানার, পোস্টারে ছেয়ে যায়। নির্বাচনে আটাব গণতান্ত্রিক সচেতন পরিষদ ও আটাব গণতান্ত্রিক ঐক্য ফ্রন্ট নামে দুটি প্যানেল প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে। সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট চললেও বিকেল পৌনে তিনটার দিকে হঠাৎ করেই উত্তেজনা দেখা দেয়। গণতান্ত্রিক ঐক্যফ্রন্টের মঞ্জুর মোর্শেদ মাহবুুবের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম চৌধুরী কেন্দ্রের মধ্যে ঢুকে বেআইনী ভাবে ভোটারদের বুথ পর্যন্ত প্রচারণা চালাতে থাকলে গণতান্ত্রিক সচেতন পরিষদের প্রার্থী ও আটাব নেতা আব্দুল মতিন ভুঁইয়া তাকে বাধা দেন। তাকে সেখান থেকে বাইরে আনার চেষ্টাকালে দুজনের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গণতান্ত্রিক ঐক্যফ্রন্টের প্যানেল প্রধান মঞ্জুর মোর্শেদ মাহবুবের ভাই আলো প্রায় দেড় শতাধিক বহিরাগত ক্যাডার নিয়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে দুইতলায় কেন্দ্রের মধ্যে ঢুকে হট্টগোল করতে থাকে। পরে গণতান্ত্রিক সচেতন পরিষদের কর্মী-সমর্থকরা সেখানে উপস্থিত হলে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ শুরু করলে দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকরা নীচে নেমে আসতে বাধ্য হন। এতে ৫ জন আহত হয়। পরে নীচে নেমেও তারা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া করতে থাকেন। এ সময় দুই প্যানেলের বিলবোর্ড ভাংচুর ও ব্যানার-পোস্টার ছিড়ে ফেলার ঘটনা ঘটে। হট্টগোলকালে প্রায় এক ঘন্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখে নির্বাচন বোর্ড। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে ৩ টা ২৫ মিনিটে আবার ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
নির্বাচনে ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম মিলে মোট দুই হাজার ১২৯ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক হাজার ৭২৯ জন, চট্টগ্রামে ২৪৬ জন ও সিলেটে ১৬৪ জন ভোটার রয়েছেন। সম্মেলন কেন্দ্রের দুই তলায় নির্বাচনী কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। ঢাকার ভোটাররা এ কেন্দ্রে সকাল থেকেই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে থাকেন। এ সময় দুটি প্যানেলের পক্ষে সাদা ও সবুজ টি-শার্ট গায়ে দেয়া কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক নীচে ও দুই তলায় তাদের অভ্যর্থনা জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ