২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
জীবনের জন্যে প্রয়োজন রক্ত। রক্তের বিকল্প শুধু রক্ত। অপারেশনের জন্যে, হিমোফেলিয়া, থ্যালাসেমিয়া বা দুর্ঘটনার কারণে রক্তক্ষরণ হলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন প্রয়োজন হয়। শুধু রক্ত হলেই হবে না, জীবনের জন্যে চাই বিশুদ্ধ রক্ত। রক্ত দিন জীবন বাঁচান । রক্ত দিতে আপনার সদিচ্ছাই যথেষ্ট । রক্ত দিতে ৫-৭ মিনিট সময় লাগে। আমাদের প্রায় সময়ই মুমূর্ষ রোগীর জন্য রক্তের প্রয়োজন হয়। তবে রক্ত গ্রহণ করার আগে জানা দরকার তা কতটুকু নিরাপদ। আসুন জেনে নেই রক্ত গ্রহণ সম্পর্কিত কিছু তথ্য । রক্তদাতার যোগ্যতা: রক্তদাতার বয়স হতে হবে ১৮-৫২ বছর। * রক্তদাতার ওজন : পুরুষ-৪৮, মহিলা-৪৫ কেজি, তবে বিশেষ উপাদানের ক্ষেত্রে ওজন ন্যূনতম ৫৫ কেজি। * কোন এন্টিবায়োটিক না নিলে রক্ত দেয়া যাবে। রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকলে । * মোট কথা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে। রক্তদানের ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখান-জ্বর- ভাইরাস জ্বর-সুস্থ হওয়ার ৭ দিন পর রক্ত দেয়া উচিত । ডেঙ্গুজ্বর হওয়ার কমপক্ষে ৬ মাস পর । ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হলে সুস্থ হওয়ার কমপক্ষে ১২ মাস পর। টাইফয়েড আক্রান্ত হলে সুস্থ হওয়ার কমপক্ষে ৬ মাস পর । ডায়রিয়ার ৩ সপ্তাহ পর। বসন্তের ক্ষেত্রে সুস্থ হওয়ার কমপক্ষে ৬ মাস পর। য²ার ক্ষেত্রে পূর্ণমাত্রার ওষুধ সেবনের ২ বছর পর। চর্মরোগজনিত সমস্যায় রক্তনালী আক্রান্ত না হলে কেউ রক্ত দিতে পারবে । কারও হাঁপানি হলে সে যদি ইনহেলার নেয় বা নিয়মিত ওষুধ সেবন করে তবে রক্ত দিতে পারবে। ডায়াবেটিস হলে ওষুধ চলা অবস্থায় দিতে পারবে না। তবে খাবার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বøাড গøুকোজ স্বাভাবিক থাকলে দিতে পারবে। রক্তস্বল্পতা হলে কেউ রক্ত দিতে পারবে না। মৃগীরোগ হলে না দেয়া উচিত। অ্যাকজিমা থাকলে রক্ত দেয়া যাবে না। কান বা নাক ফোড়ালে আগে স্ক্রিনিং করে নিতে হবে। অভ্যাসগত ঃ রক্তদানের আগে ধূমপান না করা উচিত, রক্তদানের পর কমপক্ষে ১ ঘন্টা ধূমপান করা যাবে না। অ্যালকোহল পানের ৭২ ঘন্টার মধ্যে রক্তদান করা উচিত নয়। ওষুধ সেবন : অ্যান্টিবায়োটিক নিলে শেষবার সেবনের কমপক্ষে ১ সপ্তাহ পর। অপারেশন করলে সুস্থ হওয়ার ১ বছর পর। রক্তগ্রহণ করলে কমপক্ষে ১ বছর পর। দাঁতের চিকিৎসাঃ ফিলিং-১দিন, রুট ক্যানেল-৩দিন পর। হেপাটাইটিস ঃ হেপাটাইটিসএ,ই-সুস্থ হওয়ার ৬ মাস পর। হেপাটাইটিস বি,সি আক্রান্তরা কখনও রক্ত দান করতে পারবেন না। টিকা গ্রহণ : ইনফ্লুয়েঞ্জা, টিটেনাস, জ্বর ও কোনো উপসর্গ না থাকলে দিতে পারবে। বসন্ত, পোলিও, হেপাটাইটিস, মেনিনজাইটিস হলে ৪ সপ্তাহ পর। নারীদের ক্ষেত্রে : অন্ত:সত্ত¡ারা রক্ত দিতে পারবেন না। সন্তান জন্মদানের ৬ মাস পর দিতে পারবে। তবে বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো অবস্থায় দিতে পারবে না। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মাসিক চলাকালীন রক্ত না দেয়াই ভালো। জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়া অবস্থায়ও রক্ত দিতে বাধা নেই। যারা কখনোই রক্ত দিতে পারবে না: এইচআইবি পজেটিভ রোগীরা। * সিরিঞ্জের মাধ্যমে মাদক নিলে। * ক্যান্সার, হৃদরোগ, বাতজ্বর, সিফিলিস (যৌন রোগ), কুষ্ট বা শ্বেতী রোগীরা। * রক্তজনিত রোগীরা। জেনে রাখা ভালো, রক্ত দিলে বাঁচে প্রাণ তাই জীবনের জন্যে চাই বিশুদ্ধ রক্ত। স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের পরীক্ষিত রক্তই হতে পারে এর একমাত্র সমাধান। বংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়।
ষ ডা: মাও: লোকমান হেকিম
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।