পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডিগ্রী পাসের খড়গে বারো শ’ রিক্রুটিং এজেন্সি : তিনশ’ মহিলা এজেন্সি বন্ধের আশঙ্কা
সউদী আরবের বৃহৎ শ্রমবাজার নিয়ে অশনি সঙ্কেত দেখা দিয়েছে। বারো শ’ রিক্রুটিং এজেন্সি ডিগ্রী পাসের সার্টিফিকেট জমা দেয়ার খড়গে পড়েছে। ঢাকাস্থ সউদী দূতাবাস থেকে হঠাৎ এক বিশেষ সার্কুলারে কতিপয় কাগজপত্রের সাথে প্রত্যেক রিক্রুটিং এজেন্সি’র স্বত্বাধিকারীর ডিগ্রী পাসের সার্টিফিকেট জমা দেয়ার আজ বৃহস্পতিবার ডেট-লাইন বেধে দেয়া হয়েছে। এতে বারো শ’ বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি বিপাকে পড়েছে। সউদী আরবে মহিলা কর্মী প্রেরণকারী প্রায় তিনশ’ রিক্রুটিং এজেন্সিও চরম হতাশায় ভুগছেন। এ ধরনের শর্ত বাস্তবায়ন করা হলে জনশক্তি রফতানিতে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে। এতে মহিলা রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর ভাগ্যেও অনিশ্চয়তা দেখা দিবে। জনশক্তি রফতানিকারকরা এ ধরনের অযৌক্তিক শর্ত অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারের জোর দাবী জানিয়েছেন। গতকাল পর্যন্ত হাতে গোনা কিছু রিক্রুটিং এজেন্সি ডিগ্রী পাসের সার্টিফিকেট সউদী দূতাবাসে জমা দিতে পেড়েছে। প্রায় ৯০ শতাংশ রিক্রুটিং এজেন্সি’র স্বত্বাধিকারী’র ডিগ্রী পাসের সার্টিফিকেট নেই।প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি’ও ডিগ্রী পাসের সার্টিফিকেট জমা দেয়ার সার্কুলার জারি হওয়ায় হতবাক হয়েছেন। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী গত ৬ নভেম্বর তার দপ্তরে বায়রার নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপকালে সউদী দূতাবাসের ঐ সার্কুলার প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের জাতীয় সংসদ সদস্যগণের মধ্যেও অনেক সদস্যগণের ডিগ্রী পাসের সার্টিফিকেট নেই। আমাদের সম্মানীত সংসদ সদস্যগণ তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে দেশের জনগনের সেবা করে যাচ্ছেন। প্রবাসী মন্ত্রী ডিগ্রী পাসের সার্টিফিকেট দূতাবাসে জমার দিকনিদের্শনায় সৃষ্ট সংকট দ্রæত সমাধানের জন্য সউদী দূতাবাসের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। এ সময়ে বায়রার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, বায়রার সভাপতি বেনজীর আহমদ, সহ-সভাপতি-২ কাজী মোহাম্মদ মফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি -৩ মোহাম্মদ আব্দুল হাই ও বায়রার কার্যনিবার্হী কমিটি’র সদস্য মোহাম্মদ নূরুল আমিন। ধর্ম মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় ষ্ট্যান্ডিং কমিটি’র সভাপতি ও সউদী-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রæপের চেয়ারম্যান বিএইচ হারুন এমপি’ও ডিগ্রী পাসের সার্টিফিকেট জমা দেয়া সংক্রান্ত নোটিশ প্রত্যাহারের জন্য সউদী দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতের সাতে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
যুগ যুগ ধরে এসব রিক্রুটিং এজেন্সি স্বত্বাদিকারীরা তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে সুনামের সাথে সউদী আরবে জনশক্তি রফতানি করে আসছে। সউদী’র শ্রমবাজারকে ধ্বংস করার জন্য এ ধরনের অযৌক্তিক শর্তাবলী জারি করা হয়েছে। ডিগ্রী পাস সার্টিফিকেট জমা দেয়ার সিদ্ধান্তকে কেউ কেউ কালো আইন বলেও উল্লেখ করেছেন। পৃথিবীর কোনো দেশে জনশক্তি রফতানি করতে কোনো বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিকে দূতাবাসে ডিগ্রী পাসের সার্টিফিকেট জমা দেয়ার রীতিনীতি নেই। সউদী’র বৃহৎ শ্রমবাজারে কার ইশারায় এসব সার্কুলার জারি করা হচ্ছে তা’ খতিয়ে দেখা উচিৎ। কোনো রিক্রুটিং এজেন্সি’র স্বত্বাধিকারী কি সউদী দূতাবাসে চাকুরি করার জন্য আবেদন করতে যাচ্ছেন যে তাদের কাছে ডিগ্রী পাসের সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। এধরনের অযৌক্তিক সার্কুলার কোনো দিনই বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। এতে ভ্রাতৃ-প্রতীম সউদী আরবের সাথে বাংলাদেশের সুসর্ম্পকে বিনষ্ট করার জন্য আশংকা রয়েছে। ডিগ্রী পাসের সার্টিফিকেট দূতাবাসে জমা দেয়ার সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক হিসেবে উল্লেখ করে তা’ অনতিবিলম্বে বাতিলের দাবী জানিয়েছেন একাধিক জনশক্তি রফতানিকারক। গণতান্ত্রিক দেশে সকল সাধারণ নাগরিকের ব্যবসা করার অধীকার রয়েছে। ব্যবসা করতে ডিগ্রী পাসের সার্টিফিকেট থাকতে হবে তা’ কোনো বিধিমালায় এমন দিকনিদের্শনা নেই। সরকার এ ধরনের শর্তের ভিত্তিতে কোনো রিক্রুটিং লাইসেন্স দেয়নি। অভিজ্ঞ মহল এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
দীর্ঘ দিন সউদী আরবে অলিখিতভাবে জনশক্তি রফতানি বন্ধ থাকার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাপক কূটনৈতিক উদ্যোগের পর ২০১৫ সাল থেকে পুরোপুরি সউদীতে কর্মী প্রেরণ শুরু হয়। ২০১৫ সালে সউদীতে ৫৮ হাজার ২শ’ ৭০ জন কর্মী চাকুরি লাভ করে। ২০১৬ সালে সউদী আরবে মহিলা কর্মীসহ ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯শ’ ১৩ জন কর্মী চাকুরি লাভ করে। গত জানুয়ারী থেকে গত ৭ আগষ্ট পর্যন্ত সউদীতে ৩ লাখ ২ হাজার ২শ’ ৭৩ জন কর্মী চাকুরি লাভ করে। এসময়ে ৪৩ হাজার ৭শ’ ৪৪ জন শুধু মহিলা কর্মীই চাকুরি লাভ করেছে।
সনজুরী ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী ও হাবের সাবেক মহাসচিব শেখ আব্দুল্লাহ গতকাল বুধবার ইনকিলাবকে বলেন, জনশক্তি রফতানি কার্যক্রমে ডিগ্রী পাসের সার্টিফিকেট দূতাবাসে জমা দেয়ার নির্দেশনাকে কালো আইন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের দিকনির্দেশনা কোনো মতেই বাস্তবায়ন সম্ভব না। তিনি বলেন, ডিগ্রী পাসের সার্টিফিকেট কোন যুক্তিতে দূতাবাসে জমা দিবো। আমরা কি দূতাবাসে চাকুরির জন্য আবেদন করতে যাচ্ছি ? তিনি বলেন, জনশক্তি রফতানিকারকরা তাদের মেধা ও যোগ্যতার বলে যুগ যুগ ধরে ব্যবসা করে রেমিটেন্স খাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন। ডিগ্রী পাস বিহীন হাজার হাজার শিল্প-কারখানা, গামের্ন্টস শিল্পের মালিক-পাটনাররা যোগ্যতার বলে জাতীয় অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখছেন। তিনি উল্লেখিত শর্তাবলী অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারের জন্য সউদী রাষ্ট্রদূতের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বায়রার সহ-সভাপতি কাজী মোহাম্মদ মফিজুর রহমান বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে সকল নাগরিকের ব্যবসা করার অধিকার রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ডিগ্রী পাসের সার্টিফিকেট দূতাবাসে জমা দেয়ার নিদের্শনা জারি অযৌক্তিক । বিষয়টি নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি যাতে না হয় আজ বৃহস্পতিবার সউদী দূতাবাসের সাথে বায়রা নেতৃবৃন্দের দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে উল্লেখিত সংকট নিরসন হবে বলে বায়রা সহ-সভাপতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বায়রার সাবেক সভাপতি এম এ এইচ সেলিম ডিগ্রী সাটিফিকেট দূতাবাসে জমা দেয়ার নোটিশ সর্ম্পকে কোনো মতামত ব্যক্ত করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, আমি জনশক্তি রফতানির ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছি। লাব্বায়েক ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী ও হাবের সাবেক সভাপতি আলহাজ জামাল উদ্দিন আহমেদ মোল্লা ইনকিলাবকে বলেন, সউদী’র শ্রমবাজার ধ্বংস করার জন্য একটি চক্র ডিগ্রী পাসের সার্টিফিকেট দূতাবাসে জমা দেয়ার সার্কুলার জারি করতে ইন্দোন যুগিয়েছে। এর পেছনে সুবিধাবাদী চক্রের একটি মতলব রয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ কূটনৈতিক উদ্যোগের কারণে ভ্রাতৃ-প্রতীম সউদী আরবের সাথে বাংলাদেশের সুসর্ম্পক বজায় রয়েছে। কুচক্রি মহলের ইশারায় ভ্রাতৃ-প্রতীম সউদীর সাথে সুসর্ম্পক অবনতির জন্যই এ ধরনের অযৌক্তি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে আলহাজ জামাল উদ্দিন আহমেদ মোল্লা বলেন, সউদী দূতাবাসের কাজ হচ্ছে ভিসা স্ট্যাম্পিং-এর কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা। কোন এজেন্সি ডিগ্রী পাস করেছে কিনা তা’ দেখার দায়িত্ব সউদী দূতাবাসের নয়। তিনি বলেন, আমরা (জনশক্তি রফতানিকারকরা) কি সউদী দূতাবাসে চাকুরি করতে যাচ্ছি যে আমাদের ডিগ্রী পাসের সার্টিফিকেট থাকতে হবে। এ ধরনের সার্কুলার জারি করে সউদী’র বৃহৎ শ্রমবাজারকে নস্যাৎ করা যাবে না। ওয়েল্যান্ড ওভারসীজের ম্যানেজিং পার্টনার আলহাজ এম ডি শাহ আলম ভূঁইয়া বলেন, ডিগ্রী পাসের সার্টিফিকেট না হলে জনশক্তি রফতানি করা যাবে না এ ধরনের ভয়-ভীতি দেখানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। কোনো স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে ডিগ্রী পাসের সার্টিফিকেট জমার নিদের্শনা দেয়া হয়েছে কি না তা’ খতিয়ে দেখা উচিৎ। তিনি বলেন, সাবেক বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী জন মেজরেরও ডিগ্রী পাস ছিলেন না। তাতে কি তিঁনি রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছিলেন মোটেই নয়। এতেই বুঝতে হবে ডিগ্রী পাস সাটিফিকেট থাকলেই ব্যবসায়ে সফলতা আসবে তা’ সঠিক চিন্তা নয়। আল-রাবেতা ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজিং পার্টনার ও বায়রার সাবেক যুগ্ন-সচিব-১ আলহাজ আবুল বাশার ইনকিলাবকে বলেন, বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি’র মালিকরা অত্যান্ত সুনামের সাথে সউদী আরবে দীর্ঘ দিন যাবত কর্মী প্রেরণ করে আসছেন। অধিকাংশ জনশক্তি রফতানিকারকের ডিগ্রী পাসের যোগ্যতা নেই। এ ধরনের আদেশ কার্যকরী করা হলে শ্রমবাজার নিয়ে সংকট সৃষ্টি হবার আশংকা রয়েছে। যে হেতু ভ্রাতৃ-প্রতীম সউদী আরবের সাথে বাংলাদেশের দীর্ঘ দিনের সুসর্ম্পক রয়েছে সেক্ষেত্রে সউদী রাষ্ট্রদূত বিষয়টি অনুধাবন করে ডিগ্রী পাসের সার্টিফিকেট জমা দেয়ার আদেশ প্রত্যাহার করবেন বলেও আলহাজ আবুল বাশার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ওভারসীজ প্রোমটরস লি:-এর স্বত্বাধিকারী আবুল হোসেন বলেন, ১৯৯২ সাল থেকে সউদী আরবে জনশক্তি রফতানির ব্যবসা সুনামের সাথে করে আসছি কোনো সমস্যা হয়নি। এখন কোন যুক্তিতে ডিগ্রী পাসের সার্টিফিকেট চাওয়া হচ্ছে তা’ বোধগম্যনয়। ফিজিওন ওভারসীজের ম্যানেজিং পার্টনার সালেহ আহমেদ ইনকিলাবকে বলেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার দশ সিন্ডিকেট চক্র দখল করে নিয়েছে। এখন সউদী আরবের বৃহৎ শ্রমবাজার একচেটিয়া দখল করার জন্য একটি সুবিধাবাদী গোষ্ঠী দূতাবাস থেকে ডিগ্রী সার্টিফিকেট জমা দেয়ার সার্কুলার জারি করেছে কি না তা’নিয়ে অনেকের মাঝে সংশয় দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৯৫% রিক্রুটিং এজেন্সি’র মালিক-পার্টনারের ডিগ্রী পাসের যোগ্যতা নেই। এসব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি’র মালিক-পার্টনাররা এতো দিন জনশক্তি রফতানিতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছেন। র্দীঘ দিন পরে অথাৎ ৩০/৩৫ বছর সুনামের সাথে ব্যবসা করার পর হঠাৎ ডিগ্রী পাসের সার্টিফিকেট তলব করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। তিনি এ ধরনের হয়রানিমূলক নোটিশ অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারের জন্য সউদী রাষ্ট্রদূতের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। মেট্রোপলিটন ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: তাজুল ইসলাম বলেন, সরকারের নীতিমালায় রিক্রুটিং লাইসেন্স দেয়ার সময়ে ডিগ্রী পাসের কোনো শর্ত ছিল না। জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনেও ডিগ্রী পাসের যোগ্যতা অর্জনের কোনো নীতিমালা নেই। সেক্ষেত্রে দীর্ঘ দিন পরে হঠাৎ ডিগ্রী পাসের সার্টিফিকেটের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু তা’ বিবেচনার বিষয়। তিনি এ ধরনের হয়রানিমূলক সার্কুলার প্রত্যাহার করে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার অনুরোধ জানান। বায়রার সভাপতি বেনজীর আহমদ ইনকিলাবকে বলেন, ১৯৭৮ সাল থেকে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো সউদী আরবে সুনামের সাথে কর্মী নিয়োগ করে আসছে। হঠাৎ সউদী দূতাবাস কেন ডিগ্রী পাসের সার্টিফিকেট জমা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে তা’ বোধগম্য নয়। বায়রা সভাপতি বলেন, ভ্রাতৃ-প্রতীম সউদী আরবের সাথে বাংলাদেশের চমৎকার সর্ম্পক বিরাজ করছে। তিনি বলেন, আমরা ডিগ্রী পাসের সার্টিফিকেট জমা দেয়ার আদেশ প্রত্যাহারের জন্য সর্বাত্বক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সউদী দূতাবাসের কাউন্সিলরের সাথে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে উল্লেখিত সংকট নিরসনের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বলেও বায়রা সভাপতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া গত ৭ নভেম্বর বায়রার মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি ও ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. নমিতা হালদারের সাথে দেখা করে সউদী দূতাবাসের ডিগ্রী পাসের সাটিফিকেট সর্ম্পকিত বিজ্ঞপ্তি সর্ম্পকে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান। প্রবাসী সচিব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক মহাপরিচালকের সাথে টেলিফোনে বিষয়টি অবহিত করে দ্রæত সমাধানের অনুরোধ জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।