Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাঙ্গ হলো বিপিএল সিলেট অধ্যায়

ফয়সাল আমীন : | প্রকাশের সময় : ৯ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সাঙ্গ হলো বিপিএল সিলেট অধ্যায়। ক্রিকেট প্রেমীদের উম্মাদনার মধ্যে দিয়ে বর্ণাঢ্য সমাপ্ত হলো সিলেটে। শেষ হলেও ‘সিলেট সিক্সার্স’ সাথেই থাকছে বিপিএলের। ‘লাগলে বাড়ি বাউন্ডারী’ স্লোগানে মাঠ কাঁপিয়ে স্মরনীয় করেও রেখেছে সিলেট সিক্সার্স। তাদের লড়াই এখন একটি গর্বিত ইতিহাস, রানের চূড়ায় ওঠে সিলেট সিক্সার্স পেয়েছে হ্যাটট্রিক জয়! ৪ম্যাচের ৩টিতেই টানা দাপুটে জয়রথ (গতকালের আগ পর্যন্ত)। এতে মহা-আনন্দে সিলেটের দর্শক। উম্মাদনার উত্তলতায়, সিলেটে ভাসছে। উচ্ছ্বাসে, উদ্ভাসিত গোটা সিলেট। কেন্দ্রবিন্দু দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে জমকালো আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)।
চার পেরিয়ে এবার পাঁচে পড়েছে এ আসরের ‘বয়স’। কিন্তু গেল চারটি আসরের একটিও সিলেটের অনিন্দ্য সুন্দর মাঠে গড়ায়নি। অথচ প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ-সুবিধাই ছিল এখানে। বিপিএলের ম্যাচ না হওয়ায় এখানকার ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যে ছিল ক্ষোভ, ছিল হতাশা। সেই ক্ষোভ-হতাশা মুছে প্রথমবারের মতো সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএল। গেল শনিবার দুপুরে সিলেট সিক্সার্স ও ঢাকা ডায়নামাইটসের ম্যাচ দিয়ে যখন বিপিএলে পর্দা ওঠে, এর অনেক আগে থেকেই বিপিএল উন্মাদনায় মেতে ওঠে পুরো সিলেট। পাড়ার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বাড়ির বসার কক্ষ, সবখানেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল বিপিএল। টিকেট নিয়ে ক্রীড়াপ্রেমীদের কাড়াকাড়ি, হাহাকার, ক্ষোভ-বিক্ষোভ সবই ছিল। যারা টিকেট পেয়েছেন, গ্যালারিতে তাদের সরব উপস্থিতি আরো যেন রাঙিয়ে দিয়েছিল ক্রিকেটের সবচেয়ে রঙিন সংস্করণের টুর্নামেন্ট বিপিএলকে।
বিপিএল নিয়ে আনন্দরেণু ছড়িয়ে পড়েছিল সিলেটের অলিগলিতে। ঘরের দল সিলেট সিক্সার্সের দারুণ সাফল্য এখানকার ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যে ছড়িয়েছে অন্যরকম এক আবহ। গত ক’দিন কানায় কানায় পরিপূর্ণ স্টেডিয়ামের গ্যালারি উল্লাসে মেতেছে চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে। নগর পথের আইল্যান্ড গুলোতে টানানো ‘ব্যাটে আগুন ঝরাতে, সিলেট সিক্সার্স আইলো মাঠে’ স্লোগান সম্বলিত বিল বোর্ড। নজর কাড়া সেই স্লোগান শততে শত হয়ে মাঠে বাস্তব করেছে সিলেট সিক্সার্স’র খেলোয়াড়রা। সেই রোমাঞ্চে বিমোহিত গ্যালারির আঠার হাজার দর্শক। স্বপ্নে নয় বাস্তবতার এমন মিলন ডিংগিয়ে, সিলেট অধ্যায় শেষ হয়ে গেল বিপিএলের। অধ্যায় শেষ হলেও নতুন করে আশা জেগেছে সিলেটের দর্শকদের। বিপিএলের পথে ধরে আন্তুর্জাতিক ম্যাচ হবে সিলেটে। সেই ম্যাচ গুলোর অনুপ্রেরনা, উৎসবে তারা হবে অংশিদার। বিপিএল উৎসবে নতুন নতুন অভিজ্ঞতায়, সিক্ত হয়ে সিলেটের ক্রিকেটমোদীরা।
ব্যাটে বলে ছক্কা-চারের কৌশলী তান্ডবে মাঠ কাঁপিয়েছেন ক্রিকেটাররা। সেই সাথে গ্যালারি মাতাচ্ছেন লাস্যময়ীর টিভি প্রেজেন্টার জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া। টিভিতে ক্রিকেটপ্রেমীদের সাথে গ্যালারিতে বসা দর্শকদের যোগসূত্র ঘটছে তার উপস্থাপনায়। ম্যাচ চলাকালে বিভিন্ন সময় দর্শকদের উচ্ছ্বাস ও প্রত্যাশা ফুটে উঠছে পিয়ার মাধ্যমে। শুধু দর্শক নয়, ম্যাচ নিয়ে টিম সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মকর্তাদের হিসাব-নিকাশ এবং চাওয়া পাওয়া সবাই জানতে পারছে পিয়ার উপস্থাপনায়। মাঠে ও গ্যালারিতে পিয়ার সাথে রাশিয়ান সুন্দরী অ্যালিনাকেও দেখা গেছে। স্টুডিওতে বিপিএল উন্মাদনা ছড়াচ্ছেন সামিয়া আফরিন, মারিয়া নূর, তানিয়াসহ আরও কয়েকজন। সবকিছু মিলে নতুন অভিজ্ঞতার মিশেলে ক্রিকেটের নতুন যুগের সূচনা ঘটেছে সিলেটে।
সূচনার অন্যতম এ অলংকার বিসিবির দু-দু’বারের পরিচালক, জেলা আ’লীগ নেতা শফিউল আলম নাদেল। ক্রীড়ানুরাগী নাদেল এখন ক্রিকেটের অন্যতম এক সহায়ক শক্তি। তাই বিশেষ করে ক্রিকেটের কোন টুর্নামেন্ট মানেই থাকবে নাদেলের অপরিহার্যতা। বিপিএল ঘিরে একই বাস্তবতা। তাই বিপিএল উম্মাদনার, আনন্দ- উচ্ছ্বাস ও কালো মেঘের ছায়াও স্পর্শ করে আছে তাকে । টিকেট কেন্দ্রিক নানা অনিয়ম, বিশৃংখলায় সন্দেহের তীর তার দিকেই। দলের বা দলের বাইরে লোকজনও তার উপর ক্ষুব্ধ। তারা আশা করেছিলেন, নাদেলের হাত ধরে বিপিএল উৎসব হবে সার্বজনীন, কিন্তু তা হয়নি। বিপিএল বয়কট করেছে আ’লীগ। নিজ দলে লোকজন যেখানে প্রকাশ্য বিক্ষুব্ধ, সেখানে বাকীদের অবস্থা সহজে অনুমেয়। সিলেট ক্রিকেটের অগ্র-দূত এনামুল হক জুনিয়র, রাজেন সালেহও টিকেট পাননি। কিন্তু টিকেট নিয়ে শৃংখলা নিশ্চিত করতে পারলেই, অনন্য হয়ে যেতেনে বিপিএলের সাথে নাদেলও।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিপিএল

১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
১৪ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ