Inqilab Logo

শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

৯ নভেম্বর আশুগঞ্জের দ্বিতীয় ভৈরব রেল সেতুর উদ্বোধন, ট্রেন চলাচল শুরু

উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০১৭, ৪:২৭ পিএম

আগামী ৯ নভেম্বর উদ্বোধন হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের মেঘনা নদী উপর নির্মিত দ্বিতীয় ভৈরব দ্বিতীয় রেল সেতু। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথম চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেস টেনটি সেতুটি দিয়ে চলাচল করে। আগামী ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী সেতুটি উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। এর মধ্যে ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে সেতুটির ভৈরব প্রান্তে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, গনভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের দিল্লী থেকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটি উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন সেতুটির প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হাই। তিনি জানান, সেতুটি চালু হওয়াতে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-নোয়াখালীসহ পূর্বাঞ্চলীয় জোনের মধ্যে ট্রেন চলাচলের নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট কমে যাবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম যাতায়াতে করা যাবে ৪ ঘণ্টা ৫৫ মিনিটে। সেতু দুটি চালু হলে ঢাকা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ডাবল লাইনে কোন প্রকার ক্রসিং ছাড়াই ট্রেন চলাচল করবে।
জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইরকন-এফকন জেভি’র সাথে দ্বিতীয় ভৈরব সেতু নির্মাণ প্রকল্পের চুক্তি হয়। একই বছরের ২৫ ডিসেম্বর প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ব্রডগেজ লাইন নির্মাণে দৈর্ঘ্য ৯৮৪ মিটার সেতুটির প্রকল্প ব্যয় প্রথমে ধরা হয়েছে ৫৬৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা। ৩ বছরের প্রকল্পে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কয়েক দফা সময় নিয়ে ৪ বছরের মাথায় সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করেছে ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইরকন অ্যান্ড এফকনস জেভি কোং। সময় বাড়ানোর ফলে সেতুটির নির্মাণ ব্যয়ও বেড়ে প্রকল্প ব্যয় হিসেবে দাঁড়িয়েছে ৬১৫ কোটি টাকা। সেতুর ১২টি পিলারের মধ্যে ৮টি মেঘনা নদীতে পড়েছে। ভৈরব ও আশুগঞ্জ সীমানায় রয়েছে আরও ৪টি পিলার। এর আগে মঙ্গলবার সকালে সেতুটিতে কয়েকবার যাত্রীবাহী ট্রেন চালিয়ে পরীক্ষা করা হয়। কন্টেইনার ট্রেনটি পরীক্ষামূলক ভাবে চালানোর জন্য ঢাকা থেকে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মঙ্গলবার ভৈরবে রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছান। এরা হলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের চিফ অপারেটিং সুপারিন্টেনডেন্ট (সিওপিএস) মো. মিয়াজান, বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান, বিভাগীয় প্রকৌশলী আহসান জাবির, বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. শফিকুর রহমান, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী জয়দুল ইসলাম এবং মো. রফিকুল ইসলাম।
দ্বিতীয় তিতাস ও দ্বিতীয় ভৈরব সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক ও রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) আব্দুল হাই জানান, দ্বিতীয় ভৈরব সেতু নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শেষ করা হয়েছে। এবং শুক্রবার সকাল থেকে সেতুটি দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রেন চলাচল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ