পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংঘাত নয়, সমঝোতার দরজা খোলা রাখার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংঘাতের উস্কানি দিয়ে, সমঝোতার পরিবেশ সৃষ্টি হয় না।
ফেনীর সাজানো হামলার ঘটনা সংঘাতের উস্কানি। সংঘাতের উস্কানি দিয়ে সমঝোতা হবে না। গতকার বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত ‘নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগের ১১ দফা জনগণের প্রস্তাব’ শীর্ষক সেমিনারে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব, আপনাদের মুখের সংলাপের কথা ও মনের কথার সাথে যোজন যোজন দূরত্ব। আপনারা যখন সমঝোতার কথা বলেন, তখন আমাদের ভাবতে হয় এটা কি আপনাদের মনের কথা, নাকি মুখের কথা?
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক দলগুলোর মধ্যে একটা কাজের সমঝোতা আমরা চেয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী গণভবনে বেগম জিয়াকে ডেকেছিলেন। এরপরও আপনার নেত্রীর ছেলের (খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো) মৃত্যুর পর তাঁকে সমবেদনা জানতে তার বাড়িতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেদিন আপনারা যে আচরণ করেছেন, যারা করে তারাতো সমঝোতায় বিশ্বাস করে না। এ দরজা কি করে খুলব তা আপনারা ভাবুন।
জীবনের ভয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেতা রোহিঙ্গাদের ত্রাণ দিতে কক্সবাজার যাওয়ার পথে ফেনীতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার আসল খবর বের হয়ে গেছে বলেও সেমিনারে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। টেলিফোনালাপের উল্লেখ করে তিনি বলেন, থলের বিড়াল অবশেষে মিউউ ডেকেছে।
ঢাকা ফেরার পথে খালেদা জিয়ার গাড়ি বহর ফেনীর মহিপাল পার হওয়ার পর দুটি বাসে ককটেল হামলা ও বাস দুটিতে আগুন দেয়ার বিষয়ে কাদের বলেন, গাড়ি পোড়ানো তো বিএনপির পুরানো অভ্যাস। এটা আওয়ামী লীগের ট্র্যাক রেকর্ডে নেই। পরিকল্পিতভাবে রংসাইডে বাস রাখা হয়েছিল এবং পরিকল্পিতভাবে হামলার নাটক করেছে। তা পুলিশের রিপোর্টেই এসেছে।
এ ঘটনায় দুই একটি পত্রিকার রিপোর্টের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এসব পত্রিকা আমাদের বিরুদ্ধে নেমেছে। তারা বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে আদাজল খেয়ে নেমেছে। তিনি বলেন, ঠিক আছে তারা তা করতেই পারে। তারা কোন দলকে সমর্থন করতেই পারে। কিন্তু রাতকে দিন, দিনকে রাত কিংবা তিলকে তাল বানানো বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা নয়। ফেনীর ঘটনাকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে আওয়ামী লীগের উপর দায় চাপানো হয়েছে।
সিইসির ‘রাজনৈতিক’ বক্তব্যের সমালোচনা
‘বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা’, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সা¤প্রতিক এমন বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন কোন দলীয় বক্তব্য দিয়ে রাজনীতির চর্চা করে নিজেদের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করুক তা আমরা চাই না। কিন্তু বিএনপি এমন একটা নির্বাচন কমিশন চায় যেন বিএনপি যেনতেন ভাবে ক্ষমতায় আসতে পারে।
জিয়াউর রহমানের ভূমিকা উল্লেখ করে কাদের বলেন, জাতির পিতার হন্তারকদের পুরস্কৃত ও পুর্নবাসন করে তিনি বহুদলীয় প্রবর্তন করেন? শত শত সেনা অফিসার, জোয়ানদের হত্যা করে তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন করেন? বাংলাদেশের উচ্চ আদালত যাকে বলেছে অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুর্নঃপ্রবর্তক? এমনকি প্রধান বিচারপতির এসকে সিনহা ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন সেখানেও তাকে (জিয়াউর রহমান) অবৈধ ক্ষমতা দখলদার বলেছেন। এমন হাস্যকর দাবিতো বিএনপি করেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে আমরা (আওয়ামী লীগ) যে প্রস্তাব দিয়েছি তা জনস্বার্থে আর বিএনপি যা দিয়েছে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বার্থে। তিনি বলেন, আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক। নির্বাচনের মাধ্যমে তারা যে জনপ্রিয়তা যাচাই করতে চাচ্ছেন, তা যাচাই করুক। আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন চাই অন্য কিছু চাই না। নির্বাচন কমিশন কোনো দলের পক্ষ নেয়ার দরকার নেই। আমরা চাই নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করুক।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এইচটি ইমামের সভাপতিত্বে সেমিনারে দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাবেক বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, মেজর জেনারেল (অব.) একে মোহাম্মদ আলী শিকদার, সাবেক বিচারপতি মমতাজউদ্দিন আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনজরুল আহসান বুলবুল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সঞ্চালনা করেন দলের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রিয়াজুল কবীর কাওছার প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।