পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রকে হৃুঁশিয়ার করে বলেছে,আফগানিস্তানের ক্রমবর্ধমান প্রাণঘাতী যুদ্ধের অবসান ঘটাতে রাজনৈতিক আলোচনার জন্য এগিয়ে যেতে হলে দু’দেশের মধ্যে মধ্যে বিরোধ নয়,সহযোগিতা প্রয়োজন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন তার প্রথম পাকিস্তান সফরে মঙ্গলবার ইসলামাবাদে এসে পৌঁছার পর এক বৈঠকে তাকে এ কথা জানানো হয় বলে পাকিস্তানী কর্মকর্তারা জানান। টিলারসন প্রধানমন্ত্রী শহীদ খাকান আব্বাসীর নেতৃত্বে পাকিস্তানের বেসামরিক ও সামরিক নেতাদের সাথে বৈঠকে মিলিত হন।
বৈঠকে আঞ্চলিক সন্ত্রাস দমন প্রচেষ্টা এবং আফগান সরকার ও তালিবানের মধ্যে শান্তি আলোচনা জোরদার করা নিয়ে আলোচনা হয়। টিলারসন তার ৪ ঘন্টার এ সঅরে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারল কামার জাভেদ বাজওয়ার সাথে বৈঠক করেন। সামরিক প্রতিষ্ঠানের প্রধানের বিরুদ্ধে তালিবান নেতাদের সাথে গোপনে সম্পর্ক রাখা ও তাদের আশ্রয় দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। টিলারসন পাকিস্তান ভূখন্ডে থাকা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পাকিস্তানের প্রতি আহবান জানান। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যদি পাকিস্তান সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র অন্যভাবে তা করবে। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর সোমবার টিলারসনের সাথে বাজওয়ার আলোচনাকে স্পষ্ট, অকপট ও সরল বলে ভয়েস অব আমেরিকাকে (ভোয়া) জানান।
শান্তি প্রক্রিয়া
গফুর বলেন, জেনারেল বাজওয়া টিলারসনকে বলেছেন, সহযোগিতা আমাদের সামনে এগিয়ে নেবে,সংঘাত বা বিরোধ কোনো কাজে আসবে না। পাকিস্তান পুনরায় জোর দিয়ে বলেছে যে তারা আফগান নেতুত্বে ও আফগানদের উদ্যোগে সূচিত শান্তি প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে এবং যুদ্ধাবসানের পতে অগ্রসর হতে সমঝোতাই উপায় বলে বিশ^াস করে।
সেনাবাহিনী মুখপাত্র বলেন, আমরা আমাদের অংশের ( সীমান্তে আমাদের দিকের অংশের) কাজ আমরা সম্পন্ন করেছি । আমরা পাকিস্তানের স্বার্থ সর্বোচ্চে রেখে এ অঞ্চলে টেকসই শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভ‚মিকা পালন করব। পাকিস্তান তার মাটিতে সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয় দেয়ার কথা নাকচ করে দিয়ে বলে,তার নিরাপত্তা বাহিনী দেশকে জঙ্গিমুক্ত করেছে।
তিনি বলেন,, অন্যান্য অংশীদারদেরও একটি পন্থা গ্রহণ করা উচিত যা আফগানিস্তানে শান্তি ও সমাঝোতা প্রতিষ্ঠাকে উৎসাহিত করে।
পাকিস্তানের কর্মকর্তারা বলেন, মার্কিন প্রসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনও তালিবানকে আলোচনার টেবিলে আনার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে তাদের পূর্বসূরিদের মতই সামরিক ক্ষমতার উপরই নির্ভর করছ্ েযদিও তারা জানে যে গত ১৬ বছর ধরে এ নীতি কাজ করেনি।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে পাকিস্তানের একজন কর্মকর্তা ভোয়াকে বলেন, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) সমঝোতার পথে যেতে চায়, তবে ফল লাভের জন্য তাদের বর্তমান কৌশল পর্যালোচনা করা উচিত।
তিনি আরো বলেন, তালিবানকে শান্তি প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত করার জন্য উৎসাহিত করতে আফগান সরকারের অনেক কিছু করা প্রয়োজন।
পাকিস্তানের কর্মকর্তারা মনে করেন, কাবুল ও ওয়াশিংটনের কর্মকর্তাদের তালিবানকে প্রথমে একটি শান্তি সংলাপের প্রস্তাব দেয়া উচিত। এ জন্য বিদ্রোহীদের কাতার ভিত্তিক রাজনৈতক অফিসকে ব্যবহার করা যেতে পারে। এ সংলাপ প্রস্তাব যারা সমঝোতার বিরোধী তাদের থেকে যারা আলোচনার পক্ষে এমন তালিবান নেতাদের পৃথক করতে সাহায্য করতে পারে এবং শেষ পর্যন্ত তা যার শান্তির পক্ষে নয় তাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের যৌক্তিকতা দেবে।
কর্মকর্তারা স্বীকার করেন যে একটি আফগান শান্তি প্রক্রিয়া কিভাবে শুরু হবে সে ব্যাপারে সে বিষয়ে ইসলামাবাদ ও ওয়াশিংটনের মধ্যে ব্যাপক মতপার্থক্য রয়েছে। গত সপ্তাহের আলোচনা এ বিষয়ে দু’পক্ষকে কাছে আনেনি।
ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক প্রভাব
পাকিস্তান রাশিয়া, চীন ও ইরানের সাথে তালিবানের ক্রমবর্ধমান সংযোগের কথা উল্লেখ করে বলে, আফগান সরকারের সাথে আলেচনায় বসার জন্য তালিবানকে প্রভাবিত করতে পাকিস্তানে বদলে এ সব দেসই ভালো অবস্থানে রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাকিস্তানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা ভোয়াকে বলেন, তালিবানের উপর পাকিস্তানের প্রভাব সম্পর্কে ওয়াশিংটনে প্রায়ই অতিরিক্ত ধারণা করা হয়।
পাকিস্তান সফরোত্তর মন্তব্যে টিলারসন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ব্যাক চ্যানেল-এর মাধ্যমে ও দোহা অফিস মারফত তালিবানের সাথে যোগাযোগ রেখেছে। তিনি বলেন, আফগান সরকারে বিদ্রোহীদের একটি ভ‚মিকা থাকা প্রয়োজন।
টিলারসন শুক্রবার জেনেভায় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় বলেন, আপনারা দয়া করে আসুন। আপনারা দয়া করে আসুন ও সরকারে আপনাদের জায়গা নিন। তবে আপনাদেরকে অবশ্যই এ শর্তে আসতে হবে যে আপনারা সন্ত্রাস পরিত্যাগ করবেন, আপনারা সহিংস উগ্রবাদকে পরিত্যাগ করবেন এবং আপনারা আর কখনো এ পথ গ্রহণ করবেন না।
তিনি আরো বলেন, তালিবানকে আলোচনার টেবিলে টেনে আনার পরিস্থিতি সৃষ্টি ককরতে আফগান সরকারের বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে।
তালিবান দীর্ঘদিন থেকে বলে আসছে যে আমেরিকা ও ন্যাটো সৈন্যরা আফগানিস্তান ত্যাগ এবং আফগানদের একটি রাজনৈতিক সমঝোতা প্রক্রিয়া র্নিারণ করতে না দেয়া পর্যন্ত তারা কোনো শান্তি আলোচনায় যোগ দেবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।