পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ভেবেছিলেন কক্সবাজারে যাওয়ার পথে লাখ লাখ মানুষের ঢল নামবে। কিন্তু কোথাও জনতার ঢল দেখা যায়নি। বিএনপি চেয়ারপারসন বিশাল গাড়িবহর নিয়ে ত্রাণ দিতে যাওয়ায় রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এর প্রভাবে কম করে হলেও সাত দিন ত্রাণ কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটবে বলে মনে করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ(বিআরটিএ) কার্যালয়ে এক সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ত্রাণ দিতে গিয়ে তিনি (খালেদা জিয়া) ত্রাণ সরবরাহের পথ বন্ধ করে দয়েছেন। পুরো সাত দিন রাস্তা অচল করে রেখেছেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ভেবেছিলেন (কক্সবাজার যাওয়ার পথে) লাখ লাখ মানুষের ঢল নামবে। কিন্তু কোথাও জনতার ঢল দেখা যায়নি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন, খালেদা জিয়া ১০ হাজার রোহিঙ্গাকে ত্রাণ দিয়েছেন। আর আওয়ামী লীগ দিনে ২০ হাজার রোহিঙ্গাকে ত্রাণ দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে যখন বর্তমান সরকার সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে, তখন খালেদা জিয়া ধন্যবাদ না জানিয়ে উল্টো সরকারকে ব্যর্থ বলছেন। এর বিচার জনগণই করবে। প্রসঙ্গত: বিএনপি চেয়ারপারসন গত শনিবার দুপুরে কক্সবাজারের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। শনিবার চট্টগ্রামে রাতযাপন করে রবিবার রাতে তিনি কক্সবাজারে পৌঁছেন। সার্কিট হাউজে রাতযাপন শেষে সোমবার দুপুরে তিনি কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন এবং ত্রাণ বিতরণ করেন। রোহিঙ্গাদের দেখতে যাওয়ার পথে ফেনী ও মিরসরাইয়ে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পরস্পরকে দোষারোপ করছে। এছাড়া পথে পথে হাজার হাজার কর্মী সমর্থক খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান।
খালেদা জিয়ার এই সফরের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বেগম জিয়া দুই মাস পর দেশে এসে রোহিঙ্গাদের জন্য মায়াকান্না করছেন। তাঁর রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে মন থেকে টান থাকলে এতদিন ধরে লন্ডনে বসে থাকতেন না।
সড়ক পরিবহণমন্ত্রী বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) সাত দিন লাগিয়ে কক্সবাজার গিয়েছেন। এই সাত দিনে কম করে হলেও দশ লাখ টাকার ত্রাণ বিভিন্ন সংস্থা থেকে রোহিঙ্গাদের উদ্দেশ্যে যেত। তার গাড়িবহরের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে এক ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। কম করে হলেও সাত দিনের জন্য ত্রাণ সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।