বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শফিকুল ইসলাম বেবু, কুড়িগ্রাম থেকে : কুড়িগ্রামের উলিপুরে অসময়ে তিস্তা নদীর অব্যাহত ভাঙনে ২টি গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ২টি স্কুল ও ৬৫টি পরিবারের বসতভিটা সহ ১শ’ হেক্টর আবাদী জমির আধা পাকা ফসল নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙনে বাস্তভিটা হারিয়ে দিশেহারা এসব পরিবার খোলা আকাশের নীচে অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছেন। বাস্তভিটা হারা মানুষজনের অভিযোগ এখন পর্যন্ত কেউ তাদের খোঁজ খবর নেয়নি।
উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নে তিস্তা নদী ভাঙ্গন কবলিত হোকডাঙ্গা মাঝিপাড়া গ্রামে সরোজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে মানুষজন তাদের ঘরবাড়ী সরাতে ব্যস্ত। দিশেহারা মানুষজন জানায়, প্রতিদিন ভাঙনের কবলে পড়ে ৮-৯ টি করে বাড়ীঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ভাঙনে জোয়ান সতরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিন চর হোকডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ হোকডাঙ্গা মাঝিপাড়া ও ডাক্তার পাড়া নিশ্চিহের পথে। ভাঙনে ৬৫টি পরিবারের ঘরবাড়ী নদীগর্ভে বিলীন হয়ে সর্বশান্ত হয়েছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে ওই এলাকার সংরক্ষিত ইউপি সদস্য তারামনির বাড়ীসহ ভারতপাড়া, দালাল পাড়া ও হোকডাঙ্গা পাঠোয়ারী পাড়া গ্রামের ৮০টি পরিবারের ঘরবাড়ী ক্ষেত খামার ও ধানি ফসলের জমি। ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষের অভিযোগ গত এক সপ্তাহ ধরে এ গ্রামে নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। আমারা সব কিছু হারিয়ে দিশেহারা। কিন্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের কেউ তাদের পাশে দাঁড়ায়নি। ফলে তারা খোলা আকাশের নীচে অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন।
নদী ভাঙনে সর্বশান্ত হয়েছেন ওই গ্রামের ভক্ত চন্দ্র বর্ম্মন (৪২), মহুবুবার রহমান (৬০) ও সচিন্দ্র চন্দ্র বর্ম্মন (৫৫) জানান, গত ২৫ অক্টোবর রাতে ভাঙ্গনের মুখে তাদের ১টি করে ঘর সরাতে পেরেছেন বাকী ঘর ভেসে গেছে। এখন সড়কের উপর ঝুপড়ি করে পরিবার নিয়ে মানবেতন জীবন যাপন করছেন। বিধবা সুচিত্রা রানীর ১টি ঘর সে ঘরের শুধু বেড়া রক্ষা করতে পেরেছেন, কিন্ত ভেসে গেছে ঘরের চাল। এখন অন্যের বাড়ীতে আশ্রীত। এদিকে উপজেলার তিস্তা নদীর কবলে বজরা, দলদলিয়া, গুনাইগাছ ও ব্রহ্মপুত্র নদের হাতিয়া, সাহেবের আলগা, বেগমগঞ্জ, বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের ভাঙ্গনের খবর পাওয়া গেছে।
থেতরাই ইউনিয়নের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য তারামনি জানায়, তার নিজের বাড়ী ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে। বিষয়টি চেয়ারম্যান ও ইউ এন ওকে জানিয়েছি। থেতরাই ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী জানান, ওই এলাকায় ভাঙন চলছে। তিনি তাৎক্ষনিক ভাবে বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম সোমবার নদী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন হোকডাঙ্গা গ্রামের ভাঙন বিষয়ে তিনি অবগত আছেন। আগামী বর্ষার আগেই ওই এলাকায় ভাঙ্গনরোধে কাজ হবে বলে জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।