Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে চীন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০১৭, ২:১৬ পিএম | আপডেট : ৫:৩৭ পিএম, ২৯ অক্টোবর, ২০১৭

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিং চিয়াং। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসির সম্মেলন কক্ষে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সঙ্গে একটি প্রকল্পের চুক্তি সই অনুষ্ঠানে এ আশ্বাস দেন তিনি। চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশ বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে। আমরা কথা দিচ্ছি বাংলাদেশের পাশে থাকব। আশা করি এই সমস্যা যথাসম্ভব দ্রুত ও শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হবে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয়েই আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র। তাই আশা করব দুই রাষ্ট্র বসে সমাধান করবে। ইতোমধ্যে আলোচনার মাধ্যমে কিছু দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আজম উপস্থিত ছিলেন।

মহেশখালীর গভীর সমুদ্র থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত তেল পরিবহণে ৪৬ দশমিক ৭ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দিয়েছে চীনা এক্সিম ব্যাংক। প্রতি ডলার সমান ৮০ টাকা ধরে বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৩ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা। ‘ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপ লাইন’ প্রকল্পের আওতায় ঋণ দিচ্ছে চীন। মহেশখালী থেকে চট্টগ্রাম বন্দর পর্যন্ত দুটি পাইপ লাইন নির্মিত হবে। প্রতিটি পাইপ লাইনের দৈর্ঘ্য হবে ১১০ কিলোমিটার করে। পরিশোধিত এবং অপরিশোধিত মিলিয়ে বছরে ৯মিলিয়ন টন তেল পরিবহণ করা সম্ভব হবে।

এনইসি সম্মেলন কক্ষে দুই দেশের সরকারের মধ্যে এ ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট (কাঠামোগত চুক্তি) স্বাক্ষর হয়। এতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আযম ও ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিং কিয়াং সই করেন। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৬০ কোটি ডলার। বাকি অর্থ জিওবি খাত থেকে মেটানো হবে। আগামী জানুয়ারি মাস থেকে দুটি পাইপ লাইন নির্মাণ শুরু হবে। ৩৬ মাস ধরে নির্মিত হবে পাইপ। ফলে আগে যখন গভীর সমুদ্র বন্দর থেকে ছোট জাহাজে চট্টগ্রামে তেল আনতে ১২ দিন সময় লাগতো এখন লাগবে মাত্র ৪৮ ঘণ্টা।

প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা ও যোগানের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হবে। দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে। অপরিশোধিত ও পরিশোধিত তেল আমদানিতে যে সিস্টেম লস হতো তা কমানো সম্ভব হবে। ফলে বছরে প্রায় ১০ কোটি ডলার অপচয় কমবে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে গভীর সমুদ্র বন্দরের নীচ দিয়ে ‍দুটি তেল পাইপ নির্মিত হবে। একটি দিয়ে পরিশোধিত অপরটি দিয়ে অপরিশোধিত তেল পাঠানো হবে। এতে সিস্টেম লস কমে যাবে এবং সময় কমবে। দেশে তেল সঞ্চালনে এক নতুন গতি আসবে। এটা আমাদের স্বপ্নের প্রকল্প। এই প্রকল্পে সহায়তা করার চীন সরকারের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। এটা শুধু পাইপ লাইন নির্মাণ নয় দুদেশের জনগণের মধ্যে একটি সেতু বন্ধনও। এ প্রকল্পে বার্ষিক সুদের হার ২ শতাংশ। পাঁচ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ২০ বছর মেয়াদী শর্তে এক্সিম ব্যাংক অব চায়না এই ঋণের অর্থ দেবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা ক্যাম্প


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ