Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে কর্মীদের বাঁধভাঙা আনন্দ

বেগম জিয়ার সাড়া জাগানো সফর

বিশেষ সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:৩৬ এএম, ২৯ অক্টোবর, ২০১৭

বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হয়ে গতকাল (শনিবার) রাত ৯টা ১২ মিনিটে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার সিটি গেইট অতিক্রম করেন। এ সময় উল্লসিত উদ্বেলিত অসংখ্য নেতা-কর্মী-সমর্থক নেত্রীকে ফুলেল উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। মুহূর্মুহু স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠে গোটা এলাকা। সিটি গেইট থেকে জাকির হোসেন রোড, জিইসি হয়ে সড়কের দুই পাশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানুষ নেত্রীকে স্বাগত জানান। এ সময় বেগম জিয়া গাড়ি থেকে জনতার উদ্দেশে হাসিমুখে হাত নাড়েন। নগরীর আগমন পথে প্রবল জন স্রোত অতিক্রম করে গতরাত ১১ টায় বেগম জিয়ার মোটর বহর চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সামনে এসে পৌঁছে। তখন পর্যন্ত পুলিশ ও চেয়ারপারসনের নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মীদেরকে দলীয় নেতা-কর্মী, সমর্থক ও জনতার বাঁধভাঙা জোয়ার অতিক্রম করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। অপেক্ষমান অগণিত নেতা-কর্মী ছাড়াও উৎসুক ছাত্র-জনতার ‘বেগম জিয়ার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’ স্লোগানে উত্তাল হয় নগরীর এই কেন্দ্রস্থল। গোটা এলাকা লোকারণ্য হয়ে উঠে গভীর রাতে সর্বশেষ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত। তাছাড়া প্রত্যন্ত গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে থাকা অগণিত কর্মী-সমর্থক শহরে নেত্রীর আগমন সম্পর্কে প্রতিনিয়তই খোঁজ-খবর রাখেন গভীর রাত অবধি।   
মিছিলের পর মিছিল। গতকাল দুপুরের পর থেকে রাত অবধি চট্টগ্রামকে মনে হচ্ছিল মিছিলের নগরী। সকল সড়ক পথঘাট যেন মিশে যায় সার্কিট হাউসে। আরেকটি গন্তব্য ছিল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নগরীর প্রবেশ মুখ সিটি গেইটের দিকে। দলে দলে মিছিলে ক্ষোভ-বিক্ষোভ নয়; বয়ে যায় আনন্দের ফোয়ারা। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৫ বছর পর এবার চট্টগ্রাম আগমন। এ উপলক্ষে নেত্রীকে স্বাগত জানাতে আসা চাটগাঁর সর্বস্তরের নেতা-কর্মী আর সমর্থকদের মাঝে বইছে বাঁধভাঙা আনন্দ আর উচ্ছ¡াসের জোয়ার। আলাপচারিতায় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা জানান, নেত্রীকে শুধু একনজর দেখার জন্যই তারা দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন।
গতকাল দুপুর থেকে বিকেল ও সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত পর্যন্ত কর্মী-সমর্থকদের একের পর এক মিছিল স্লোগানে দৃশ্যত জোরালোভাবেই জানান দিচ্ছিল চট্টগ্রামে বেগম জিয়ার ব্যাপক সাড়া জাগানো এই সফর। সবারই মুখে মুখে গগনবিদারী  স্গালোন উঠে ‘নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর’ ‘বেগম জিয়া জিন্দাবাদ’ ‘শহীদ জিয়া অমর হউক’ ‘টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া সবাই বলে জিয়া জিয়া’ ‘শহীদ জিয়া বেগম জিয়া’ ইত্যাদিবিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিক দল, মহিলা দলের একের পর এক মিছিলে সমগ্র বন্দরনগরী হয় সয়লাব। বিএনপি এবং এর অঙ্গ সংগঠনসমূহ ছাড়াও সহযোগী ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের কর্মীরা চোখে-মুখে ছিলেন আনন্দে উদ্বেলিত। চট্টগ্রাম মহানগরীর দক্ষিণে পতেঙ্গা উত্তরে ফতেয়াবাদ, পূর্বে কালুরঘাট আর পশ্চিমে কাট্টলী-হালিশহর থেকে মিছিলগুলো সার্কিট হাউস এবং সিটি গেইটে গিয়ে মিশেছে।
বিকেল নাগাদ নাসিমন ভবনস্থ মহানগর বিএনপির কার্যালয় ও আশপাশ এলাকাজুড়ে কর্মীদের স্রোত ও কোলাহলে ভিন্নরূপ নেয়। এমনকি শহরের বাইরে উত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রাম জেলা থেকেও আসেন অগণিত দলীয় নেতা-কর্মী। বেগম জিয়ার শহরে প্রবেশ পথে সিটি গেইট হয়ে একে খান মোড়, আকবর শাহ, জাকির হোসেন রোড, জিইসি মোড়, দামপাড়া ওয়াসা, আলমাস, কাজীর দেউড়ি হয়ে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস পর্যন্ত অগণিত কর্মী-সমর্থক আর উৎসাহী জনতা রাস্তার দুই পাশে ভিড় করেন। দলীয় নেতা-কর্মীরা ছাড়াও জোটের শরিক কর্মীরাও এতে শামিল হন। সর্বস্তরের নেতা-কর্মী সমর্থক এবং উৎসুক জনতার মাঝখানে অনেককেই নেত্রীর মোটরবহর আগমনের সেলফি তুলে নিজের জন্য তা স্মরণীয় করে রাখতে ছিলেন ব্যস্ত। আর সবখানেই শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে।    
মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর গণহত্যা নিপীড়ন-বিতাড়নের মুখে প্রাণ ও ইজ্জত-আব্রæ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা আরাকানের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণের জন্য আজ (রোববার) সকালে বেগম জিয়া চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন। এটি সম্পূর্ণ মানবিক ত্রাণ কর্মসূচি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক পথে এবং বন্দরনগরী চট্টগ্রামের কোথাও কোন সভা-সমাবেশ কিংবা সংবর্ধনা এমনকি দলীয় বা সাংগঠনিক কর্মসূচিও রাখা হয়নি। তা সত্তে¡ও চট্টগ্রামে রাতে এসে পৌঁছার আগে থেকেই বেগম জিয়াকে প্রাণঢালা সংবর্ধনা জানানোর জন্য মহাসড়কে, শহরতলী ও নগরীর বিভিন্ন সড়কে হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক ও উৎসুক জনতা সমবেত হন। অনেকেরই হাতে ছিল ফুল। বেগম জিয়ার চট্টগ্রাম আগমনে দলের তৃণমূলে বয়ে চলেছে খুশির বান। নবীন-প্রবীণ নির্বিশেষে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের যেন দীর্ঘ প্রতীক্ষা ও প্রত্যাশা পরিপূরণ হয়েছে নেত্রীর বৃহত্তর চট্টগ্রামে এই সফরে।   
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চট্টগ্রামে আগমন ও অবস্থানকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য যে কোন ধরনের অঘটন এড়াতে পুলিশকে সকাল থেকেই নগরীর সর্বত্র তৎপর দেখা গেছে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মহানগরীতে পুলিশ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কোন মিছিলে বাধা-বিপত্তির সৃষ্টি করেনি। অবশ্য সড়ক ও রাস্তাঘাটে জড়ো হওয়া কর্মীদের পুলিশ সরিয়ে দেয় যাতে যান চলাচল ব্যাহত না হয়। সার্কিট হাউস এলাকায় স্বাভাবিক পর্যায়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিলক্ষিত হয়েছে।
এদিকে বেগম জিয়া ২০১২ সালের ১০ নভেম্বর সর্বশেষ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সফর করেন। ৫ বছর পর বিএনপি চেয়ারপারসনের এবারের সফর। ফলে দলীয় নেতা-কর্মী ছাড়াও বৃহত্তর চট্টগ্রামে রাজনীতির অঙ্গনে এর গুরুত্ব বেশিই। রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের মানবিক কর্মসূচি হলেও বেগম জিয়ার চট্টগ্রাম আগমনে দলের নেতা-কর্মীদের মাঝে নির্বাচনী আমেজ পুরোদমেই চোখে পড়ছে। আগামীবার সংসদ নির্বাচনে দলের সম্ভাব্য প্রার্থী ও মনোনয়ন প্রত্যাশীরা যার যার অবস্থান জানান দেয়ার সুযোগটি গ্রহণ করছেন। এরজন্য বেগম জিয়ার ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে আসার পথে জেলার মিরসরাই, সীতাকুন্ড থেকে শুরু করে মহানগরীর বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ‘শুভেচ্ছা স্বাগতম, দেশনেত্রী বেগম জিয়ার আগমন’- এ ধরনের শ্লোগানের আড়ালে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ছবি সম্বলিত ব্যানার ও পোস্টার সেঁটে দিয়েছেন। নিজেদের জোরালো অবস্থানকে ‘প্রমাণ’ করে দেখানোর উদ্দেশ্যে নির্বাচনী এলাকাওয়ারী তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সমবেত করেছেন। এরফলে সম্ভাব্য প্রার্থী বা দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নির্বাচন-পূর্ব এক শো-ডাউন করছেন। আজ সকালে মহানগরী ছেড়ে কক্সবাজার যাবার পথে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারেও অনুরূপভাবে থাকবে নির্বাচনী আমেজ এবং মহড়া। যদিও বেগম খালেদা জিয়ার কোথাও কোন সভা-সমাবেশে বক্তব্য রাখার কর্মসূচি নেই। তবুও নেত্রীর একটু ‘মনোযোগ’ আকর্ষণে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে চলছে প্রাণপণ প্রতিযোগিতা।  
বেগম খালেদা জিয়ার তিন দিনের চট্টগ্রাম সফরের বিষয়টি এখন নিছক বিএনপির গন্ডির মধ্যেই সীমিত নেই। এ মুহূর্তে বন্দরনগরীসহ সমগ্র চট্টগ্রাম অঞ্চলে রাজনীতি সচেতন মানুষের মাঝে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বেগম জিয়ার চট্টগ্রাম সফর। তিনি সফরসঙ্গীদের নিয়ে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে রাত যাপন করেন। দলীয় কেন্দ্রীয়, চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার শীর্ষ নেতৃবৃন্দ নেত্রীর সাথে সাক্ষাত করেছেন।
কুমিল্লা থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, বেগম খালেদা জিয়াকে অভিবাদন জানানোর কর্মসূচিতে যাতে অংশ নিতে না পারে সেজন্য মুরাদনগরে বাড়িঘরে ঢুকে বিএনপি নেতাকর্মীদের মারধর করেছে পুলিশ। বেলা সাড়ে ১১টায় পুলিশ মহাসড়কের দুইপাশে নেতাকর্মী সমর্থকদের দাঁড়াতে বারণ করে। ফলে টানা দুইঘন্টারও বেশি সময় নেতাকর্মীরা মহাসড়কের বাইরে অবস্থান নেয়। পরে বেলা দুইটার দিকে পুলিশ নেতাকর্মীদের রাস্তার পাশে দাঁড়ানোর অনুমিতি দেয়। তার আগে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পদুয়ার বাজারের অনতিদূরে মোস্তফাপুর খানকা এলাকায় মহাসড়কের পাশে নেতাকর্মীরা দাঁড়ালে পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বেলা পৌনে চারটায় বেগম খালেদা জিয়া কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা অতিক্রম করে আলেখারচর, পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড, সোয়াগঞ্জ ও চৌদ্দগ্রাম এলাকা ছেড়ে যাওয়ার সময় মহাসড়কের বামপাশে দাঁড়িয়ে থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী খালেদা জিয়াকে অভিবাদন জানায়। এদিকে মুরাদনগরের সাবেক এমপি মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের অনুসারি নেতাকর্মী সমর্থকরা সকাল থেকে মহাসড়কের ইলিয়টগঞ্জ অংশে অবস্থান নেয়ার জন্য মুরাদনগরে সমবেত হতে থাকলে পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে নেতাকর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করে। পুলিশ সাবেক এমপি কায়েকাবাদের বাড়িতে গিয়েও নেতাকর্মীদের মারধর করেছে বলে মুরাদনগর বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন। পুলিশের মারধরে অ্যাডভোকেট রাসেলসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। পরে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে কায়কোবাদের অনুসারি হাজার হাজার নেতাকর্মী সমর্থক গাড়ীযোগে ইলিয়টগঞ্জে অভিবাদন কর্মসূচিতে অংশ নেন। ইলিয়টগঞ্জ আসার পথেও বাখরাবাদ এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামীলীগের লোকজনের বাধার মুখে পড়েন বিএনপি নেতাকর্মীরা। পুলিশের মারধর, আওয়ামীলীগের হামলার মুখেও মুরাদনগর বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী বেগম খালেদা জিয়াকে তাদের প্রাণের উষ্ণ অভিবাদন জানিয়েছেন। খালেদা জিয়াও হাত নেড়ে অভিবাদনের সাড়া দেন।           
২০টি স্পটে হাজার হাজার মানুষ অভ্যর্থনা
কুমিল্লা উত্তর সংবাদদাতা জানান, খালেদা জিয়ার গাড়ি বহর দুপুর ২.৩৫টায় দাউদকান্দিতে পৌছার সাথে সাথে নেতাকর্মীদের শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে আশপাশের এলাকা। এসময় মহাসড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা হাজার হাজার নারী-পুরুষ দেশনেত্রীকে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান।। এদিকে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ¦ খোরশেদ আলম ইনকিলাবকে জানান, মহা সড়কের মাধাইযা ও চান্দিনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর ১২টা দিকে হামলা করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীরা। এতে রিপন ও শরিফসহ বিএনপির ১০জন কর্মী আহত হয়েছে।   
পথে পথে ব্যারিকেড হামলায় আহত ১০
নোয়াখালী ব্যুরো জানায়, বেগম খালেদা জিয়া কক্সবাজার সফরপথের বিভিন্ন স্থানে ব্যারিকেড ও ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় স্থানীয় আওয়ামীলীগ সমর্থকরা। ফলে সাত আট হাজার বিএনপি কর্মী সমর্থক আটকা পড়ে। দুুপুরে সেবারহাটের পূর্বদিকে আওয়ামীলীগ সমর্থকদের হামলায় নোয়াখালী জেলা বিএনপির ১০ নেতাকর্মী আহত হয়। এসময় কয়েকটি গাড়ীর ক্ষতিসাধন করে হামলাকারীরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্টগ্রাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ