Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী ব্যাংকিংয়ে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে

আবুল কাসেম হায়দার | প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইসলামী ব্যাংকিং বাংলাদেশে বেশ প্রবৃদ্ধি লাভ করেছে। ধীরে ধীরে মানুষ ইসলামী ব্যাংকিংয়ের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। এ দেশের মানুষ ইসলাম প্রিয়। ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্মও আমাদের সংবিধানে ঘোষণা করা হয়েছে, যদিও সকল ধর্ম আমাদের দেশে সমান মর্যদাবান। আমাদের রাষ্ট্র সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার দিয়েছে। মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ আল কোরান। বিশ্ববাসীর জন্য এই গ্রন্থ আল্লাহপাক নাজিল করেছেন। মুসলমানগণ আল কোরান ও রাসুল (সা.) এর হাদিসে বিশ্বাসী। আল্লাহপাক পবিত্র কোরানে বলেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন।’ ( সুরা আল বাকারা ২৭৫ আয়াত) একই সুরার ২৭৬ আয়াতে আল্লাহ পাক বলেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা সুদ নিশ্চিহ্ন করেন, দান সদকাকে তিনি বৃদ্ধি করেন। আল্লাহ তায়ালা অকৃতজ্ঞ, পাপিষ্ট ব্যক্তিদের কখনো পছন্দ করেন না।’
পবিত্র কোরানে স্পষ্ট ঘোষণা রয়েছে, আমাদেরকে কীভাবে ব্যবসা বাণিজ্য করতে হবে; তার দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। অমান্য করলে কী ধরনের শাস্তির বিধান রয়েছে তা কোরান পাকে উল্লেখ করা হয়েছে। রাসুলে করিম সাল্লেলাহু আলাইহি ওয়া সালাম ব্যবসা বাণিজ্য করার ব্যাপারে সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। ব্যবসা করতে গেলে মানুষ সুদের সংস্পর্শে আসবে। তাই পরিষ্কার ভাষায় ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সুদকে সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করার কথা বলেছেন। হযরত জাবির (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসুল সাল্লেলাহু আলাই ওয়া সাল্লাম সুদ দাতা, সুদ গ্রহীতা, সুদের লেখক এবং সুদের সাক্ষী ও সকলের উপর লানত ও ভৎর্সনা করেছেন। এবং বলেছেন তারা সকলেই গোনাহের ক্ষেত্রে সমান। তাই বাংলাদেশে ব্যাংকিং ব্যবসা ইসলামের দৃষ্টিতে করার জন্য মুসলমানগণ উদ্ধুদ্ধ হন। কোরান ও হাদিসের নির্দেশনায় ইসলামী ব্যাংকিং ১৯৮৩ সালে এই দেশে যাত্রা শুরু করেছে। আজ এ ব্যবস্থা সকলের নিকট বেশ জনপ্রিয়।
দিন দিন ইসলামী ব্যাংকিংয়ে আগ্রহ বাড়ছে। দেশে ৫৭টি ব্যাংকের মধ্যে পুরোদমে ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রম চালাচ্ছে আটটি ব্যাংক। এ ছাড়া ৯টি প্রচলিত (কনভেনশনাল) ব্যাংকের ১৯টি শাখা এবং ৮টি প্রচলিত ব্যাংকের ২৫টি উইন্ডোর মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকিং চলছে। এসব ব্যাংক, শাখা এবং উইন্ডোতে মোট আমানতের পরিমাণ এক লাখ ৯৯ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা, যা দেশের সব ব্যাংকের মোট আমানতের ১৮ দশমিক ২৮ শতাংশ। ২০১৪ সালে এর পরিমাণ ছিল এক লাখ ৩৩ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। একইভাবে বিনিয়োগের পরিমাণও বাড়ছে। ইসলামী ব্যাংকিং প্রসার পেলেও দেশে এখন পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকিং পরিচালনার জন্য পূর্ণাঙ্গ কোন নীতিমালা নেই। সাধারণ ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি এ বিশাল অংশের প্রতিনিধিত্ব করছে ইসলামী ব্যাংক। তাই শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিংয়ের পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা দাবি করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি বছরের জুন শেষে দেশের ব্যাংকগুলোতে এক হাজার ১১২টি ইসলামী ব্যাংকিং শাখা রয়েছে। ২০১৪ সালের জুন শেষে এ পরিমাণ ছিল ৮৮৭টি। অর্থাৎ এ সময়ে বেড়েছে ২২৫টি। বর্তমানে ইসলামী ধারার আটটি ব্যাংকে শাখা রয়েছে এক হাজার ৬৮টি। ইসলামী ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বর্তমানে বিনিয়োগ হয়েছে এক লাখ ৮৫ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা। তিন বছর আগের একই সময়ে যা ছিল এক লাখ ১৩ হাজার ৭৯৬ কোটি টাকা। এ সময়ে বেড়েছে বিনিয়োগ এবং কমেছে উদ্বৃত্ত তারল্যের পরিমাণ। বর্তমানে ইসলামিক ব্যাংকিংয়ে উদ্বৃত্ত তারল্যের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা। তিন মাস আগে যা ছিল আট হাজার ৩২ কোটি টাকা। আর তিন বছর আগে এর পরিমাণ ছিল ১০ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা। এছাড়া বিনিয়োগ/আমানতের অনুপাত তিন বছর আগের চেয়ে বেশ পরিবর্তন হয়েছে। তিন বছর আগে ছিল শূন্য দশমিক ৮৫ শতাংশ আর এখন তা শূন্য দশমিক ৯৩ শতাংশ হয়েছে।
ইসলামিক ধারার ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে দেশে বেশি রেমিট্যান্স আসে। বিশেষ করে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে। জুন মাস শেষে দেখা গেছে, আট হাজার ৮৬৭ কোটি টাকা এসেছে ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে, যা গত তিন মাস আগের চেয়ে ৩৩ দশমিক ১৩ শতাংশ বেশি। ইসলামী ব্যাংকিংয়ের গুরুত্ব অনুধাবন ও কনভেনশনাল ব্যাংকিংয়ের চেয়ে লাভজনক হওয়ায় অনেক ব্যাংকই কনভেনশনাল ব্যাংকিং থেকে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক হওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করেছে। আর যেসব কনভেনশনাল ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকিং করছে তারা ইসলামী ব্যাংকিংয়ে তাদের জনশক্তি বাড়াচ্ছে। বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকিংয়ে মোট জনশক্তি রয়েছে ৩০ হাজার ৩৩৬ জন।
জানা গেছে, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বা গ্রাহক পর্যায়ে হস্তক্ষেপ-সক্ষমতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং অ্যাপ্রোচ এবং ধর্মীয় ও কল্যাণমূলক প্রণোদনার কারণে ইসলামী ব্যাংকগুলো তরুণ-যুবকসহ বিপুলসংখ্যক গ্রাহক আকর্ষণ করতে পারছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, কল্যাণ ও গ্রাহককেন্দ্রিক মডেলের কারণে অনেক ঋণগ্রহীতা ও আমানতকারী ইসলামী ব্যাংকিং পছন্দ করেন। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) স¤প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ইসলামী অর্থায়ন নিয়ে বলা হয়েছে, প্রচলিত ব্যাংকিংয়ের তুলনায় ইসলামী অর্থব্যবস্থা এখনো সামান্য। তবে আস্থা ও ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে এ খাতে মুসলিম বিশ্বের যে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে তাতে এটি অনেক সম্ভাবনাময়।
বাংলাদেশের ৮টি পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংক হলো- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেড, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ লিমিটেড (এক্সিম), সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড ও ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড। এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া বলেন, বাস্তবভিত্তিক ব্যাংকিং এবং যথাযথ নিয়ম মেনে ঝুঁকি মোকাবিলা করার কারণে টেকসই ব্যাংকিং হিসেবে ইসলামী ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। আর এরই ধারাবাহিকতায় ইসলামী ব্যাংকগুলোর সাফল্য দেখে এর প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। এ আগ্রহ শুধু মুসলিম প্রধান দেশে হচ্ছে তা নয়, অমুসলিম প্রধান রাষ্ট্রেও ইসলামী ব্যাংক গ্রহণযোগ্য হচ্ছে। ব্যবসায়িক মুনাফা নয়, সমাজ উন্নয়ন ও মানবতার সেবাই ইসলামী ব্যাংকিংয়ের অন্যতম উদ্দেশ্য বলে জানান তিনি।
বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা তথা সুদ বিহীন ব্যাংকিং মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আল্লাহপাক সুদকে হারাম ঘোষণা করায় সুদ গ্রহণ, প্রদান ও সুদের সকল প্রকার লেনদেন মুসলমানদের জন্য হারাম বা নিষিদ্ধ। সুদ কোনক্রমেই একজন মোমিন মুসলমান প্রদান ও গ্রহণ করতে পারবেন না। সুদ লেনদেন করলে পরকালে কঠিন শাস্তির কথা কোরানপাকে ঘোষণা করা হয়েছে। তাই সকলে সুদকে ত্যাগ করার নিমিত্তে ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করেছেন। যত বেশি সুদের শাস্তির কথা মানুষের মধ্যে প্রচার করা যাবে, তত বেশি মানুষ সুদ থেকে দূরে সরে আসবে। ততই ইসলামী ব্যাংকিং দ্রুত সম্প্রসারিত হবে। মানুষ কোন উপায় পায় না বলে সুদভিত্তিক ব্যাংকিং করেছে। সুদ বিহীন ব্যাংকিংয়ের ব্যবস্থা থাকলে মানুষ কখনও সুদভিত্তিক ব্যাংকিং করবে না।
সুদভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা চক্র বৃদ্ধি হারে সুদের হার বৃদ্ধি হওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু ইসলামী ব্যাংকিং পদ্ধতিতে মুদারেবা ও মুসারেখা উভয় পদ্ধতিতে গ্রাহকদের এই ক্ষেত্রে জন্য সুবিধাজনক। এই ক্ষেত্রে লভ্যাংশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তাই একজন গ্রাহক সুদ বিহীন তথা ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে অধিকতর সুবিধাজনক মনে করে। তাই ধীরে ধীরে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের প্রসার বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঘটেছে।
ইসলামী ব্যাংকিং একটি জনকল্যাণমূলক ব্যাংকিং ব্যবস্থা। শুধু লাভ করা ইসলামী ব্যাংকিং এর লক্ষ্য নয়। সমাজের মানুষের কল্যাণ বিধান, সুনীতি, অর্থনৈতিক সমতা আনয়ন ইসলামী ব্যাংকিংয়ের মূল লক্ষ্য। সমাজ সেবা ইসলামী ব্যাংকিংয়ের উদ্দেশ্য। শুধুমাত্র অর্থ উপার্জন ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থার বিষয়বস্তু নয়। কারণ ইসলামী ব্যাংকিং শুধু দুনিয়াতে অর্থ উপার্জন, আরাম আয়েশ ও ভোগ বিলাসের জন্য নয়। ইসলামী ব্যাংকিং পরকালের মুক্তির জন্য। পরকালে মহান স্রষ্টার সন্তোষ্টি লাভ হচ্ছে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের প্রধানতম বিষয়। তাই ইসলামী ব্যাংকিং কল্যাণময়, সমাজসেবামূলক, একটি ভারসাম্যমূলক অর্থনৈতিক বিন্যাস সৃষ্টির উদ্দেশ্যে দেশে দেশে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।
ইসলামী ব্যাংকিংয়ের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সমাজ থেকে দারিদ্র দূর করা। সমাজে অর্থনৈতিক সমতা বিন্যাস ইসলামী ব্যাংকিংয়ের উদ্দেশ্য। সমাজের হতদরিদ্র মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বি করে তৈরি করা ইসলামী ব্যাংকিংয়ের মূলমন্ত্র। ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থা ইসলামী ব্যাংকিংকে সমাজের একেবারে নীচতলা পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছে। তাই ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থা ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থার অন্যতম দিক। বাংলাদেশে ক্ষুদ্রঋণের এই ব্যবস্থা বেশ জনপ্রিয়। দিন দিন ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থা বাংলাদেশের অলিগলি, গ্রাম, চরাঞ্চল পর্যন্তÍ বিস্তৃতি লাভ করেছে। যত বেশি ক্ষুদ্রঋণকে অতি দরিদ্র, হতদরিদ্র মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়া হবে, তত বেশি মানুষ ইসলামী ব্যাংকিংয়ের প্রতি আকৃষ্ট হবে।
পৃথিবীর সৃষ্টি থেকে সব সমাজে সুদ ব্যবস্থাকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। সুদকে সকল ধর্মেই ঘৃণা করা হয়। কোন ধর্ম সুদের উপর ভিত্তি করে ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করেনি। কিন্তু যারা সুদকে মূল ভিত্তি হিসেবে নিয়ে ব্যবসাকে উৎসাহিত করছে তাদের দৃষ্টি ভঙ্গি ভিন্ন। মূলত পরোকাল বিমুখ মানুষ সুদ বা সময় উৎসাহিত করে আসছে। ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থার এই উৎসাহজনক অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজন আইন, নীতি ও কৌশলগত সহযোগিতা। এই সহযোগিতা প্রদান করে সরকার। অতীতের মতো এখনও সরকার ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালুর যাবতীয় ব্যবস্থা করে যাচ্ছে। তবে এই ক্ষেত্রে সংসদ কতৃক পাশকৃত আইনের প্রয়োজন সকল মহল অনেক দিন ধরে অনুভব করছেন। আশা করা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থমন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
লেখক: সাবেক সহসভাপতি এফবিসিসিআই, বিটিএমএ, বিজেএমইএ, প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি



 

Show all comments
  • Kamal ১ নভেম্বর, ২০১৭, ২:৫৬ এএম says : 0
    Islami bank bangladesh is only by name.There doing business by using the name of Islam .highest rate for the interest.There never give clear messages to the customer's. I have taken 25 lace House loan and within 3 years they charge 11 lace interest. I was continued the monthly payment. This is Islam?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসলাম

৩ মার্চ, ২০২৩
২ মার্চ, ২০২৩
১ মার্চ, ২০২৩
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ