Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণাঞ্চলে হেমন্তের আবহ

নাছিম উল আলম : | প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শেষ রাতে হালকা কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে জনপদ
দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে শরতের ভরা বর্ষণের পরে এখন হেমন্তের আবহ। লঘুচাপ থেকে স্থল নিম্নচাপের দূর্বল হয়েও গত শুক্র ও শনিবার নজিরবিহীন বর্ষণে দক্ষিণাঞ্চলসহ সমগ্র উপকূলভাগকে ভাসিয়ে দেয়ার পরে রোববার থেকেই আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন শুরু হয়। স্থল নিম্নচাপটির প্রভাবে বায়ুচাপের তারতম্যের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর সঞ্চালশীল মেঘমালায় প্রবল বৃষ্টি ঝরিয়ে দক্ষিণাঞ্চল থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম মওশুমী বায়ু বর্ষাকালকে মাথায় করে বিদায় নিয়েছে।
এর পর থেকেই সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের আবহাওয়ায় হেমন্তের আমেজ অনুভূত হচ্ছে। শেষ রাতে হালকা কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে নদ-নদী অববাহিকাসহ দিগন্ত বিস্তৃত জনপদ। সকালের দিকে হালকা মেঘের পরে দিনভরই মাঝারী তীব্রতার রোদে ঘামও ঝরাচ্ছে কিছুটা। তবে এ রোদের তেজ ক্রমশ কমে আসলেও এখনো দক্ষিণাঞ্চলে তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের চেয়ে ১ থেকে দুই ডিগ্রী সেলসিয়াস বেশি। অক্টোবরে বরিশালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকার কথা ৩১.৬ ডিগী সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৩.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সেখানে এখনো তাপমাত্রার পারদ ৩৩ ডিগ্রী ছুঁই ছুঁই করছে। তবে গত শনিবার প্রবল বর্ষণের দিনে ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় সমান হয়ে গিয়েছিল। ঐদিন বরিশালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ ডিগ্রী ও সর্বনিম্ন ২৫.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
বর্ষা বিদায় নিলেও চলতি মাসে বরিশালে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি ঝড়েছে। এমাসে আবহাওয়া বিভাগ থেকে বরিশাল অঞ্চলে স্বাভাবিক ১৫৮-১৯৪ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হলেও গতকাল পর্যন্ত বরিশাল মহানগরীতে প্রায় ৩৮১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা স্বাভাবিকের প্রায় দ্বিগুণ। এরমধ্যে গত বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবারই বরিশালে ২৬১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। অথচ গতমাসেই বরিশালে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ৮.৪% কম।
গতকাল আবহাওয়া বিভাগ থেকে মওশুমী লঘুচাপ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে বলে জানিয়ে আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকলেও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহায়া বিভাগ। বর্ষা বিদায়ের পর থেকেই শেষ রাত থেকে হালকা কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল। এ কুয়াশা এখনো আমনসহ সা¤প্রতিক প্রবল বর্ষণ থেকে বেঁচে যাওয়া শাক-সবজিরসহ অন্যান্য ফসলের ওপর তেমন কোন বিরূপ প্রভাব ফেলছে না। তবে জনস্বাস্থ্যের জন্য কিছুটা বিরূপ পরিস্থিতরি সৃষ্টি করছ্ েশিশু ও বয়স্কদের সর্দি কাশিসহ ঠান্ডজনতি নানা রোগে প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির আশঙ্কার কথা বলেছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞগণ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কুয়াশা

২৬ ডিসেম্বর, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ