পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জনপ্রিয় রহস্য উপন্যাস ‘মাসুদ রানা’ও ‘কুয়াশা’ সিরিজ বইগুলোর স্বত্বাধিকারী শেখ আবদুল হাকিম। আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট লিভ টু আপিলের বিষয়ে ‘নো-অর্ডার’ দেয়ায় তার এ স্বীকৃতি বহাল রইলো বলে জানিয়েছেন আবদুল হাকিমের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার ইফতাবুল কামাল অয়ন। এ বিষয়ে নিয়মিত আপিল শুনানির তারিখ ধার্য হয়েছে ৩০ মে। হাইকোর্ট এক আদেশে সিরিজ বইগুলোর স্বত্বাধিকারী হিসেবে শেখ আবদুল হাকিমকে স্বীকৃতি দিয়েছিলো।
অন্যদিকে সেবা প্রকাশনীর মালিক মরহুম কাজী আনোয়ার হোসেনের সন্তানদের মামলায় পক্ষভুক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কপিরাইট অফিসের কৌঁসুলি খুরশীদ আলম খান। তিনি বলেন, মরহুম কাজী আনোয়ার হোসেনের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রিটের পক্ষভুক্ত হয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছেন। সেই সঙ্গে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করারও আর্জি জানিয়েছিলেন। রোববার সেটির ওপর শুনানি শেষে আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টের বিচারপতি এম.ইনায়েতুর রহিম স্থগিতাদেশ না দিয়ে লিভ টু আপিলের শুনানির জন্য আগামী ৩০ মে দিন ধার্য করেছেন। আপিলের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মুরাদ রেজা। আর কপিরাইট অফিসের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো: খুরশীদ আলম খান ও ব্যারিস্টার ইফতাবুল কামাল অয়ন।
এর আগে ২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর সেবা প্রকাশনীর জনপ্রিয় ‘মাসুদ রানা’ ও ‘কুয়াশা’ সিরিজ বইগুলোর স্বত্ব পেয়েছিলেন শেখ আবদুল হাকিম। বিচারপতি মো: আশফাকুল ইসলাম এবং বিচারপতি মো: ইকবাল কবিরের ডিভিশন বেঞ্চ কপিরাইট অফিসের আদেশের বিরুদ্ধে করা সেব প্রকাশনীর রিট খারিজ করে এই আদেশ দেন। এর ফলে ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের ২৬০টি বই এবং ‘কুয়াশা’ সিরিজের ৫০টি বইয়ের স্বত্ব পান মরহুম শেখ আবদুল হাকিম।
২০১৯ সালের ২৯ জুলাই শেখ আবদুল হাকিম ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের ২৬০টি এবং ‘কুয়াশা’ সিরিজের ৫০টি বইয়ের লেখক হিসেবে স্বত্ব বা মালিকানা দাবি কওে সেবা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী কাজী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কপিরাইট আইনে অভিযোগ দাখিল করেন। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে ২০২০ সালের ১৪ জুন বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস শেখ আবদুল হাকিমের পক্ষে আদেশ দেন। ফলে দাবি করা মাসুদ রানা সিরিজের ২৬০টি এবং কুয়াশা সিরিজের ৫০টি বইয়ের লেখক স্বত্ব পান শেখ আবদুল হাকিম।
বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের সিদ্ধান্তে বলা হয়, সুষ্ঠু সমাধান ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে কপিরাইট বোর্ড বা বিজ্ঞ আদালত থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়ার আগ পর্যন্ত আবেদনকারীর দাবি করা ও তালিকাভুক্ত বইগুলোর প্রকাশ বা বাণিজ্যিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য প্রতিপক্ষকে নির্দেশনা দেয়া হলো। এছাড়া প্রতিপক্ষকে আবেদনকারীর কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন করা প্রকাশিত বইগুলোর সংস্করণ ও বিক্রিত কপির সংখ্যা এবং বিক্রয় মূল্যের হিসাব বিবরণী এ আদেশ জারির তারিখের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসে দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হলো। কপিরাইট অফিসের এই আদেশের বিরুদ্ধে রিট করেন কাজী আনোয়ার হোসেন।
তবে রিট নিষ্পত্তির আগেই শেখ আব্দুল হাকিম গতবছর ২৮ আগস্ট ইন্তেকাল করেন। চলতি বছর ১৯ জানুয়ারি ইন্তেকাল করেন কাজী আনোয়ার হোসেনও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।