পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, সউদী আরব আগে যে অবস্থায় ছিল সে অবস্থায় ফিরে যাবে। সউদী আরব হবে সকল ধর্ম এবং সারা বিশ্বের জন্য উন্মুক্ত একটি মধ্যপন্থী দেশ।
মঙ্গলবার রিয়াদে ভবিষ্যত বিনিয়োগ উদ্যোগ সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ ইবনে সউদ এ ঘোষণা দেন।
এক সাক্ষাতকার গ্রহণকারীকে তিনি বলেন, রক্ষণশীল সউদী আরবকে মারাত্মক ওয়াহ্হাবিয়াত থেকে সরিয়ে আনতে রাজনৈতিক সংস্কারের সাথে সাথে অর্থনৈতিক আধুনিকায়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে। তিনি ৫০০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করেন।
উগ্রবাদ মোকাবেলায় আরো ব্যবস্থা নেয়ার কথা ঘোষণা করে তিনি বলেন, উগ্রবাদী ধ্যান-ধারণার সাথে লড়াই করে আমরা আমাদের জীবনের ৩০ বছর অপচয় করতে পারব না, আমরা আজই তাদের ধ্বংস করব।
তিনি সউদী আরবের রক্ষণশীল গোষ্ঠির সরাসরি সমালোচনা করে বলেন, অতীতে এ রকম ছিল না। আমরা শিগগিরই সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করব।
৩২ বছর বয়স্ক সউদী যুবরাজ সউদী আরবের অর্থনীতির তেল নির্ভরতা হ্রাস করে দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক ও সামাজিক নীতির উচ্চাাভিলাষী পরিকল্পনা ভিশন-২০৩০ এর নেপথ্য পরিচালক। যুবরাজের এ অঙ্গীকার সউদী আরবের রক্ষণশীল ধর্মীয় নেতাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। তিনি ৫০০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নিওম বা একটি নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা গ্রহণের ঘোষণার পাশাপাশি এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। সউদী আরবের সীমান্ত থেকে প্রতিবেশি মিসর ও জর্দান পর্যন্ত এ অর্থনৈতিক অঞ্চল বিস্তৃত হবে। ২৬ হাজার ৫শ’ কি মি বর্গমাইলের এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটি আয়তনে যুক্তরাজ্যের ওয়েলস রাজ্য থেকেও বৃহৎ এমনকি ইসরাইল, লেবানন ও কুয়েতের মত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকেও বড় হবে।
সম্পূর্ণরূপে রাজতন্ত্র শাসিত দেশ সউদী আরবে সুন্নী ইসলামের মূল ধারা অনুসারী ওয়াহ্্হাবিয়াতের প্রভাব প্রবল। আল-কায়দা ও ইসলামিক স্টেটের মত (আইএস) জিহাদি গ্রুপগুলো ওয়াহ্্হাবিয়াতের অননুসরণ করে।
৯/১১’র প্রেক্ষিতে উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের অর্থায়ন বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে সউদী আরবও কাজ করে। তবে এক্ষেত্রে যথেষ্ট কিছু না করার জন্য তারা সমালোচনার সম্মুখীন হয়।
সউদী আরবের কট্টরপন্থী আলেম সমাজ এখনো সে দেশে ব্যাপক ক্ষমতা ও প্রভাবের অধিকারী হওয়ার প্রেক্ষিতে যুবরাজ সালমানের ঘোষণা বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। মানবাধিকার গ্রুপগুলো সউদী আরবে কথিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা করে আসছে।
দি টেলিগ্রাফের খবরে বলা হয়, সউদী আরব সাম্প্রতিক মাসগুলোতে একগুচ্ছ সংস্কারের কথা ঘোষণা করেছে যার মধ্যে রয়েছে গত মাসে সউদী মহিলাদের গাড়ি চালানোর অনুমতি প্রদান। প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের জন্যই তা সম্ভ^ব হয়েছে বলে মনে করা হয়। তারপরও দেশটি বিশ্বের সর্বাপেক্ষা সামাজিক রক্ষণশীল সমাজের একটি হিসেবেই রয়ে গেছে।
অনেক পাশ্চাত্য নেতাই প্রিন্স মোহাম্মদের আধুনিকায়ন পরিকল্পনার প্রশংসা করেছেন। কিন্তু অনেক বিশ্লেষকই তিনি তার কথামত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তন নিয়ে নিয়ে এগিয়ে যেতে পারবেন কিনা সে ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
এ সম্মেলন আজ বৃহস্পতিবার শেষ হচ্ছে। সউদী আরব নিজেকে বিশ্বের কাছে উন্মুক্ত করছে এবং তেলের মূল্য হ্রাসের প্রেক্ষিতে তার রাজস্ব আয়ের বহুমুখী পন্থা গ্রহণ করছে যা বিশ^কে প্রদর্শন করাই এ বিনিয়োগ সম্মেলনের লক্ষ্য। কোনো কোনো পর্যবেক্ষক একে ‘মরুভ‚মির ডাভোস’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। টনি বেলয়ার ও আইএমএফ-র প্রধান ক্রিস্টিনা লগার্ডসহ বিশে^র বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এতে যোগ দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।