Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

স্থিতিশীলতা রক্ষায় মিয়ানমারের চেষ্টাকে সমর্থন করে চীন

চীনা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাফাই

রয়টার্স | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চীনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রাখাইন রাজ্যে চলমান সহিংসতার প্রেক্ষিতে মিয়ানমারের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেছেন, চীন স্থিতিশীলতা রক্ষায় মিয়ানমার সরকারের চেষ্টাকে সমর্থন করে। অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় যে, সঙ্কটে বিদেশী হস্তক্ষেপে কাজ হয় না।
চীনা কম্যুনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের এক উপ-প্রধান গুয়ো ইয়েঝু শনিবার পার্টি কংগ্রেসের ফাঁকে সাংবাদিকদের বলেন যে, চীন রাখাইনে হামলার নিন্দা করে এবং সেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় মিয়ানমারের চেষ্টা বোঝে ও তা সমর্থন করে। তিনি বলেন, চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে গভীর দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব রয়েছে। চীন মনে করে, মিয়ানমার নিজেই তার সমস্যার সমাধান করতে পারবে।
পশ্চিমা দেশগুলোর চেয়ে রোহিঙ্গা সঙ্কটের ব্যাপারে চীনের অবস্থান ভিন্ন কেন জিজ্ঞেস করা হলে তার জবাবে গুয়ো বলেন, কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা চীনের নীতি নয়।
তিনি বলেন, অভিজ্ঞতা থেকে দেখুন, কোনো দেশ কোনো দেশের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করলে তার পরিণতি কী হয়। আমরা তাই তা করি না। তবে ভুল হস্তক্ষেপের কোনো দৃষ্টান্ত তিনি দেননি। গুয়ো ইয়েঝু বলেন, চীনের সাথে মিয়ানমারের যেহেতু দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে তাই চীন মিয়ানমারে কোনো অস্থিতিশীলতা চায় না, কারণ তার অনিবার্য প্রভাব চীনের উপর পড়বে। তিনি বলেন, আমরা সহিংস ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের নিন্দা করি।
গুয়োর দফতর মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু কি’র সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলায় অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করে। সু কি ২০১৫ সালে চীন সরকারের বদলে চীনা কম্যুনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে সে দেশ সফর করেন। এ দফতরের প্রধান সং তাও আগস্টে মিয়ানার সফর ও সু কি’র সাথে সাক্ষাত করেন। আগস্ট মাসে রাখাইনে মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর উপর জঙ্গি হামলার অভিযোগে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সেখানে বিদ্রোহী দমন অভিযান শুরু করে। তাদের হত্যা, ধর্ষণ, জ¦ালাও-পোড়াও ও নির্যাতনের মুখে ৫ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান সব কিছু ফেলে শুধু জীবন নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
জাতিসংঘ কর্মকর্তারা রাখাইনে মিয়ানমারের কৌশলকে জাতিগত নিধন বলে আখ্যায়িত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বুধবার বলেছেন, রাখাইনে কঠোর দমন নীতি চালানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের সামরিক নেতৃত্বকে দায়ী করে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমার সামরিক নেতৃত্বের জন্য টার্গেটেড নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বিবেচনা করছে। এ ক্ষেত্রে সম্ভাব্য ব্যবস্থার মধ্যে শীর্ষ জেনারেলদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে তাদের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে যে তা ব্যাপক ভিত্তিক অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে বা সু কি ও সেনাবাহিনীর মধ্যে ইতোমধ্যে সৃষ্ট টানাপড়েনের সম্পর্ককে আরা অস্থিতিশীল করতে পারে।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ২৩ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:১৫ পিএম says : 0
    সংবাদে পরিষ্কার যে, চীন রোহিঙ্গাদের উপর যে অত্যাচার করা হয়েছে সেটা অন্ধকারে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। একইভাবে ভারতও মায়ানমারকে সমর্থন করে যাচ্ছে। এই যে সুষমা ঢাকায় এসেছেন এর পেছনে মায়ানমারের উপর যেন শেখ হাসিনা ক্ষেপে না যান এবং সহ্যকরে অন্ধকারে মায়ানমারের সামরিকদের পাঁশে থাকেন সেটাই বাস্তবায়িত করার জন্যই সুষমার ঢাকা আগম এটাই বিভিন্ন অভিজ্ঞ জনের মতামত আমি জানতে পেরেছি। চীন, ভারত ও বাংলাদেশ মায়ানমারের চতুর্দিকে অবস্থিত। ভারত ও চীন মায়ানমারের তাদের ব্যাবসা পরিচালনা করে প্রচুর লাভবান হচ্ছে; বলতে গেলে মায়ানমারের অর্থনীতি এই দুই দেশর নিয়ন্ত্রণে। শুনা যায় এখন ভারত ও চীন মায়ানমারের সামরিক জান্তার আরো ঘনিষ্ট হবার জন্য এখন রোহিঙ্গাদেরকে বলির পাঠা বানাচ্ছে এটাই অভিজ্ঞ মহলের ধারনা। সারা বিশ্ব যখন মায়ানমারের সামরিক জান্তার রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচার দেখে এই সমস্যায় আতঙ্কিত তখন ভারত, চীন ও রাশিয়া মায়ানমারের সামরিক জান্তার পক্ষ নেয়ায় অভিজ্ঞ মহল ভাল চোখে দেখছেনা। এই অবস্থায় আমার ১৯৭১ সাল মনে পরে কিভাবে আমরা আতঙ্কিত ছিলাম আমেরিকা ও চীনা আমাদের বিপক্ষে পাকিস্তানকে সহযোগিতা করায়। আজ রোহিঙ্গাদের উপর সেই একই অবস্থার সৃষ্টি করেছে ভারত ও চীন; এই দুই দেশই এখন বিশ্ব ক্ষমতা ধর রাষ্ট্র তাই এদের বিপক্ষে দাড়ানোর অবস্থা বাংলাদেশের নেই। এখন আমাদের সময়ের উপর সবকিছু ছেড়ে দেয়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই এটাই সত্য। আমি বিশ্বাস করি মহান আল্লাহ্‌ আমাদেরকে ১৯৭১ সালে যেভাবে জালিমদের হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন ঠিক একই ভাবে তিনি রোহিঙ্গাদেরকেও জালিম বৌদ্ধদের (বুদ্ধিষ্টদের) হাত থেকে বাচাবেন এটাই মহা সত্য। আমীন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ