২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
বিশ্বজুড়ে যেভাবে দূষণের মাত্রা বাড়ছে তাতে শ্বাসকষ্টের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হৃদরোগ। এখন আর হৃদরোগ বয়স মানে না। আট থেকে আশি সব বয়সেই হৃদরোগ হতে দেখা যাচ্ছে। হৃৎপিন্ডের জন্মগত ত্রæটিকে ধরতে না-পারায় ছোটোদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক বেশি হয়। যুবকদের ক্ষেত্রে অনিয়মিত জীবনযাপন, মাত্রাতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণ বাড়িয়ে তুলছে হৃৎরোগ। চাকুরিজীবী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে বাড়তি মানসিক চাপ অনেক সময় হৃদরোগ ঘটিয়ে দেয়।
সকলেরই একটা ধারণা সময় দেয় না হার্ট অ্যাটাক। হঠাৎ করেই এসে যায়। আর তা সামলাতে পারেন না অনেকেই। কিন্তু আন্তর্জাতিক সব গবেষণায় দেখা গেছে, হৃদরোগের প্রাণঘাতী রূপ হার্ট অ্যাটাক হঠাৎ করে আসে না। শরীরকে বারেবারে সতর্ক করে দেয় হৃদপিন্ড। বেশির ভাগ সময়ই আমরা সেই সংকেতগুলোকে গুরুত্ব দিই না। নানা ধরনের শারীরিক সতর্কতার মধ্যে নিচে ছয়টি উপসর্গকে চিকিৎসকরা মুখ্য বলে বেচে দিয়েছেন ।
দুর্বলতা-হার্টের সমস্যা ঘটলেই ধমনীর রক্তপ্রবাহ কমে যায়। তাই দেহের পেশিতে ঠিকমতো রক্ত প্রবাহ না-হওয়ার জেরে শক্তি কমতে থাকে পেশির। সেজন্য হঠাৎ করেই শরীরের জোর যেন কমে যায়। বিশেষত সন্ধ্যাবেলায় একটু বেশি করেই দুর্বল মনে হয়। অবহেলা করবেন না। চিকিৎসককে সবকিছু জানান। ল্ফ ঝিমুনি-সুযোগ পেলেই একটা ঝিমুনি ভাব আসে অ্যাটাক হতে যাওয়া ব্যক্তির। তা ট্রেনে হতে পারে, কাজের জায়গায় হতে পারে কিংবা দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসলেও হতে পারে। না-চাইলেও অদ্ভূতভাবে ওই ঝিমুনি এসে পড়ে শরীরে। সেই সময় একটা ঠান্ডা ভাব লাগতে থাকে। চিকিৎসকরা বলছেন, হার্ট অ্যাটাকের আগে রক্তের প্রবাহ শরীরে কমে যাওয়ায় একদিকে ঝিমুনি আর অন্যদিকে শীত শীত ভাব করতে থাকে। ল্ফ বুকে ব্যথা-হার্ট অ্যাটাক আসার অন্তত মাস খানেক আগে থেকে বুকে ব্যথা হতে থাকে। বাঁ হাত কিংবা বাঁ উরুতেও ব্যথা হতে দেখা যায়। বুকের ব্যথা শুধু বুকেই থাকে না তা ছড়িয়ে পড়ে পিঠ, হাত ও কাঁধে। হাতের সঙ্গে তাই কাধেঁর ব্যথা হলে কিন্তু সতর্ক হতেই হবে। ল্ফ ঠান্ডা লাগার প্রবনতা-হার্ট অ্যাটাকের আগে কিছুদিন ধরে ঠান্ডা লাগার একটা অনুভূতি শুরু হয়। চিকিৎসকরা বলছেন, শীতের সময় ওই ঠান্ডা লাগার বিষয়টি অনেকেই আলাদা করে বুঝতে পারেন না। তাই অন্যের দিকে লক্ষ রাখুন। আপনার বয়সি অন্য কেউ কি আপনার মতো ঠান্ডায় কাতর হচ্ছেন? না-হলে সতর্ক হোন। ক্লান্তি-কমজোরি বা সহজ ভাষায় ক্লান্তি হৃদরোগের একটা বড় কারণ। একটু কাজ করলে কিংবা হাঁটাহাঁটি করলে কি আপনার ইদানীং বেশি ক্লান্ত লাগছে। দীর্ঘ সময় হাঁটতে গিয়ে কি হাঁপ ধরে যাচ্ছে? তাহলে সময় নষ্ট না-করেই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। বুঝতে পারলে জানবেন আপনি এ যাত্রায় বেঁচে গেলেন। প্রশ্বাসের সমস্যা-এটিও হৃদ আঘাতের একটা বড় লক্ষণ। হার্টের দুর্বলতার জেরেই প্রশ্বাস নিতে সমস্যা তৈরি হয়। ছোটে-বড় কাজ করতে গিয়ে শ্বাস নিতে কষ্ট হলে কিন্তু চিন্তার কারণ। সময় নষ্ট করবেন না। অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ষ আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক-কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।