Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি


প্রশ্ন : আমার বোনের স্বামী উনাকে তালাকনামা পাঠিয়ে দিয়েছেন। তালাকনামায় তিন তালাকের কথা উল্লেখ করেছেন। তালাকনামার এক কপি চেয়ারম্যান, এক কপি আমার আব্বু আর এক কপি আমার বোনের কাছে পাঠিয়েছেন। প‚র্বে উনি অনেকবার মুখেও বলেছিলেন তালাক এর কথা (এক বার করে)। কিন্তু এরপর আবার স্বামী-স্ত্রী স্বাভাবিক হয়ে যান। কিন্তু এইবার এই কাজ করে ফেলেছেন। এখন উনি বলছেন উনি তালাক নামা বাতিল করবেন। আমরা জানি যে এই দেশের আইন অনুযায়ী তালাকনামা বাতিল যোগ্য। কিন্তু আমার প্রশ্ন ইসলামের দৃষ্টিতে কি এই বিয়ে আর আছে নাকি? তালাকনামায় অনেক ধরনের মিথ্যা কথা উল্লেখ করেছেন। আসলে আমার নিজের বোন দেখে বলছিনা। সত্যি যেসকল কারণ দেখিয়েছেন সব মিথ্যা আর বানোয়াট।

উত্তর : প্রথম এক তালাক দিয়ে সংসারে ফিরে আসায় বিয়ে বহাল আছে। এবারও কাগজপত্রে তিন তালাক দিয়ে আপনার দুলাভাই মূলত কী বোঝাতে চান বা আসলে কয় তালাক দিয়েছেন কিংবা দিয়েছেন কি না এর সবই তার নিয়তের ওপর নির্ভর করে। যদি...






প্রশ্ন: আমি ছোটো থাকতে বাসার বাজারের টাকা থেকে কিছু টাকা মেরে দিতাম। এছাড়াও বাবার পকেট থেকে টাকা চুরি করতাম। আমি অনেক ক্রেতার কাছ থেকে দাম ইচ্ছে করেই বেশি নিয়েছি। দোকান থেকে টাকা চুরি করেছি। অনেকের হক খেয়েছি। এখন বুঝতে পেরেছি যে, অন্যের হক হরণকারীকে আল্লাহ কখনো ক্ষমা করেন না। এখন এসব পরিশোধ করবো কীভাবে? আমার সে সামর্থও নেই যে তাদের কাছে টাকা ফেরত দেবো বা তাদের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাওয়ার মতো ব্যবস্থাও নেই। আমি টুকিটাকি দান-সদকা করি এই নিয়তে যে, আমার এই দানগুলো যাদের হক খেয়েছি, তাদের আমল নামায় লিপিবদ্ধ হোক। এটা কি আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য?

উত্তর : আপনার বুঝের জন্য আল্লাহর শোকরিয়া করুন। যতদূর সম্ভব আদায় করে করে হালকা হোন। যেখানে আদায় করা সম্ভব নয়, ক্ষমা চেয়ে নিন। যেখানে এটাও সম্ভব নয়, তাদের নিয়তে যতটুকু সম্ভব দান-খয়রাত করতে থাকুন। এরপরও তাদের জন্য রহমত ও মাগফেরাতের...


প্রশ্ন : আমি একটি টিউটোরিয়াল সাইট তৈরি করতে চাচ্ছি। এতে উইন্ডোজ, এম এস ওয়ার্ড ইত্যাদি শেখানো হবে। কয়েকটির শর্ত সাপেক্ষে শুধু বিদেশীদের কাছ থেকে সাবস্ক্রিপশন ফি নিতে চাচ্ছি। শর্তগুলো হলো, এককালিন নির্ধারিত ফি প্রদান করে টিউটোরিয়ালগুলো পড়তে হবে। প্রদানকৃত অর্থ সম্পূর্ণ অফেরতযোগ্য। আমি চাইলে যে কোনো সময় সাইটটি বন্ধ করে দিতে পারব। সাইট যতদিন সচল থাকবে বা আমি যতদিন চাইব, ততদিন সাবস্ক্রিপশসন মেয়াদ থাকবে। আমি চাইলে যে কারও সাবস্ক্রিপশসন বাতিল করতে পারব। উল্লেখ্য যে, সাইটটি তৈরি করতে আমাকে ডোমেইন, হোস্টিং ও অন্যান্য খরচ বাবদ অর্থ ইনভেস্ট করতে হবে, তাছাড়া এটি কম্পিøট করতে আমাকে কয়েক মাস পরিশ্রম করতে হবে। এখন প্রশ্ন হলো, আমি কি এভাবে অর্থ উপার্জন করতে পারবো?

উত্তর : এসব শর্তের কথা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করে প্রস্তাব করলে যারা এসব মেনে নিয়ে সাবস্ক্রাইব করবেন, তাদের টাকা আপনার জন্য হালাল। এভাবে পরিস্কার বলে ক্লায়েন্টকে রাজী করিয়ে অর্থ উপার্জন শরীয়তে জায়েজ আছে।  উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভীসূত্র...






আর্কাইভ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ