উত্তর : বড় মসজিদ বা ময়দানে নামাজরত ব্যক্তির সিজদার স্থানের দিকে নজর রাখা অবস্থায় স্বাভাবিক দৃষ্টি যে পর্যন্ত যায়, সে সীমার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করা নিষেধ। আর ছোট মসজিদ বা ঘরের ভেতর সুতরাহ বা যথাযথ আড়াল ছাড়া নামাজের সামনে দিয়ে যাওয়া গোনাহের কাজ। উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভীসূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।[email protected]...
উত্তর : যে কথার ওপর বিয়ে হয়েছে, কাবিন বা মোহরানা সেটিই। দেওয়ার সময় তাই দিতে হবে। লেখার ক্ষেত্রে তারা কেন কম লেখতে চান, তা আমাদের জানার সুযোগ নেই। কোনো যৌক্তিক কারণ থাকতেও পারে। আপনারা সেটি বুঝে নিন। মোহরানা তাই দিতে...
উত্তর : ইজতেমায়ী খানার মধ্যে বরকত আছে। এটি একটি সুন্নাত তরীকাও বটে। তবে, এক বৈঠকে বসে খাওয়াই ইজতেমায়ী খানা। বড় জোর এর অর্থ এক দস্তরখান বা শীটে খাওয়া। এক প্লেটে নয়। ইচ্ছা করলে কয়েকজন এক প্লেটেও খেতে পারে। আলাদা প্লেটে...
উত্তর : পর্দার আড়ালের মহিলাটি যদি আপনার সাথে বিয়ের যোগ্য হন, তাহলে সাক্ষীরা তাকে প্রত্যক্ষভাবে না চিনলেও বিয়ে হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে এমন দু’জন বা আরও বেশী লোক এ বিয়ের পাত্র-পাত্রী দু’জনের ব্যাপারেই বেশ জানাশোনা এবং কোনো সমস্যা দেখা দিলে কর্তৃপক্ষের...
উত্তর : যোহরের পর নির্দিষ্ট কোনো সূরা পাঠ সুন্নাতে পাওয়া যায় না। তাজরিবা বা আল্লাহওয়ালাদের অভিজ্ঞতার ওপর আমল করা যায়। তবে তা সর্ব সাধারণে প্রচার করা কিংবা সুন্নাত আমলের মতো বাধ্যতামূলক করা শরীয়তে বিধেয় নয়। অনেকে বিভিন্ন সময়ে কিছু দোয়া...
উত্তর : বানানো যাবে। কেননা, মাইয়্যেতকে বহনকারী বাক্সের আলাদা কোনো ফজিলত বা অবস্থান শরীয়তে নেই। মালিকরা অনুমতি দিলে বা তাদের কাছ থেকে ক্রয় করে এনে সাধারণ কাঠের মতই ব্যবহার করা যায়। মসজিদে জুতার বাক্স করা তুলনামূলক আরও উত্তম। উত্তর দিয়েছেন...
উত্তর : এটি যদি কুসংস্কার বা চাপমূলক না হয়ে থাকে, কে কত দিল বিনিময়ে কত পেল এমন পালাপালি না থাকে, তাহলে উপহার দিতে নিতে কোনো দোষ নেই। সৌজন্য হিসাবে ছেলে বা মেয়েকে দেখে হাতে কিছু দেওয়া, মিষ্টি বা অন্য খাদ্য...
উত্তর : আপনি ফ্রি অথবা কিছু টাকার বিনিময়ে যাদের ওয়াইফাই ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছেন, এর ব্যবহার বা অপব্যবহারের দায় দায়িত্ব তাদেরই। এটি শরীয়তে ব্যবসার মূলনীতি। একটি সার্ভিস আপনি প্রভাইড করছেন। এটির উত্তম ব্যবহারের ১০০ ভাগ সুযোগ রয়েছে। কেউ যদি গোনাহের কাজে...
উত্তর : পারবে। অবৈধ বলতে কি বোঝাতে চেয়েছেন, সেটা স্পষ্ট হওয়া উচিত। যদি খাস জমি বা মালিকবিহীন পতিত জমি হয়, যেখানে অন্য কিছু করার চেয়ে মসজিদ করাই বেশি সংগত, তাহলে আইনের চোখে এ কাজটি অবৈধ মনে হলেও নৈতিকভাবে অবৈধ নয়।...
উত্তর : কমিটি যে টাকাটি নেয় তা কি শৃঙ্খলা বা গোরস্তানের উন্নয়নের জন্য, না কি কবরের দাম হিসাবে? যদি দাম হিসাবে নেয়, তাহলে তো পরে এটি আর কারও কাছে বিক্রি করতে পারবে না। কবরটিরও তুলে ফেলে দিতে পারবে না। আর...
উত্তর : কাজের চাপ বা শরীয়তসম্মত যে কোনো অসুবিধার জন্য জুমা না পড়ে জোহর পড়া যায়। আপনার কর্মক্ষেত্রের চাহিদা অনুযায়ী আপনি জোহরই পড়ে নিবেন। আর একাধারে তিন জুমা বিনা কারণে ছেড়ে দিলে কেউ মুসলমান থাকে না একথাটি ঠিক নয়। এমন...
উত্তর : এ অবস্থায় আকীকা দিতে হবে না। যদি সন্তানটি জীবিত হয়ে থাকে, কান্না বা শব্দ করে থাকে, এরপর মারা যায়, তাহলে একটি নাম রেখে দেওয়া উচিত। যেমন, আব্দুল্লাহ বা আব্দুর রহমান। কারণ, জীবিত সন্তান পিতামাতার জন্য আল্লাহর নিকট সুপারিশ...
উত্তর : আপনি মসজিদে প্রবেশ করেই ফজরের দু’রাকাত সুন্নাত ও দু’রাকাত ফরজ পড়ে নিবেন। অন্য নফল নামাজ না পড়লেও চলবে। উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভীসূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল...
উত্তর : নিজ বাড়ীতে পৌঁছা মাত্রই আপনি পূর্ণ নামাজ পড়বেন। এখানে ১৫ দিন থাকা শর্ত নয়। এক ওয়াক্ত পরিমাণ থাকলেও পুর্ণ নামাজ পড়তে হবে। কর্মস্থল থেকে বাড়ী পৌঁছার আগ পর্যন্ত কসর পড়তে হবে। কর্মস্থলে ১৫ দিন থাকার শর্ত প্রযোজ্য। চলাচলের...
উত্তর : যার জানা নেই কিংবা যে সিজদার আয়াতগুলো চিনে না, তার গুনাহ হবে না। তবে, পুরো কোরআন শরীফ নানা সময়ে শুনতে শুনতে খতম হলে সতর্কতাবশত ১৪টি সিজদা করে নেওয়া জরুরী। কারণ, তখন আপনি নিশ্চিত যে, সব আয়াতই আপনি শুনেছেন।...