Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী প্রশ্নোত্তর

একজন নারী নিরুপায় হয়ে তার স্বামীকে তালাক দিতে চায় তার দেনমোহরের টাকাও বাকী রয়ে গেছে। এখন সে কিভাবে শরীয়তসম্মতভাবে তার কাছ থেকে তালাক নিবে?

উত্তর : শরীয়তসম্মতভাবে এই নারীর তালাক লাভের পদ্ধতি তিনটি। এক. স্বামীকে বলে রাজী করিয়ে দেনমোহর ছেড়ে দিয়ে কিংবা তার আরেক বিয়ের খরচ দিয়ে অথবা কোনোকিছু ছাড়া খোলাআ তালাকের ব্যবস্থা করা। এখানে স্বামী সম্মত হয়ে তাকে ছেড়ে দিবে। দুই. স্বামীর পক্ষ থেকে নিজেকে নিজে তালাক দিয়ে বিবাহবন্ধন ছিন্ন করার পদ্ধতি হাতে পাওয়া। যাকে তালাকে তাফবীজ বলে। যেটি বিবাহ রেজিষ্ট্রেশনের একটি ধারায় দেওয়া আছে। তিন. স্বামীকে ত্যাগ করার গ্রহণযোগ্য কারণ দেখিয়ে আদালতের দারস্থ হওয়া। এখানে কোনো মিথ্যা কারণ তৈরি কিংবা তাকে হয়রানি...




আমি আমার এক ক্লাসমেট মেয়েকে ২ জন স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে ১ লক্ষ টাকা দেন মোহর নির্ধারন করে, মোবাইল ফোনে বিবাহ করি, পরবর্তীতে সরাসরি দেখা হলে আমারা আবার ইজাব কবুল বলি, এবং একে অপরকে স্বামী স্ত্রী হিসাবে মৌখিক স্বীকৃতি দেই, এবং সে আমাকে স্বামী হিসাবে গ্রহন করে এবং আমরা রাত্রি যাপন করি। এখন তার পরিবার এই বিয়ে শুদ্ধ হয়নি বলে, তাকে জোর করে তার অমতে অন্য ছেলের কাছে বিবাহ দেয়, এখন আমার প্রশ্ন আমাদের বিয়ে শুদ্ধ ছিলো কিনা? শুদ্ধ হলে ২য় বিয়ের হুকুম কি হবে? উল্লেখ্য যে, আমার বয়স ২৯ মেয়ের ২৭।

উত্তর : টেলিফোনে বিয়ে হলে স্বাক্ষী রাখা হয় কীভাবে? স্বাক্ষী তো উপস্থিত থাকতে হয়। তারা স্বামী বা স্ত্রী যে কোনো এক প্রান্তে উপস্থিত ছিল। ইজাব কবুল তারা শুনেছে। তবে, এ ঘটনার সময় তারা মজলিসে উপস্থিত ছিল না। অতএব, আপনাদের বিবাহে...


আমি ৫ বছর ধরে নামাজ পড়ি না। অন্তরে নামাজ পড়ার প্রবল ইচ্ছা। কিন্ত কোন এক কারনে আমি নামাজ পড়ি না, (যদিও কোন কারন বা ওজর এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)। আর আমার নামাজ পড়ার কোন রকম সম্ভাবনা নাই (যদিও জানি এটা কোন ভাবে যৌক্তিক নয়)। কিন্তু সন্তান-স্ত্রী, আত্মীয়-স্বজন-পরিচিত জন বা কারও সাথে পরিচিত হওয়া লোকজন নামাজ না পড়লে আমার খুব খারাপ লাগে। এমন কি তাদের এ অবস্থান কোনোভাবে মেনে নিতে পারি না। তাই আমি এসব লোকজনকে প্রবল ভাবে নামাজ আদায় করার জন্য উদ্বুদ্ধ করি। ফলে কেউ কেউ আমার এ উদ্বুদ্ধকরণের ফলে নামাজ আদায় করা শুরু করে। এমন উদ্বুদ্ধকরণ এর কাজটি করার কারণে কি আমার গোনা বা পাপ হবে ?

উত্তর : এমতাবস্থায় উদ্বুদ্ধ করার কারণে কোনো পাপ হবে না। তবে, কোনো কারণ বা অকারণে আপনি নামাজ পড়ছেন না, এতে আপনার অনেক বড় গোনাহ বা পাপ হচ্ছে। আপনি মনের ও শয়তানের ওয়াসওয়াসা এবং ধোঁকায় পড়ে আছেন। সব বাধা ছুড়ে ফেলে...


প্রশ্ন : আমি ৫ বছর ধরে নামাজ পড়ি না। অন্তরে নামাজ পড়ার প্রবল ইচ্ছা। কিন্ত কোন এক কারনে আমি নামাজ পড়ি না, (যদিও কোন কারন বা ওজর এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)। আর আমার নামাজ পড়ার কোন রকম সম্ভাবনা নাই (যদিও জানি এটা কোন ভাবে যৌক্তিক নয়)। কিন্তু সন্তান-স্ত্রী, আত্মীয়-স্বজন-পরিচিত জন বা কারও সাথে পরিচিত হওয়া লোকজন নামাজ না পড়লে আমার খুব খারাপ লাগে। এমন কি তাদের এ অবস্থান কোনোভাবে মেনে নিতে পারি না। তাই আমি এসব লোকজনকে প্রবল ভাবে নামাজ আদায় করার জন্য উদ্বুদ্ধ করি। ফলে কেউ কেউ আমার এ উদ্বুদ্ধকরণের ফলে নামাজ আদায় করা শুরু করে। এমন উদ্বুদ্ধকরণ এর কাজটি করার কারণে কি আমার গোনা বা পাপ হবে ?

উত্তর : এমতাবস্থায় উদ্বুদ্ধ করার কারণে কোনো পাপ হবে না। তবে, কোনো কারণ বা অকারণে আপনি নামাজ পড়ছেন না, এতে আপনার অনেক বড় গোনাহ বা পাপ হচ্ছে। আপনি মনের ও শয়তানের ওয়াসওয়াসা এবং ধোঁকায় পড়ে আছেন। সব বাধা ছুড়ে ফেলে...




আর্কাইভ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ