নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : টেস্ট সিরিজে শ্রীলঙ্কার কাছে যাচ্ছেতাইভাবে ধবল ধোলাইয় হওয়ার পর ওয়ানডে সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে পাকিস্তান। আজ থেকে দুবাইতে শুরু হচ্ছে দুদলের মধ্যকার পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।
২০১০ সালের পর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করছে পাকিস্তান। এরপর এই প্রথম এখানে তারা টেস্ট সিরিজ হারলো। তবে ফর্মেট পরিবর্তনের সাথে সাথে নিজেদের ভাগ্যেরও পরিবর্তন আনতে চায় পাকিস্তান। গত জুনে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফর্মটা অব্যাহত রাখতে চায় তারা। উল্লেখ্য, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শিরোপা জেতে পাকিস্তান।
পাক টেস্ট ও ওয়ানডে দলে পার্থক্য বেশ। ওয়ানডে দল থেকে কেবল অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ, ব্যাটসম্যান হারিস সোহেল ও বাবার আজম এবং ফাস্ট বোলার হাসান আলী ছিলেন টেস্ট দলে। তাদের সাথে ওয়ানডে দলে যোগ দিয়েছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ এবং ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদসহ ১১ জন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে জয় পাওয়া ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ফখর জামান, লেগ স্পিনার শাদাব খান, অলরাউন্ডার ইমাদ ওয়াসিম, ফাহিম আশরাফ এবং পেসার রুম্মন রইস, জুনাইদ খান এবং উসমান সিনওয়ারির মত দ্রæত তারকা খ্যাতি পাওয়া বেশ কিছু তরুণ খেলোয়াড় রয়েছে পাকিস্তান দলে। তবে এই পর্বে মোহাম্মাদ আমিরকে পাবে না পাকিস্তান। দুবাইতে দ্বিতীয় টেস্টে পাঁজরে আঘাত পান এই পেসার।
অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম টেস্ট সিরিজে হেরে বেশ চাপ অনুভব করলেও সিমিত ওভারের ম্যাচে আরো ভাল পারফরমেন্স করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সরফরাজ, ‘অধিনায়ক হিসেবে আপনি যখন প্রথম টেস্ট সিরিজ হারবেন, তখন অবশ্যই একটা চাপ থাকবে। তবে আমরা সে অবস্থা থেকে বেড়িয়ে আসার চেষ্টা করব। আমাদের ওয়ানডে দলটি ভারসাম্যপূর্ণ এবং আমাদের রেকর্ড বেশ ভাল। দলে বেশ কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড় ফিরেছেন এবং আশা করছি আমরা আরো ভাল ক্রিকেট খেলব।’
২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলঙ্কা দল বহনকারী বাসে সন্ত্রাসী হামলার পর নিজেদের হোম গ্রাউন্ড বানানো সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে নিজেদের দশম টেস্ট সিরিজে এসে হারের স্বাদ পায় পাকিস্তান। তবে এখানকার ওয়ানডে রেকর্ড মোটেই পাকিস্তানের পক্ষে নয়। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত এখানে ১২টি ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে পাকরা, হার ৯টিতেই। কেবলমাত্র শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই বার এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একবার সিরিজ জিতেছে।
পক্ষান্তরে নিজেদের শেষ ২১ ওয়ানডে ম্যাচের মধ্যে ১৬টিতেই পরাজিত হয়েছে শ্রীলঙ্কা। গত মাসে ভারতের কাছে হোয়াইট ওয়াশের পর বেশ চাপে পড়েন অধিনায়ক উপুল থারাঙ্গা। এই অবস্থা কাটিয়ে ওঠার ইঙ্গিত দিলেন তিনিও, ‘আমাদের ধারাবাহিকতার অভাব ছিল (ভারতের বিপক্ষে)। আমারা ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং কোন বিভাগেই ভাল করতে পারিনি। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে এ সিরিজে ভাল করতে আমরা মুখিয়ে আছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।