চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, মিয়ানমারে পুনরায় হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে সামরিক জান্তা। জাতিসংঘ মিয়ানমারে হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। জাতিসংঘের ভুমিকা রহস্যজনক বলেই মনে হচ্ছে। তারা মুখে নিন্দা জানায় আর নামে মাত্র কিছু ত্রাণ পাঠিয়ে তাদের দায়িত্ব শেষ করতে চায়। কিন্তু জাতিসংঘের কাজ কি শুধু এতটুকু? জাতিসংঘ মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ সকল বিষয়ে দেখভাল করার এখতিয়ার আছে। তাহলে তারা করছে না কেন? রোহিঙ্গারা শুধু মুসলমান বলেই? আজকে যদি রোহিঙ্গা না হয়ে বৌদ্ধ সন্ত্রাসীরা এমন আক্রমনের শিকার হতো তাহলে জাতিসংঘ কি করতেন? কাজেই জাতিসংঘ মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে।
সম্প্রতি পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক হাফেজ মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন ও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আবদুল কাদের ও আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, যুবনেতা কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম,আলহাজ্ব হারুন অর রশিদ, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মুফতি হেমায়েতুল্লাহ, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াদুদ, আলহাজ্ব নাজিম উদ্দিন, মাওলানা দেলোওয়ার হোসাইন সাকী প্রমুখ।
পীর সাহেব চরমোনাই
সম্প্রতি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতির ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রসংক্রান্ত বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই। আজ এক প্রতিবাদলিপিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, গতকাল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলেছেন, “বিশ^কে অবশ্যই ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রগঠনের ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে....”। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ইসলাম সর্বজনীন ও পূর্ণাঙ্গ ধর্ম বা জীবনব্যবস্থা। অন্য ধর্মের সাথে ইসলামকে গুলিয়ে ফেলা মোটেও সুবিবেচকের কাজ নয়। ইতিহাস স্বাক্ষী, প্রায় ১৪০০ বছর পূর্বে সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মাদ স. ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ আরবে ইসলাম ও মদীনা সনদের ভিত্তিতে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, তা সকল ধর্মের মানুষকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তি দিতে সক্ষম হয়েছিল। যা ইসলাম ছাড়া অন্যান্য ধর্মের মনীষীরা পর্যন্ত তাদের লিখনীতে উল্লেখ করেছেন। এমনকি পাশর্^বর্তী রোম-পারস্যের অন্য ধর্মের মানুষ পর্যন্ত সেসময় নিজ দেশ ত্যাগ করে দলে দলে রাসূল সা. প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রে আবাস গড়েছিল। সেই রাষ্ট্রের কোথাও অন্য ধর্মের মানুষের ধর্মকর্মে বাধা প্রদান বা তাদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে এমন কোন ঘটনা ঐতিহাসিকরা খুঁজে পাননি।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, রাষ্ট্রপতি মহোদয় যে ধর্মনিরপেক্ষতাকে সব ধর্মের মানুষের মুক্তির উপায় হিসেবে বর্ণনা করেছেন, তার কোন বাস্তবতা নেই। তার বক্তব্য রাসূল সা. প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র ব্যবস্থা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞতারই বহি:প্রকাশ।
আমাদের পার্শ^বর্তী ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ভারতে হাজার হাজার ধর্মীয় দাঙ্গা হয়েছে, এখনও প্রতিনিয়ত সেখানে সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত, নিষ্পেষিত ও উপেক্ষিত হয়ে আসছে। তিনি বলেন, দুনিয়া ও আখেরাতের সব সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান একমাত্র ইসলামই দিতে পারে, আর তা হতে পারে রাসূল সা. প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র ব্যবস্থার মাধ্যমে, এ ব্যাপারে বিভ্রান্তির কোন অবকাশ নেই।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আমাদের দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রীও বলেছিলেন, মদীনা সনদের ভিত্তিতে দেশ চলবে। মাননীয় রাষ্ট্রপতির বক্তব্য সংবিধান এবং প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সম্পূর্ণ বিপরীত। রাষ্ট্রপতির মত একটি দায়িত্বশীল পদে থেকে এধরণের অজ্ঞতাপ্রসূত বক্তব্য জাতিকে হতাশ করেছে। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
আল কোরআনের কাব্যানুবাদ
মুহিবুর রহমান খান
সূরা আ’রাফ
মক্কায় অবতীর্ণ : আয়াত ২০৬ রুকু : ২৪
আশ্রয় চাহি আল্লাহর, যেন শয়তান দূরে রয়,
(শুরু করিলাম) আল্লাহর নামে পরম করুণাময়
৮৬। তাহাদের বাধা দিওনা খোদার পথে,
বক্রতা শুধু অনুসন্ধান করিও না উহা হতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।