পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, প্রধান বিচারপতিকে অসুস্থ বলে যাদের দ্বারা ছুটিতে পাঠাতে বাধ্য করেছেন তারাই একদিন আপনাকে অসুস্থ বলে ছুটিতে পাঠাতে পারেন। তাই স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে স্বাভাবিকভাবে চলতে দেন। অস্বাভাবিক পরিস্থিতি আসলে কোন দলই লাভবান হবে না। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যারা এরশাদকে অসুস্থ বানিয়েছিলেন আজও তারাই প্রধান বিচারপতিকে অসুস্থ বানিয়েছেন। গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘সুশাসন ও নাগরিক অধিকার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ছুটির প্রসঙ্গে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, গোটা ব্যবস্থাটাই বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হামলা। কারণ ষোড়শ সংশোধনীর রায় ৭ জন একসঙ্গেই ঐক্যমতের ভিত্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। তাহলে প্রধান বিচারপতির যদি ছুটি হয়, বাকি ৬ জন ছুটি নেন না কেন?
প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া মাদার অব হিউম্যানিটি উপাধি জনগণের সাথে মসকরা মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণের সমর্থন ছাড়া পেশিশক্তির বলে প্রশাসনকে দলীয় ক্যাডার হিসেবে কাজে লাগিয়ে যারা ক্ষমতায় আছেন সেই ক্ষমতার শীর্ষ ব্যক্তিকে যখন মাদার অব হিউম্যানেটি বলে- সেটা জনগণের সাথে মসকরা, ঠাট্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি বলেন, আজকে আদালতের পাশ দিয়ে আসার সময় লক্ষ করলাম রাস্তার দুইপাশে বড় বড় ফেস্টুন টানানো আর সেখানে লেখা আছে মাদার অব হিউম্যানেটি। মনে হল যারা এই শব্দটা যার বেলায় অবতারণা করেছেন, তারা জনগণের সাথে মসকরা করেছেন। গয়েশ্বর বলেন, দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল একটি সরকার যদি থাকে এবং সে রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সংবিধানকে যদি সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয় এবং আইনের শাসন যদি প্রতিষ্ঠিত করা হয় তাহলে সেখানে সুশাসন থাকে। আর এ আইনের শাসনটাকে নিশ্চিত করে স্বাধীন বিচার বিভাগ। স্বাধীন বিচার বিভাগ এবং প্রশাসন একে অপরের পরিপূরক হিসেবে নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার ভূমিকা পালন করে। কিন্তু সরকার সেই বিচার বিভাগকেও মুজিবীকরণ করতে চায়।
দেশের নাগরিকরা সরকারের ভোগান্তির শেষ প্রান্তে উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকে বাংলাদেশের গোটা ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে আমার কাছে মনে হয় সবকিছু শেষের আগে যেসব অস্বাভাবিক ঘটনাগুলো ঘটে এই সরকার তেমনি আচরণ করছে। দেশের জনগণ তাদের ভোগান্তির শেষ প্রান্তে চলে এসেছে। স্বৈরাচার পতনের আগে যেসব ঘটনা ঘটে এখন তার আলামত চলছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য।
শেখ হাসিনা নোবেল পাওয়ার যোগ্য! এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, শান্তির জন্য নয়, অর্থনীতির জন্য নয়, গুমের জন্য তিনি নোবেল পাওয়ার যোগ্য। এমনকি ৫ জানুয়ারির অদ্ভূত নির্বাচনের জন্য তার নোবেল পাওয়া উচিত ছিল। যেহেতু নোবেল কমিটি তাকে দেয় নাই তাই আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের উচিত নীলক্ষেত থেকে একটি নোবেল কিনে তাকে দেয়া। সেখানে অনেক নোবেল পাওয়া যায়।
নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের সভাপতি এ.কে.এম মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিমউদ্দিন নাজিম মাস্টার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি ফরিদ উদ্দীন আহমেদ, বাগেরহাট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।