পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাশিয়ার সঙ্গে যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তৈরি করে গেছেন, সেটিকে আরও উচ্চতায় নিয়ে গেছেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশে আছে শক্তিশালী ও দক্ষ বিচার বিভাগ। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আমাদের বিচার বিভাগ ভয় ও পক্ষপাতিত্বের ঊর্ধ্বে উঠে বিচারকার্য পরিচালনা করছে। আইনের শাসনের শক্ত ভিত্তি যা গণতন্ত্রের অন্যতম খুঁটি বটে। তা নির্ভর করে স্বাধীন, স্বচ্ছ ও কার্যকর বিচারব্যবস্থার উপর। গতকাল সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট জাজেজ লাউঞ্জে বিচার বিভাগের মানোন্নয়নে রাশিয়ার প্রধান বিচারপতি ও বাংলাদেশের দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতির মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। লিখিত বক্তব্যে বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়া ফেডারেশনের অসামান্য অবদান ছিল। একইসঙ্গে জাতি গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা দিয়েছে তারা। তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন সফরকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- বিচার বিভাগের বিভিন্ন দক্ষতা, অভিজ্ঞতা বিনিময় করা; পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করা। ই-সার্ভিস ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের বিষয়গুলো বিনিময় করা।
দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, দুইদেশের বিচার বিভাগের মধ্যে সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে আমাদের বিচার ব্যবস্থা শক্তিশালী হবে। এই সহযোগিতা চুক্তির প্রধান উদ্দেশ্যে হচ্ছে দুই দেশের বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিনিময় করা। একইসঙ্গে বিচার ও মামলা ব্যবস্থাপনায় ই-সার্ভিস প্রতিষ্ঠায় রাশিয়ার প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রাপ্তিও এ চুক্তির অন্যতম উদ্দেশ্য। আর তা বাস্তবায়িত হলে কম সময়ে কম খরচে ও কম লোকবল ব্যবহার করে বিচারিক জট নিরসন করা যাবে।
সমঝোতা স্মারক সই : ই-জুডিশিয়ারিসহ বিচার বিভাগের প্রশাসন ব্যবস্থাপনায় রাশিয়ার সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট একটি সমঝোতা চুক্তি করেছে। বেলা সাড়ে ১১টায় সুপ্রিম কোর্ট জাজেজ লাউঞ্জে এ সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়। বিচার বিভাগের মানোন্নয়নে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে সমঝোতা স্মারকে সই করেন প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা ও রাশিয়ার প্রধান বিচারপতি ভায়াচেসলাভ এম লেভদেভ। এসময় উপস্থিত ছিলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, রুশ রাষ্ট্রদূত, রাশিয়ার বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতসহ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। চুক্তি সইয়ের পর সুপ্রিম কোর্টের সম্মুখভাগে বকুল ফুলের দুটি বৃক্ষ রোপণ করেন দুই প্রধান বিচারপতি।
আপিল বিভাগে বিচারকার্য পরিদর্শন: সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বসে বিচারিক কার্যক্রম দেখেন রাশিয়ার প্রধান বিচারপতি ভায়াচেসলাভ এম লেভদেভ। বেলা ১২টা ১৭ মিনিটে তিনি আপিল বিভাগে প্রবেশ করেন। এসময় রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা মাহবুবে আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এরপর রাশিয়ার প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। এরপর দিনের কার্যতালিকা অনুযায়ী মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। গভীর মনোযোগ দিয়ে বিচারকার্য দেখেন রাশিয়ার প্রধান বিচারপতি। এসময় আইনজীবীদের উপস্থিতিতে পূর্ণ ছিল আদালত। প্রায় ৫৭ মিনিট বিচারকার্য দেখার পর তিনি দুপুর ১টা ১৪ মিনিটে প্রধান বিচারপতিসহ অন্য তিন বিচারপতির সঙ্গে আপিল বিভাগ ত্যাগ করেন।
অ্যাটর্নির সঙ্গে সাক্ষাৎ: সুপ্রিম কোর্টে মধ্যাহ্ন ভোজ শেষে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে বৈঠক করেন রুশ প্রধান বিচারপতি। পরে বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শনে যান তিনি। এর পর সন্ধ্যায় বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির সৌজন্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন রাশিয়া ফেডারেশনের প্রধান বিচারপতি ভায়াচেসলাভ এম লেভদেভের। আজ মঙ্গলবার সারাদিন রাশিয়া দূতাবাসে অবস্থানের পর বিকেলে তার ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।