মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
৩৮ দিন ধরে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়েছিলেন ধর্ষণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ভারতের বিতর্কিত ধর্মগুরু রাম রহিমের সঙ্গী হানিপ্রীত। পুলিশি জেরায় তিনি জানিয়েছেন, কেমন করে পালিয়ে থাকতে সক্ষম হয়েছিলেন। সূত্রের বরাত দিয়ে কলকাতা টোয়েন্টিফোর ডটকম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ৩৮ দিন ধরে ১৭ বার মোবাইল ফোনের সিমকার্ড বদলে ফেলেছেন হানিপ্রীত। এজন্য কখনও তিনি ছদ্মনাম নিয়েছেন। কখনও ব্যবহার করেছেন ছদ্মবেশ। শুধু তাই নয়, যখনই ভুয়ো সিমকার্ড ব্যবহার করেছেন, তখনই সেই ফোনে ইচ্ছা করে দিয়েছেন ভুল লোকেশন। তাই তার নাগাল পেতে গিয়ে বিভ্রান্ত হয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, যে ৩৮টি সিম কার্ড ব্যবহার করেছিল হানিপ্রীত, তার মধ্যে তিনটি সিমকার্ড ছিল আন্তর্জাতিক। ১৬টি ছিল দেশীয়। প্রতিটি সিম ব্যবহার করা হতো আলাদা আলাদা দুটি মোবাইলে। ফোনে কথা বলা নয়, যোগাযোগ করার জন্য হানিপ্রীত ব্যবহার করতেন হোয়াটসঅ্যাপ। পুলিশ সূত্রকে উদ্ধৃত করে কলকাতা টোয়েন্টিফোর ডটকম জানায়, অন্যতম সহযোগী সুখদীপ কউরের সঙ্গেই বেশি কথা হতো হানিপ্রীতের। কমপক্ষে ৩-৪ টি আলাদা নম্বর ব্যবহার করে সুখদীপের সাথে কথা বলতেন তিনি। তবে ঠিক কি কথা হত তাদের মধ্যে তা জানা যায়নি। হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনের বেশিরভাগই এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
পাঁচকুলায় হিংসা ছড়ানোর ক্ষেত্রে হানিপ্রীতের কি ভূমিকা ছিল, তা খতিয়ে দেখতে সিমগুলির বিস্তারিত তথ্য প্রয়োজন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের দাবি, জেরায় হানিপ্রীত সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছেন না। দুই শিষ্যকে ধর্ষণের অভিযোগে গত ২৫ আগস্ট রাম রহিমের ২০ বছর কারাদন্ড ঘোষণার দিন থেকেই ফেরারী ছিলেন হানিপ্রীত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, আদালত থেকে জেলে যাওয়ার পথে ধর্ষক রাম রহিমকে নিয়ে পালানোর ছক কষেছিলেন তিনি। পাশাপাশি, রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করার পর সিরসা ও পাঁচকুলায় যে সহিংসতা ছড়িয়েছিল, তার নেপথ্যে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে হানিপ্রীতের বিরুদ্ধে। ওই হামলায় ৪১ জন মারা গিয়েছিলেন। আহত হয়েছিলেন পাঁচশোর বেশি মানুষ। ধর্ষণ মামলায় রাম রহিম সিং-এর সাজা ঘোষণার পর গায়েব হয়ে যান হানিপ্রীত। তার খোঁজে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এবং একইসঙ্গে নেপাল-সীমান্তেও তল্লাশি চালায় পুলিশ। তার নাম ৪৩ জন ওয়ান্টেড তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। জারি করা হয় লুকআউট নোটিস। পরবর্তীকালে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয় তার নামে। অবশেষে ৩৮ দিন পর সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ৩ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) পাঞ্জাবের জিকাপুর-পাতিয়ালা রোড থেকে গ্রেফতার করা হয়। ৪ অক্টোবরর তাকে ৬ দিনের রিমান্ডে পাঠায় পঞ্চকুলার একটি আদালত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।