পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সঙ্গে সাক্ষাতে বাধা দেয়ার প্রতিবাদে এবং বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি রক্ষার দাবিতে আজ (রোববার) থেকে দেশের সব জেলা বারে মানবব্ন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেয়া হয়।
গত শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতারা প্রধান বিচারপতি এ কে সিনহার সরকারি বাস ভবনে দেখা করতে যেতে চাইলে রাস্তায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাধা দেন। সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, আজকে পাঁচদিন হয়ে গেল, একজন অসুস্থ মানুষ বাসায় থাকবে না হাসপাতালে থাকবে? হাসপাতালেই তো থাকার কথা ছিল নাকি? এতেই প্রমাণিত হয় তিনি সুস্থ, সরকার তাকে জিম্মি করে ছুটিতে যেতে বাধ্য করেছে। সরকারের লোকজন দেখা করছে আমাদের সাক্ষাত করতে বাধা। এতেই প্রমাণ হয় প্রধান বিচারপতি স্বেচ্ছায় ছুটিতে যাননি, তাকে বল প্রয়োগ করে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। প্রধান বিচারপতির অসুস্থতা এবং ছুটি নিয়ে তৈরি হওয়া উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন আইনজীবী সমিতি।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। লিখিত বক্তব্যে সমিতির সভাপতি বলেন, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে অসুস্থ্যতার অজুহাতে সরকার একমাসের ছুটিতে যেতে বাধ্য করেছেন। আমরা মনে করি এই ছুটি তিনি ইচ্ছাকৃত নেন নাই। আইনজীবী সমিতি মনে করে প্রধান বিচারপতিকে গৃহবন্দি, আইনের শাসনের প্রতি হস্তক্ষেপ এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও মর্যাদার রক্ষার জন্য সমিতির কর্মসূচির সঙ্গে একাত্ম হয়ে সারা দেশের আইনজীবীদের ঘোষিত কর্মসূচি পালনের আহবান জানানো হয়। বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি রক্ষায় আজ রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রতিদিন দেশের সব জেলা বারে আইনজীবীরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা পালন করবেন। ১২ অক্টোবর এ বিষয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান আইনজীবী সমিতির সভাপতি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সহ-সভাপতি সহ উম্মে কুলসুম রেখা, বারের সদস্য আয়শা আক্তার, শামীমা সুলতানা দীপ্তিসহ অন্যান্য আইনজীবীরা।
প্রমাণ হয়েছে প্রধান বিচারপতিকে বাধ্য করা হয়েছে-জয়নুল আবেদীন
সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন দাবি করেছেন, ছুটিতে যাওয়া প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের দেখা করতে বাধা দেয়ার মধ্যে দিয়েই প্রমাণ হয়েছে, তিনি স্বেচ্ছায় ছুটিতে যাননি, তাকে বাধ্য করা হয়েছে। জয়নুল আবেদীন বলেন, গত দুই দিন প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আইনমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাসহ সরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ সাক্ষাৎ করেছেন। কিন্তু আমাদের সাক্ষাত করতে বাধা প্রদান করা হয়। এতেই প্রমাণ হয় প্রধান বিচারপতি স্বেচ্ছায় ছুটিতে যাননি, তাকে বল প্রয়োগ করে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। তারা প্রধান বিচারপতিকে তাদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। তিনি অন্তরীণ। একমাত্র সরকার নির্দেশিত ব্যক্তিরাই প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবে, অন্যরা নয়। ছুটি চেয়ে প্রধান বিচারপতির লেখা আবেদনটি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন জয়নুল আবেদীন। প্রধান বিচারপতি ছুটির যে কথিত চিঠি প্রকাশ করেছে,সেই চিঠিতে অনেক জায়গায় বানান ভুল রয়েছে। চিঠি নিয়ে দেশের বিভিন্ন মহল থেকে সন্দেহ প্রকাশ করেছে, করছে। প্রধান বিচারপতির মত একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি কিভাবে ৫টি বানান ভুল থাকা চিঠিতে স্বাক্ষর করতে পারেন এমন প্রশ্নও তুলেছেন।সমিতির সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন তার বক্তব্যে বলেন, দেশের প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে যা চলছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে খুব বিরল। আইনমন্ত্রী বলেছেন তিনি অসুস্থ, মারাত্মক অসুস্থ, ক্যান্সারের রোগী। এজন্য তিনি এক মাসের ছুটি চেয়েছেন। প্রথম দুই-তিনদিন এলাও করেনি, পরে এলাও করেছে। এলাও করেছে বলেই (পৃধান বিচারপতি) ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পূজা দিতে যেতে পেরেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনে যাওয়া এলাও করেছে সরকার। এতে কি প্রমাণ হয়েছে? প্রমাণ হয়েছে প্রধান বিচারপতি অসুস্থ নন। উনি পুরোপুরি সুস্থ।
খোকন বলেন, হিন্দু স¤প্রদায়ের নেতা রানা দাশ গুপ্তের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। রানা দাশগুপ্ত মিডিয়াকে বলেছেন, প্রধান বিচারপতি সুস্থ বলেই তার কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। সুব্রত চৌধুরীর সঙ্গে দেখা হয়েছে, তিনিও বলেছেন তিনি সুস্থ। একটা প্রশ্ন করি সরকারকে-এত মারাত্মক অসুস্থতা নিয়ে প্রধান বিচারপতি ছুটিতে গেলেন, আজকে পাঁচদিন হয়ে গেল, একজন অসুস্থ মানুষ বাসায় থাকবে না হাসপাতালে থাকবে? হাসপাতালেই তো থাকার কথা ছিল নাকি? এতেই প্রমাণিত হয় তিনি সুস্থ, সরকার তাকে জিম্মি করে ছুটিতে যেতে বাধ্য করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।