পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অসর্তকতা ও মোবাইল ফোনে কথা বলতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। এ ধরনের ভয়াবহ মৃত্যুর ঘটনা কমাতে তেমন কোনো উদ্যোগ নেই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বা প্রশাসনের। ব্যক্তিগত সতর্কতার পাশাপাশি সামাজিক ও সরকারিভাবে জনসচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজধানীতে ট্রেনে কাটা পড়ে ২৯ ঘণ্টায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে শুক্রবার রাত ১০টা পর্যন্ত এসব মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে থানা পুলিশ। অনেক সময় প্রতিপক্ষের হাতে খুন হওয়ার পর ঘটনা আড়াল করতে লাশ রেল লাইনেও ফেলে রাখা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশের দেয়া তথ্যানুযায়ী, গত এক বছরে রেললাইনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৫৪ জনের। রেলেওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মো. হাবিবুর রহমান দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, রেললাইন দিয়ে হাঁটা আইনত নিষিদ্ধ। তারপরও মানুষ প্রচলিত আইন অমান্য করে অসচেতনভাবে হাঁটতে গিয়ে চলন্ত ট্রেনে কাটা পড়ছে। প্রতিনিয়ত ট্রেনে কাটা পড়ে নিহতের ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ অবস্থা থেকে নিষ্কৃতির জন্য জনগণকে সচেতন হতে হবে। সচেতনতার বাইরে এর কোনো সমাধান নেই।
রেলওয়ে থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে কুড়িল বিশ্বরোড রেললাইনে ট্রেনের ধাক্কায় কাটা পড়ে ফরিদ মিয়া (৪০) নামে এক ব্যক্তি আহত হন। পরে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়। গত শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে কমলাপুর, বনানীর স্টাফ রোড ও মহাখালী এলাকায় রেললাইন পার হওয়ার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত তিনজন এবং আবদুল্লাহপুর কোটবাড়ী এলাকায় রাকিব হোসেন (২৫) নামে একজন প্রাণ হারান। কেবল ঢাকায় নয়, সারা দেশেই ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর সংখ্যা উদ্বেগজনক। গত এক বছরে সারা দেশে রেলওয়েতে শুধু লাইনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে দুই সহস্র্রাধিক মানুষের। রেলওয়ের সিগন্যাল ও গার্ডসহ নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিতদের অসতর্কতা কিংবা অবহেলার কারণেও রেল দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এসব দুর্ঘটনায় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৭ কোটি টাকার উপরে। দেশে রেলওয়ের নেটওয়ার্কে দুই হাজার ৫৪১টি লেভেল ক্রসিং থাকিলেও রেলরক্ষী রয়েছে মাত্র ২৪২টিতে। রেলওয়ের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিন কারণে রেল দুর্ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে লেভেল ক্রসিং দুর্ঘটনা, সিগন্যাল লাইনে ত্রæটি এবং উন্নয়ন কাজ চলা অবস্থায় ট্রেন লুপ লাইন কিংবা সাইড লাইনে চলে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে রেললাইনের উপর পথচারীদের অসচেতন চলাচল মৃত্যুর বড় কারণ। অনেকেই মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রেললাইন দিয়ে হেঁটে যান। কানে মোবাইল থাকায় ট্রেন আসলেও ওই ব্যক্তি কোনো শব্দ শুনতে পান না। ফলে প্রাণনাশের ঘটনা ঘটে। ঢাকা রেলপথ পুলিশের মতে, রেললাইনে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর অন্তত ৩০ শতাংশই ঘটে মোবাইল ফোনে কথা বলে পথ চলার কারণে। তা ছাড়া অসতর্ক হয়ে রেললাইন পার হওয়াসহ অন্যান্য কারণে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। এইসব দুর্ঘটনা ঠেকাতে পুলিশের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক লিফলেট বিলি করা হয়। রেললাইনে না হাঁটার জন্য স্টেশন থেকে মাইকিংও করা হয়। কিন্তু তারপরও দুর্ঘটনার লাগাম টানা সম্ভব হয় না। রেল সূত্রে জানা গেছে, রেললাইনের দুইপাশে ১০ ফুট করিয়া মোট ২০ ফুট এলাকায় যে কোনো মানুষ প্রবেশ করা আইনত দন্ডণীয় অপরাধ। এমন কি ২০ ফুটের মধ্যে কোনো গবাদিপশু প্রবেশ করলে তা আটকের মাধ্যমে বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ রেলওয়ে কোষাগারে জমা দেয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এ ধরনের আইন রেল কর্তৃপক্ষ প্রয়োগ করেন না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।