Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা স্বর্ণযুগ অতিক্রম করছে -প্রফেসর ড. আহসান উল্লাহ

| প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আবুল কালাম আজাদ, বালাগঞ্জ (সিলেট) থেকে: আড়ম্বরে সম্পন্ন হল আরবি ভাষা ও ইসলামি জ্ঞান বিষয়ের উপর সিলেটপর্বের প্রতিযোগিতা। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত মাদরাসার শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের এই প্রতিযোগিতা গত শুক্রবার সিলেট নগরীর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সম্পন্ন হয়। এতে বিজয়ী ১১ জনের মধ্যে প্রথম ৪ জনকে জাতীয় পর্যায়ে ঢাকার প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য ইয়েসকার্ড দেয়া হয়। সকালে প্রতিযোগিতার পর বিকেলে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সলর প্রফেসর ড. মুহম্মদ আহসান উল্লাহ। তিনি বলেন, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর দেশের পিছিয়ে থাকা মাদরাসা শিক্ষা প্রাণ পেয়েছে। গত কয়েক বছরেই পাল্টে গেছে এর চেহারা। এখন আধুনিক শিক্ষা আর মাদরাসা শিক্ষার মধ্যে মৌলিক পার্থক্য ছাড়া কোন পার্থক্য নেই। একই সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শিক্ষকরাও।
আধুনিকায়ন করা হচ্ছে কারিক্যুলাম। আমূল পরিবর্তন নয়, বরং গঠনমূলক পরিবর্তনের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে দেশে ইসলামি শিক্ষা প্রসারের এই মাধ্যম। বর্তমানে দেশের মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা তার স্বর্ণযুগ অতিক্রম করছে। ভিসি ড. মুহম্মদ আহসান উল্লাহ বলেন, যে কোন প্রতিযোগিতা জ্ঞানের পরিধিকে আরও বাড়িয়ে দেয়। শানিত করে চিন্তা ও মেধার গতিকে। এজন্য পড়াশোনার পাশাপাশি জ্ঞানের বিকাশে সহায়ক হিসেবে প্রতিযোগিতার আয়োজন বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, আরবি বিশ্ববিদ্যালয় অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে প্রতিষ্ঠার পর এর অস্তিত্ব যখন নানাভাবে হতাশায় নিমজ্জ্বিত হয়ে পড়ছিল। তখনই বর্তমান প্রশাসন এর হাল ধরে। এ মুহুর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে গতি এসেছে এটি বিশ্ববিদ্যালয়কে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই গতি শিক্ষার্থী পর্যন্ত পৌছে দিতেই প্রথমবারের মত দেশব্যাপি ‘ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় প্রতিযোগিতা ২০১৭’-এর আয়োজন করা হয়েছে।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছে সংগ্রামের মাধ্যমে। এই বিশ্ববিদ্যালয় যাতে মানুষগড়ার কারিগর হয়ে ওঠে প্রত্যেককে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। লা-মাজহাবিরা যাতে কোনও ভাবে দেশের ইসলামি শিক্ষাকে বিভ্রান্ত করতে না পারে এবং সঠিক আকিদার আখলাকিরা তাদের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করতে পারে সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে সচেষ্ট হতে হবে। মনে রাখতে হবে, শিক্ষার্থীরা শুধু সার্টিফিকেট আর শিক্ষকরা বেতনের টাকার জন্য যেন মাদরাসা শিক্ষার সাথে সংশ্লিস্ট না হন। তিনি বলেন, গাফিলতিতে নিমজ্জিত হলে এবং নৈতিকতা হারিয়ে ফেললে আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য অর্জিত হবে না। প্রত্যেকে নিজেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অংশ মনে করেই নিজের বিশ্ববিদ্যালয়কে তার অবস্থানে টিকিয়ে রেখে আরও শক্তিশালী করতে হবে।
মোহনা টিভির উপস্থাপক মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ বেলাল আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সুবহানীঘাট শাহজালাল দারুচ্ছুন্নাহ ইয়াকুবিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা কমরুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী, কামালবাজার ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা একেএম মনোওর আলী, সুবহানীঘাট শাহজালাল দারুচ্ছুন্নাহ ইয়াকুবিয়া কামিল মাদরাসার উপধ্যক্ষ মাওলানা আবু সালেহ কুতবুল আলম প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাদরাসা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ