Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রিয়াদ-মস্কোর ঐতিহাসিক অস্ত্র ও জ্বালানি চুক্তি

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সউদী আরবের বাদশাহ সালমান তার ঐতিহাসিক রাশিয়া সফরে গত শুক্রবার দেশটির সঙ্গে বিশাল অংকের বেশ কয়েকটি অস্ত্র ও জ্বালানি চুক্তি সম্পাদন করেছেন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুটি জ্বালানি রফতানিকারক দেশের দুই শীর্ষনেতা ওপেকের চুক্তির বিবর্ধনের অংশ হিসেবে বেশকিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং তেলের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে সম্মত হন। এছাড়া দুদেশের কর্মকর্তাদের বরাতে জানা যায়, দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান কয়েকশ কোটি ডলারের চুক্তিতে সম্মত হন। সউদী আরব প্রাথমিকভাবে রাশিয়ার এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও ট্যাঙ্কবিধ্বংসী মিসাইল সিস্টেম ক্রয় করতে সম্মত হয়েছে, দেশটি থেকে ‘কাটিং এজ টেকনোলজি’ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে সউদীর রাষ্ট্রীয় সামরিক প্রতিষ্ঠান সউদী এরাবিয়ান মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিজ (সামি)। এছাড়া দেশ দুটি কয়েকশ কোটি ডলার বিনিয়োগের ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। এর মধ্যে জ্বালানি প্রকল্পের অর্থায়নে ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের একটি তহবিল গঠন করা হবে। সউদী আরব ঐতিহ্যগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র এবং স্নায়ুযুদ্ধের সময়কাল থেকে রাশিয়ার সঙ্গে তাদের এক ধরনের দূরত্ব আছে। সালমান হচ্ছে প্রথম সউদী রাষ্ট্রপ্রধান, যিনি ক্ষমতায় থাকাকালে রাষ্ট্রীয় সফরে রাশিয়া গেলেন। প্রেসিডেন্ট পুতিন এ বিশেষ মুহূর্তটিকে দুদেশের সম্পর্কোন্নয়নের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুসজ্জিত ক্রেমলিন হলে ৮১ বছর বয়স্ক সালমানকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, তার এ সফর দুদেশের বন্ধনকে দৃঢ় করবে বলে তিনি আশা রাখেন। জবাবে সউদী বাদশাহ বলেন, শান্তি ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য তারা এ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে জোরদার করার লক্ষ্যে কাজ করছেন। তিনি আরো যোগ করেন, এর ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতিরও উন্নয়ন ঘটবে। বাদশাহের সফরসঙ্গী সউদী আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবায়ের সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়া ও সউদী আরব এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে পৌঁছেছে। বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য যে তহবিল গড়ে তোলা হয়েছে, তার প্রধান কিরিল দিমিত্রিয়েভ, ‘আজ আমরা, রাশিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড এককভাবে ২১০ কোটি ডলারের চুক্তির ঘোষণা করছি।’ রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ চুক্তিগুলোর বিশদ ব্যাখ্যা করে বলেন, এগুলো কেবল প্রথাগত জ্বালানি খাতে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং পরমাণু শক্তির ব্যাপারেও কার্যকর হবে। এছাড়া মহাকাশ অভিযান, কৃষি-শিল্প এবং অবকাঠামো প্রকল্পগুলোতেও কার্যকর হবে। সউদী আরব হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা এবং গত মে মাসে ওয়াশিংটন ও রিয়াদের মধ্যে স্বাক্ষরিত এক চুক্তিতে সউদী আরব ১১ হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র কিনবে বলে ঘোষণা দেয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের মিত্র সউদী আরব রাশিয়ার সঙ্গে সখ্য বাড়াতে চাইছে। সিরিয়ায় চলমান সংঘাত এবং তেল উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে জ্বালানির মূল্য নির্ধারণে রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে তাদের প্রতি উৎসাহী হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যর দেশটি। এএফপি, আল-জাজিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অস্ত্র

৬ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ