রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) থেকে শেখ সালাউদ্দিন
সীতাকুন্ডে আখের উৎপাদন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। তার সাথে বেড়েছে কৃষকদের সংখ্যাও। উপজেলার ৫৫ জন কৃষি পরিবার আখ বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। ফলে নতুন করে আখ চাষে তাদের আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে। একসময় এই অঞ্চলের গ্রাম-গঞ্জের মেঠো পথ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় আখ মাড়াইয়ের সুগন্ধ বাতাসে ভেসে আসত। আর আখ মাড়াই শেষে তারা আখের গুড় মাটির কলসি করে অনেক যতেœ ঘরে তুলতেন। এ ছাড়া আখের মৌসুমে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বাজারে আসা মানুষগুলো অন্ততপক্ষে একটি হলেও অন্যান্য পণ্যের সাথে আখ ক্রয় করে তাদের সন্তানদের জন্য নিয়ে যাবেনই। আর শহরে থাকা মানুষগুলোও বাড়িতে বেড়াতে এসে আখের কিছুটা স্বাদ নিতে তারাও জমিতে আখ সংগ্রহে নেমে পড়তেন। কিন্তু ওই সময় থেকে অজ্ঞাত কারণে আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হতে থাকে আখ চাষ। এরই মাঝে দীর্ঘ সময় পার হওয়ার পর আখ চাষের পুরনো ঐতিহ্য ধরে রাখতে উপজেলার কৃষি পরিবারগুলো আবারো আখ চাষ শুরু করে। তারই ধারাবাহীকতায় গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে যেমন বেড়েছে জমির সংখ্যা, আর অন্যদিকে বেড়েছে উৎপাদন ও কৃষকের সংখ্যাও। এ বিষয়ে পৌরসভাস্থ বøকে দায়ীত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহ্ আলম জানান, শুধু ইকো-পার্ক পাহাড়ের পাদদেশে ২৮ একর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান বাজারে আখের দাম ভালো। তাই কৃষক পরিবার নতুন করে আবার আখ চাষ শুরু করেছে। মুরাদপুর ইউনিয়নের ফকির হাট চৌধুরী পাড়ার কৃষক বিপুল জানান, এবার ৩২ শতক জমিতে আখ চাষ করেছেন তিনি। এতে তার খরচ পড়েছে মাত্র ৩০ হাজার টাকা। তার জমির আখ পাইকারিতে বিক্রি করেছেন প্রায় এক লাখ টাকা। আখের উৎপাদনও অনেক ভালো হয়েছে। একই ইউনিয়নের ঢালী পাড়া গ্রামের কৃষক মো. মান্নানসহ ইকো-পার্ক এলাকায় অনেকে আখ চাষ করেছেন। অপরদিকে মধ্যম বাঁশবাড়ীয়া বøকে দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুল মুনছুর জানান, তার এলাকায় প্রায় ১১ জন কৃষক চলতি বছরের আখের চাষ করেছেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এখন কৃষি পরিবারগুলো আখের প্রথম অবস্থায় ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে বলে দিন দিন আখ চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। এ এলাকার কৃষক মো. খোরশেদ আলম বলেন, তিনি এবার ২৪ শতক জমিতে আখ চাষ করেছেন। এতে তার সব মিলিয়ে খরচ পড়েছে ৩৫ হাজার টাকা। তিনি তার জমির আখ পাইকারিতে বিক্রি করেছেন এক লাখ ২০ হাজার টাকা। এভাবে এ এলাকায় কৃষক মো. আজিজুর রহমানও এবার ব্যাপকভাবে আখ চাষ করেছেন। এদিকে উপজেলা কৃষি অফিসার সুশান্ত সাহা জানান, এক সময়ে এই অঞ্চলে আখ চাষ বেশি হতো। মাঝে আখের চাষ কিছুটা কমে গেলেও বর্তমানে কৃষকরা তাদের ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে পুনরায় আখ চাষ শুরু করেছেন। আখ চাষে যে সময়টা লাগে ওই সময়ের মধ্যেই কৃষকরা তাদের ক্ষেত থেকে দুই-তিন বার অন্যান্য ফসল উৎপাদন করতে পারেন। তাই সে কারণেই আখ চাষে আগ্রহ কিছুটা কম কৃষকদের। তবে আখের দাম ভালো হওয়ায় চলতি বছরে আখ চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। তাই গত বছরে তিন হেক্টর জমিতে মাত্র ৪০ জন কৃষক আখ চাষ করেছিলেন। বর্তমানে তা বেড়ে ৫৫ জন কৃষক ১০ হেক্টর জমিতে আখ চাষ করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।