Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২২ দিন মাছ আহরণ নিষিদ্ধ

| প্রকাশের সময় : ৩ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মংলায় অর্ধকোটি টাকার অধিক ইলিশ ও জাল আটক
মংলা বন্দর থেকে মনিরুল ইসলাম দুলু : মংলা ও সুন্দরবন এলাকায় ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মংলা উপজেলা প্রশাসন ২২ দিন এখানকার সকল খাল ও নদীতে টহল ও নজরদারিতে রাখবে। কঠোর হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে আহরণকারীদের বিরুদ্ধে। ধরা পড়লেই ভোগ করতে হবে কারাদন্ড। এমনটাই ঘোষণা দিয়েছেন মংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রবিউল ইসলাম।‘মা ইলিশের ডিম ছাড়ার সুযোগ দিন, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভ‚মিকা নিন’ এ সেøাগানে শনিবার মধ্য রাত (১ থেকে ২২ অক্টোবর) থেকে মংলায় শুরু হয়েছে মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম।এ সময় ইলিশসহ সব মাছ শিকার, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
মংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রবিউল ইসলাম বলেন, ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। পুলিশ, কোস্টগার্ড, মৎস্য অফিস ও উপজেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাবে এবং জেলে, মৎস্য ব্যবসায়ীসহ জনসাধারণকে সচেতন করছেন। মা ইলিশ রক্ষায় প্রতিদিন তার নেতেৃত্বে নদীতে অভিযান চলবে। জেলেদের ইলিশ ধরা থেকে বিরত রাখতে মংলার প্রশাসন বদ্ধপরিকর। তিনি আরো জানান, গত মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের জারি করা এক আদেশে বলা হয়, প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিস অ্যাক্ট ১৯৫০ অনুযায়ী ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ১ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ বা বিক্রয় নিষিদ্ধ। সরকারের এ আদেশ অমান্য করে ইলিশ মাছ আহরণ ও বিক্রি করলে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড বা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দন্ড দেয়া হবে। বন বিভাগ ২২ সুন্দরবনের খালে মাছ আহরণ বন্ধ রাখাল লক্ষে পাশ-পারমিট বন্ধ রেখেছে।
মংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রবিউল ইসলাম জানান, মংলা সকল নদী ও সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তিনি জানান, ২২দিন মংলা উপজেলা প্রশাসন খাল ও নদী টহল ও নজরদারিতে থাকবে। এই সময় যদি কাউ হাতেনাতে ধরা পড়ে, তাহলে তাকে কারাদন্ড ভোগ করতে হবে।
এদিকে, অর্ধকোটি টাকার জাটকা ও জাল জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড। রোববার (১ অক্টোবর) দিনব্যাপী দাকোপ উপজেলার বাজুয়া, নালা ও লাউডোব ঘাট এলাকা থেকে এসব জব্দ করা হয়। পরে সকাল রোববার ১০টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদৌস আনসারীর উপস্থিতিতে জালগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এ ছাড়াও জাটকাগুলো বিভিন্ন এতিমখানার শিশুদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
মংলাস্থ কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট এম এইচ আই সিদ্দিক জানান, ভোরে মা ইলিশ রক্ষায় কোস্ট গার্ডের নিয়মিত অভিযানে এসব জাল ও জাটকা জব্দ করা হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় টাকা ৫০ লাখ টাকা। তবে কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে জেলেরা পালিয়ে যায়। এ ছাড়াও রোববার (১ অক্টোবর) রাতে উপজেলা প্রশাসন পশুর নদীতে অভিযান চালিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার মিটার জাল আটক করে। পরে সোমবার দুপুরে ওই জাল পুরিয়ে ফেলা হয়।
মংলা উপজেলা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো: হালিম জানান, মংলায় ইলিশ মাছ বিক্রি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কোনো ব্যবসায়ী ২২ দিন ইলিশ ব্যবসা করবেন না।
আড়ৎদার ব্যবসায়ী রবি ডাকুয়া জানালেন, ইলিশ মাছ বেচাকেনা বন্ধ রয়েছে।
ক্রেতা শ্যামল বিশ্বাস জানালেন, ইলিশ তিনি কিনতে এসেছিলেন। কিন্তু কিনতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইলিশ

২০ নভেম্বর, ২০২২
২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ