পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান, টেকনাফ থেকে : মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবার দু-দিনের সময় দিয়ে মংডু শহরের রোহিঙ্গা মুসলমানদের দেশ ছাড়তে মাইকিং করেছে জানিয়েছেন ফের পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা। এছাড়া মাইকিং করার পাশাপাশি ছোট ছোট গ্রামগুলোতে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে সেনাবাহিনী।
গত ২৪ আগষ্ট মিয়ারমারের পুলিশ চৌকিতে হামলার পর থেকে রাখাইন রাজ্যের বুচিদং ও রাচিদং মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও অগ্রবৌদ্ধরা রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর পোড়ানোর পাশাপাশি গণহত্যা, ধর্ষণ, অত্যাচার-নির্যাতন চালায়। এরপর থেকে প্রাণে বাঁচতে অক্ষত থাকা মংডু এলাকার গ্রামগুলো আশ্রয় নেয় এবং অনেকে পালিয়ে আসে বাংলাদেশে। আগামী শনি ও রোববার দুদিনের মধ্যে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের মংডু ছেড়ে না গেলে আগুনে পুড়িয়ে ও গুলি করে মেরে ফেলা হবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
মিয়ানমার পালিয়ে আসা মিয়ানমার সীমান্তবর্তী শাহপরীরদ্বীপ এলাকায় অবস্থান নেওয়া রোহিঙ্গা ও উখিয়ার কুতপালং, বালুখালী, পালংখালী এলাকা ঘুরে শরণার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে ।
তাদের ভাষ্যমতে, মাইকিং করে বলা হচ্ছে, মিয়ানমার তোমাদের দেশ নয়। তোমরা বাঙালি। তোমাদের দেশ বাংলাদেশ। অন্যন্য এলাকার রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে। তোমরা মিয়ানমার ছেড়ে চলে যাও। না গেলে তোমাদের পুড়িয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হবে। এজন্য তারা দলে দলে প্রাণ বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে। মিয়ারমারের মংডু বমো পাড়ার বাসিন্দা মো: কামাল বলেন, মাইকিং করে চলে যেতে বলছে। আবার অতর্কিত এসেও ঘরে আগুন দিচ্ছে, গুলি করছে। বার্মার মগ ও সেনাবাহিনী যা ইচ্ছা তাই করছে। তাই প্রাণে বাঁচতে স্বপরিবারে নিয়ে ১ লাখ টাকার বিনিময়ে শাহপরীরদ্বীপ এলাকার দালাল শামসুল আলম হাসুর মাধ্যমে বাংলাদেশ আসতে পেরেছি। তার জন্য আল্লাহর কাছে শুকুরিয়া করছি। তাদের সাথে আসা উকিলপাড়ার রশিদা বেগম সাথে কথা হলে সে জানায়, তাদের এলাকার “থাব্বে” দালাল জাবেদ এলাকার সেনাবাহিনীর সাথে (আরসা) নির্ধন করতে কাজ করতে হবে জানিয়ে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাদের ১০ জনের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা করে মুক্তিপল আদায় করার পর তাদের ছেড়ে দিলেও ১৩ জনকে হত্যা করেছে সেনাবাহিনী। কিন্তু স্বামীর লাশ দেখার সেই সুযোগ পাইনি। দুই ছেলে ও দুই মেয়েসহ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছি।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংতার শুরুর পর থেকে রাচিদং ও বুচিদংয়ে রোহিঙ্গাদের প্রায় দেড় শতাধিক গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই সময় দলে দলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তখন প্রায় সাড়ে চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।