Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক পর্যায়ে ১০.৭৫% মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব

গণশুনানির তৃতীয় দিনে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম গড়ে ১০.৭৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তব করেছে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)।
গতকাল বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি মিলনায়তনে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) আয়োজিত ধারাবাহিক গণশুনানির তৃতীয় দিনে আরইবির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন এ প্রস্তাব করেন। তবে বিইআরসি কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি বিদ্যুতের দাম গড়ে ৭.১৯ শতাংশ বৃদ্ধিতে মত দিয়েছে।
আরইবি চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে প্রতি ইউনিট খরচ ৬.৭৮ টাকা আর জনগণের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে গড়ে ৬.১২ টাকা। এর মধ্যে প্রতি ইউনিটে .৬৬ টাকা লোকসান দেওয়া হচ্ছে। গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম গড়ে ১০.৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলামের সভাপতিত্বে বিইআরসি কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি বিদ্যমান ভারিত গড় খুচরা ট্যারিফ ইউনিটপ্রতি ৬.১২ টাকা থেকে ০.৪৪ টাকা অর্থাৎ ৭.১৯ শতাংশ বৃদ্ধি করে নিট রাজস্ব চাহিদা ৬.৫৬ টাকা করার পক্ষে মত দেয়।এখানে ইউনিটপ্রতি নিট রাজস্ব চাহিদা ৬.৫৬ টাকার মধ্যে বিদ্যুৎ ক্রয় খরচ ৪.৯৬ টাকা ও নিট বিতরণ খরচ ১.৬০ টাকা ধরা হয়েছে।
আরইবির তথ্য মতে, সারা দেশে তাদের গ্রাহক সংযোগ ২ কোটি ১ লাখ। এর মধ্যে বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী ৭৫ শতাংশ। বিদ্যুৎ গ্রহণের সক্ষমতা ৮ হাজার ২৯৩ মেগাওয়াট। মাসিক বিক্রয় ১২৫০ কোটি এবং সিস্টেম লস ১১.৪৪ শতাংশ। আরইবি আবাসিকে ন্যুনতম বিল ৬৫ টাকা থেকে ২০ টাকা বাড়িয়ে ৮৫ টাকা করার প্রস্তাব করেছে। এ ছাড়া সার্ভিস চার্জ ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। আবাসিকে সর্বনিম্ন ১.৫৬ শতাংশ থেকে ১২.৪৩ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধির প্রস্তাব করে আরইবি। এতে সর্বোচ্চ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে ৩০১ থেকে ৪০০ ইউনিট ব্যবহারকারী গ্রাহকদের। এই ধাপে বর্তমানে ইউনিট প্রতি ৫.৬৩ টাকা রয়েছে। প্রস্তাব অনুমোদন হলে ইউনিটপ্রতি দাম পড়বে ৬.৩৩ টাকা। দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়ার সময় আরইবির চলমান প্রকল্প ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও তুলে ধরা হয়। সিস্টেম উন্নয়ন পরিকল্পনায় ১৬টি চলমান প্রকল্পের ৪২৩টি নতুন উপকেন্দ্র নির্মাণ এবং ৬৩টি উপকেন্দ্র আপগ্রেশন চলছে। ৯০ লাখ ডিজিটাল মিটার স্থাপন করা হয়েছে যা আগামী বছরের জুনে ১.৩০ কোটিতে উন্নীত করা হবে। ২০১৮ সালের মধ্যে আরো ১.২০ লাখ বিতরণ ট্রান্সফরমার স্থাপন করা হবে। একই সময়ের মধ্যে ১০.১৬ লাখ গ্রিপেইড মিটার ও সাতটি সোলার চার্জিং স্টেশন নির্মাণ করা হবে। তবে মিটার বা ট্রান্সফরমার গ্রাহকদের দ্বারা নষ্ট হলে তার ব্যয়ভার গ্রাহকদের ওপর বর্তাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পল্লী বিদ্যুত

২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ