বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বঙ্গবন্ধুর নামে করা কলেজের নাম পরিবর্তন এবং তার ছবির অবমাননা করার অভিযোগে দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপালের বিরুদ্ধে দিনাজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত-২-এ অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে জাতির পিতার প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শন আইন ২০০১ এর ৪ ধারা এবং দ:বি: আইনের ৫০০/৫০১ ধারায় বীরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের কার্যকরী সদস্য ও উপজেলার গোপালপুর বাসুদেবপুর গ্রামের মৃত: আব্দুল জব্বারের ছেলে অজিবুল ইসলাম বাদী হয়ে পৃথক দু’টি অভিযোগ দায়ের করেন। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট লুৎফর রহমান আজ বৃহস্পতিবার এই অভিযোগের শুনানীর দিন ধার্য্য করেছেন। অভিযোগের বাদী পক্ষের আইনজীবী জিয়াউর রহমান আমিন এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পৃথক দু’টি অভিযোগে বলা হয়, স্থানীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল ক্ষমতার অপব্যবহার করে বীরগঞ্জ থানার ২নং পলাশবাড়ী ইউনিয়নে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু মহাবিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে নিজ নাম করেন। একইসাথে তিনি বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত সাইন বোর্ড ইচ্ছাকৃতভাবে নামিয়ে অবমাননাকর কার্য করেন। শুধু তাই নয়, সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত নামের সাইনবোর্ডটি কলেজের বাথরুমে অবজ্ঞা ও অবহেলিত করে ফেলে রাখেন। এতে করে ওই সংসদ সদস্য জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের নাম পরিবর্তন করে ও বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত সাইনবোর্ড সরিয়ে তাকে খাটো এবং মানহানীজনিত অপরাধ করেছেন বলে বাদী তার অভিযোগে উল্লেখ করেন।
মামলার বাদী আরও উল্লেখ করেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেন ‘আমি নিজ ক্ষমতাবলে এটি করেছি। কলেজের বিষয়ে আপনারা মাতব্বরী করবেন না, আমার ভুল ধরবেন না। আমি এলাকার এমপি এবং নিজ ক্ষমতাবলে এমপি হয়েছি। আমি বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা কাউকে মানিনা। আমি আওয়ামী লীগ করিনা, আমি জাগপার লোক, আমার নেতা শফিউল আলম প্রধান বঙ্গবন্ধু না। শুধু আওয়ামী লীগের ব্যানারে চলাফেরা করি। আমার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে জানালে কিছু হবে না, প্রয়োজনে আমি স্বতন্ত্র দাড়াবো। থানা পুলিশ আমার হাতে, তারা কিংবা অন্য কোন অফিস আমার বিরুদ্ধে তদন্ত করবে না।’ এসব কথায় বাদী ও স্বাক্ষীরা অত্যন্তভাবে মনে কষ্ট পান এবং অপমানিত হন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। বাদী তার অভিযোগে বলেন, এসব বিষয়ে অনেক দালিলিক প্রমাণ আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।