পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় চোর সন্দেহে সাগর (১৬) নামে এক কিশোরকে মধ্যযুগীয় কায়দায় খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে রিয়াজ উদ্দিন (৫০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার চরশ্রীরামপুর এলাকা থেকে তাকে ধরা হয়।
সে গাউছিয়া মৎস্য হ্যাচারিতে সাগরকে নির্যাতনের সময় উপস্থিত ছিল। গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার আহামেদ জানান, মঙ্গলবার সাগরের পিতা শিপন মিয়া বাদী হয়ে হত্যার ঘটনায় গাউছিয়া মৎস্য হ্যাচারির মালিক আক্কাছ আলী ও তাঁর চার ভাই হাসু, সাত্তার, জুয়েল ও সোহেল এবং হ্যাচারির কর্মচারী কাইয়ুমের নাম উল্লেখসহ আরো ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তি মামলার তালিকাভুক্ত আসামি না হলেও সাগরকে নির্যাতনের প্রকাশিত ছবি দেখে নিজ বাড়ি থেকে মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার আহম্মদ। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে জানান তিনি। গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তি চরশ্রীরামপুর গ্রামের মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন (৫০)। সে মামলার প্রধান আসামি আক্কাছ আলীর আত্মীয়। আটককৃত ব্যাক্তিকে গৌরীপুর থানায় জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। সাগরকে নির্যাতনের প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায় সাগরের চুল মুঠি ধরে রেখেছে রিয়াজউদ্দিন।
অপরদিকে সাগরের লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পোস্ট মর্ডামের পর জানাযা শেষে ময়মনসিংহ ভাটিকাশর গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সাগরের মা মোছা: হাসিনা খাতুন বলেন, আমি গরিব মানুষ, সাগর ভাংগারীর ব্যবসা করে সংসার চালাতো, আমার ছেলে সম্পূর্ণ নির্দোষ, আমি খুনিদের ফাঁসি চাই।
উল্লেখ্য, গত সোমবার ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা সদর থেকে দশ কিলোমিটার দূরে ডৌহাখলা ইউনিয়নের চরশ্রীরামপুরের গাউছিয়া মৎস্য হ্যাচারিতে চোর সন্দেহে খুঁটিতে বেঁধে সাগর মিয়াকে (১৬) নির্যাতন করে হত্যার পর লাশ কাশবন গুম করে রাখে। ঘটনার ৩০ ঘণ্টা পর আক্কাছ আলীর বাড়ির সামনে কাশবন থেকে সাগরের লাশ উদ্ধার করে গৌরীপুর থানা পুলিশ। নিহত সাগর ময়মনসিংহ শহরের নাটঘরলেন সংলগ্ন রেলওয়েবস্তি বাসিন্দা মো. শিপন মিয়ার ছেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।