Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতিসংঘ ওআইসিসহ সকল মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ভূমিকা রাখতে হবে

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন স্বাধীন আরাকান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

খেলাফত আন্দোলনের গোলটেবিলে নেতৃবৃন্দ
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন আমীর মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ বলেছেন , সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত অধিকার। বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার সরকার সে দেশের মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদেরকে সমূলে উচ্ছেদের জন্য নাগরিকত্ব আইন পরিবর্তন করেছে। সংখ্যাগুরু বৌদ্ধ সন্ত্রাসীরা নিরাপত্তাবাহিনীর সাথে একাত্ম হয়ে আরাকানের হাজার হাজার নিরীহ নিরপরাধ রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে জাতিগত নিধনের লক্ষ্যে গণহত্যা ও দেশ থেকে বিতারিত করছে।
তিনি বলেন, আরাকান একটি স্বাধীণ রাজ্য ছিল। মুসলিম জনগোষ্ঠি আরাকানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ১৭৮৪ সালে আরাকান রাজ্য যুদ্ধে পরাজিত হলে বার্মার দখলে যায়। বার্মার সৈন্যদের জুলুম অত্যাচারে আরাকানের বহু মুসলমান ও বৌদ্ধ রাখাইন সংলগ্ন বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বৃটিশের কাছে বার্মা যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর অধিকাংশ আরাকানী মুসলমান আরাকানে ফিরে যায়। এটা ঐতিহাসিক সত্য।রোহিঙ্গা মুসলমানরা জন্ম সূত্রে সে দেশের নাগরিক। তাদের বর্বরতা ও নৃশংস মাধ্যমে তাদেও জন্ম ভুমি আরাকান থেকে তাড়িয়ে দিয়ে মিয়ানমারকার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সকল আইন ও মানবাধিকার লঙ্গন করছে। তিনি বলেন, নতজানু হয়ে এ হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করা যাবে না। রোহিঙ্গা মুসলিম রক্ষা এবং মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বন্ধে বাধ্য করতে মিয়ানমার সরকারের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন এবং অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করার জন্য জাতিসংঘ, ওআইসিসহ সকল মুসলিম রাষ্ট্র প্রধানদের ভুমিকা রাখতে হবে। একিই সাথে গণহত্যা বন্ধে একদল জানবাজ যুদ্ধাকে জিহাদে ঝাপিয়ে পরতে হবে। এবং রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য আরাকানকে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কর্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
গতকাল বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। এতে আরো বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর আল্লামা নূর হুসাইন কাসেমী, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম বীর প্রতীক, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমীর ড. মাওলানা মোঃ ঈসা শাহেদী, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিস মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর অধ্যাপক আনিসুজ্জামানসহ, মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা সাখাওয়াত হুসাইন, মাওলানা মুশতাক আহমাদ, মাওলানা মূসা বিন ইজহার, কাজী আবুল খায়ের, ড. আহমাদ আব্দুল কাদির,
মাওলানা নূর হুসাইন কাসেমী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সরকারকে কুটনৈতিক প্রয়াসের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সম্পৃক্ত করে সমস্যার আশু সমাধান করতে হবে। কুটনৈতিক প্রয়াস ব্যর্থ হলে দেশবাসীকে সাথে নিয়ে সামরিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে আরাকানকে স্বাধীন করে রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ জনপদ নিশ্চিৎ করতে বাংলাদেশ সরকারকে সাহসী ভূমিকা রাখতে হবে।
সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহীম বলেন, রোহিঙ্গাদের জীবনকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেয়া যাবে না। তাদেরকে রাখাইনে ফিরিয়ে নিতে হবে। তাদের নাগরিক অধিকার দিতে হবে। বার্মার মুসলমানদেরকে জাগতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতিসংঘ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ