পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে মালিতে দায়িত্ব¡ পালনকালে সন্ত্রাসীদের পুতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে নিহত জাকিরুলের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার জারিয়া সরকার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্যর মৃত্যুর সংবাদ শুনে হতবাক পরিবারের সদস্যরা। দু’সন্তান লেখাপড়া ও ভরণপোষণসহ স্ত্রীকে সরকারী চাকরি দেয়ার দাবি পরিবারের লোকজনের।
২০০১ সালের মে মাসে সেনাবাহিনীতে যোগদানের পর, চলতি বছরের মে মাসে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে মালিতে যান সেনাবাহিনীর আর্টিলারী কোরের ল্যান্স কোর্পোরাল জাকিরুল সরকার। সেখানে দায়িত্ব পালনকালে বিদ্রোহী সন্ত্রাসীদের পুতে রাখা বোমা বি®েফারণে গত রোববার নিহত হয় বাংলাদেশের তিন সেনা সদস্য। আহত হয় আরো চারজন। নিহত হবার খবর শুনে সেনা বাহিনীর ল্যান্স কর্পোরাল জাকিরুলের নেত্রকোনার গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তবে এরি মধ্যে উর্পাজনক্ষম সদস্যকে হারানোর শোকের মাঝেও স্বজনরাও চাইলেন তার স্ত্রীকে চাকরীর ব্যবস্থা করে দেওয়ার।
ছেলের নিহত হবার সংবাদে সংজ্ঞা হারিয়ে বিছানায় আছেন বাবা সফির উদ্দিন সরকার। আর মায়ের দাবি জাকিরুলে দু’সন্তানকে ভরণপোষণসহ স্ত্রীকে চাকরির। নিহত জাকিরুলের বড় ছেলে তাইজ (৫) কান্না জড়িত কণ্ঠে বলছিল মা আমার বাবাকে এনে দাও। নিহত জাকিরুলের স্ত্রী মার্জিয়া আক্তার তামান্না জানান, তিনি বিএ অধ্যয়নরত আছেন। আট বছরের সংসার জীবনে তার দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সন্তানদের ভরণপোষণসহ লেখাপড়ার খরচ বহনের জন্য সরকার যদি আমাকে একটি সরকারি চাকরি ব্যবস্থা করে তাহলে আমি সন্তানদের মানুষ করতে পারব।
নিহত জাকিরুলের মা জোৎ¯œা বেগম পুত্র হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে যান। তিনি বলেন, আমার ছেলে বিদেশে শান্তি রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হয়েছে। আমি আমার ছেলের জন্য গর্বিত। আমি চাই সরকার আমার ছেলের এই আত্মত্যাগকে যথাযত মূল্যায়ন করবেন। সরকারি কাজে প্রাণ হারানোর পর হতবাক এলাকাবাসিও। তারাও চান সরকার দ্রæত জাকিরুলের স্ত্রীকে চাকরীর ব্যবস্থা করে দিক।
সার্জেন্ট আলতাফ হোসেন মন্ডলের মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া
দিনাজপুর অফিস জানায়, মালিতে বোমা বিস্ফোরনে নিহত ৩ জন বাংলাদেশী সেনার মধ্যে একজন সার্জেন্ট আলতাফ হোসেন মন্ডল। তার বাড়ি দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে। নিহত হওয়ার সংবাদ পাওয়ার পর তার পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে চলছে শোকের মাতম। পুত্রকে হারিয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন মা আর স্ত্রী ও সন্তানেরা। এলাকাবাসী জানিয়েছে, খুব শান্ত ও ভদ্র এই মানুষটির সন্তানদের মানুষ করার যে স্বপ্ন তা যেন পুরন করে সরকার।
আলতাফ হোসেন মন্ডল চিরিরবন্দর উপজেলার বিশ্বনাথপুর মন্ডলপাড়া গ্রামের মৃত: আব্দুর সাত্তার মন্ডলের ছেলে। তিনি এসএসসি পাশ করার পর এইচএসসিতে পড়ার সময়ই ১৯৯২ সালে সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। প্রথমে তিনি সৈয়দপুর সেনানিবাসে যোগদান করে একে একে রংপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করে। পরে তার দক্ষতা অনুযায়ী ৪ মাস আগে মালিতে শান্তিরক্ষী মিশনে পাঠায় দপ্তরটি।
পারিবারিক জীবনে আলতাফ হোসেন ২ কন্যা সন্তানের জনক। তার বড় মেয়ে মীন আরা (মীম) সৈয়দপুর ক্যান্ট: পাবলিক স্কুল ও কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী আর ছোট মেয়ে সুমাইয়া একই প্রতিষ্ঠানের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী।
বাবার মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর থেকেই কাঁদছে মেয়ে মীম ও সুমাইয়া। তাদের চাওয়া বাবাকে এনে দেয়া হোক। আর কিছুই চান না তারা। স্ত্রী মাসুমা জানান, এখন তার টাকা পয়সা কিছুই দরকার নেই। স্বামীর যে স্বপ্ন তা যেন পুরন হয় এটিই তার মূল চাওয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।