পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম সফরেই আশানুরূপ সফলতা অর্জন করতে পেরেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী আব্বাসি। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন পাকিস্তানের নব-নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শহিদ খাকান আব্বাসি। খবরে বলা হয়, গত আগস্টে ওয়াশিংটন নতুন দক্ষিণ এশিয়া নীতি ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির অত্যন্ত সন্ধিক্ষণে তার এই সফরটি হলো। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্সের সাথে সাক্ষাত করে তিনি দ্বিপক্ষীয় সফর নিয়ে মাসব্যাপী চলা অচলাবস্থার নিরসন করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক হ্রাস করার দাবির মুখে তিনি সম্পর্ক বহাল রাখার এই কাজটি করেছেন। ৫৯ বছর বয়স্ক আব্বাসি ঠিকই পাক-মার্কিন সম্পর্কের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পেরেছেন। তিনি ও পেন্স উভয়েই একে অপরের সাথে সম্পর্ক অব্যাহত রাখতে সম্মত হন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র মতো বিশ্বনেতাদের সাথে বৈঠকের পাশাপাশি তিনি সিএনএন এবং কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্সের (সিএফআর) দর্শকদের সামনেও নিজেকে বেশ ভালোভাবে উপস্থাপন করেছেন। সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাতকারে আব্বাসি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার দেশের সম্পর্ক কয়েক দশকের পুরনো। এই সম্পর্ককে কেবল আফগানিস্তানের চশমা দিয়ে দেখা উচিত নয়। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একটি বড় যুদ্ধে পাকিস্তান লড়ছে। তিনি দ্রুত স্মরণ করিয়ে দেন, পাকিস্তানের নিরাপত্তার জন্য ভারত এখনো একটি বড় হুমকি। সন্ত্রাসবাদের অভিন্ন শত্রুর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে লড়াই করার আগ্রহের কথা আবারো স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, তার দেশের পরমাণু অস্ত্রভান্ডার হলো ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ। অর্থাৎ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কুশলী কূটনৈতিক সম্পর্ক রেখেই ভারতের বিরুদ্ধে অবস্থান ব্যক্ত করেছেন। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।