নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭ রানের লিড নিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ। ৮ উইকেটে তারা ৩১৩ রান করে। কিন্তু দ্বিতীয়বার ব্যাটিং প্রস্তুতিতে নেমে ভালো কিছু করতে পারেনি বাংলাদেশ। ইমরুল কায়েস ও সাব্বির রহমানের হাফসেঞ্চুরি বাদে আর কোনও ব্যাটসম্যান নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি। তৃতীয় ও শেষদিন দ্বিতীয় সেশনে তারা ৮ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করেছে। ইনজুরির কারণে তামিম ইকবাল বা সৌম্য সরকার কেউ ব্যাট করতে নামেননি। ইমরুল কায়েসের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে নামেন লিটন দাস। মাত্র ২ রানে টিলাদি বোকাকোর শিকার হন তিনি। তবে ওপেনিংয়ে নেমেই ৫১ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলে আউট হন ইমরুল। মুমিনুল হকের সঙ্গে ৭১ রানের জুটি ছিল তার।
এর পরই ঘটে ছন্দপতন। দলীয় ৫ রানের ব্যবধানে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম (৩) ও মুমিনুল হক (৩৩) শন ভন বার্গের শিকার হন। ৯৬ রানে চার উইকেট হারায় বাংলাদেশ, এই ধাক্কা তারা কাটিয়ে ওঠে মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বিরের জুটিতে। যদিও রানের খাতা সমৃদ্ধ করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। ৫২ রানের জুটি গড়তে তিনি করেন মাত্র ১৫ রান। মেহেদী হাসান মিরাজ ১৪ রান করে আউট হন। ১৭৮ রানে ষষ্ঠ উইকেটটি হারায় সফরকারীরা।
সাব্বির ৬৭ বলে হাফসেঞ্চুরি করে প্রতিরোধ গড়লেও তাকে থামান ভন বার্গ। ৯৮ বলে ৮ চারে ৬৭ রানে বোল্ড হন তিনি। প্রথম ইনিংসেও হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন সাব্বির। ১৪ রানের ছোট ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যান মিরাজও। উইকেটে এসে টিকতে পারেননি শফিউলও। তিনি মিগায়েল প্রিটোরিয়াসের বলে ক্রিস্টেনসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন কোন রান না করেই।
দেখেশুনে খেলতে থাকা তাইজুল ইসলাম বোল্ড হয়ে শন ভন বার্গের চতুর্থ শিকার হয়েছেন। তারপর ৬৩ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ২৩৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে টাইগাররা। তারা প্রোটিয়াদের জয়ের জন্য ২২৮ রানের লক্ষ্য বেঁধে দেয়। এদিকে শেষ পর্যন্ত তাসকিন ১৫ ও শুভাশীষ ৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন। এর পর আর খেলা না গড়িয়ে ম্যাচ ড্র’র সিদ্ধান্ত মেনে নেন দু’দলের অধিনায়ক।
তবে ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে নিজেকে আলাদা করে চেলালেন একজনই, ইমরুল। নিজের ব্যাটে সর্বশেষ কবে রান দেখেছিলেন, সেটা হয়তো নিজেই ভুলেই গিয়েছেন। খুঁজে-টুজে পাওয়া গেলো, সর্বশেষ গত বছর ডিসেম্বরে নেলসনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৯ রানের একটি ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। সেটা ওয়ানডেতে। টেস্টে হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন গত বছর অক্টোবরে, ঢাকায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এছাড়া শেখ জামালের হয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সর্বশেষ প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে খেলেছিলেন ৬৭ রানের ইনিংস। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৬১ রানের ইনিংস। এরপর থেকে সর্বশেষ ৯ ইনিংসে ইমরুল কায়েসের সর্বোচ্চ রান হচ্ছে ১৯। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুই টেস্টেই খেলেছিলেন তিনি। দুই টেস্টের চার ইনিংসে ২১ রান করেছিলেন তিনি। তুমুল সমালোচনার মুখেও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দলে ইমরুলকে নেয়া হয়েছে কেবলই অভিজ্ঞতার জন্য।
বেনোনিতে প্রথম ইনিংসে খুব বেশি নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি। মাত্র ৩৪ রান করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে এসে নিজের সামর্থ্যরে প্রমাণ দিলেন বাংলাদেশ দলের এই ওপেনার। তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনিংয়ে সৌম্য সরকারকে সুযোগ করে দিতে ইমরুলকে নামানো হয় তিন নম্বরে। এই স্থানটিতে যে তিনি একেবারেই পারফেক্ট নয়, সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। অবশেষে যেই না তাকে ওপেনিংয়ে নিয়ে আসা হলো, তখনই হাফ সেঞ্চুরি করে ইমরুল প্রমাণ দিলেন, তিনি ওপেনিংয়েই সেরা। এই জায়গাতেই তিনি সবচেয়ে বেশি স্বচ্ছন্দ্য বোধ করেন। ৭১ রানের জুটি গড়ার পর ইমরুল কায়েস আউট হয়ে যান। ৫৪ বল খেলে ৫১ রান করেন তিনি। ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১ ছক্কা মারেন ইমরুল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।