পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেনাপোল-যশোর -খুলনা রুটে চলাচলকারী কমিউটার ট্রেন এখন চোরাচালানীদের নিরাপদ রুট। ট্রেনের পুরোটাই চলে গেছে চোরাকারবারিদের দখলে। ট্রেনে চোরাচালান অবাধ করতে এই রুটে সক্রিয় রযেছে একটি শক্তিশালী সেন্ডিকেট। ট্রেনে করে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার মাদক, অস্ত্র, সোনা, কাপড়, কিশমিশ, চিনিসহ বিভিন্ন চোরাচালানী পণ্য পাচার হচ্ছে দেদারছে। চোরচালানীদের দৌরাত্ম্যে সাধারণ যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ । চোরাচালান রোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করছেন এ রুটে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ।
সরেজমিন দেখা গেছে, প্রতিদিন এই রুটে ৬’শ যাত্রী যাতায়াত করে থাকে। তার মধ্যে সকাল ৬ টায় কমিউটার ট্রেন খুলনা থেকে বেনাপোলের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। বেনাপোল থেকে যশোর হয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় সকাল ৯ টায়। অপর ট্রেনটি খুলনা থেকে ছাড়ে ১২ টায়, বেনাপোলে এসে পৌছায় আড়াইটায়। বিকেল সাড়ে তিন টায় বেনাপোল থেকে ছেড়ে যশোর ও খুলনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। বেনাপোল, নাভারন, ঝিকরগাছা, যশোর ও নওয়াপাড়া থেকে চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের সদস্যরা ট্রেনে চড়ে বেনাপোলে পৌঁছে। ফিরতি ট্রেনে তারা বস্তায় করে ফেনসিডিল, হেরোইন, অস্ত্র,চিনি, কিশমিশ, এলাচ, লবঙ্গ, কাপড়, প্রশাধনী সামগ্রী শুকনা মরিচ নিয়ে চলে যায়।
এসব পণ্যে ট্রেনের বগিগুলোর অধিকাংশ জায়গা দখল করে রাখা হয়। ফলে এ রুটে চলাচলরত সাধারণ মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে এসব পণ্য বাহক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে নারীদের। কোনো কোনো নারী প্রতিদিন টাকার বিনিময়ে এসব পণ্য আনা-নেয়া করে। আবার কেউ কেউ নিজেরাই চোরাচালান সিন্ডিকেটের অংশীদার হিসেবে কাজ করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ট্রেনে কর্তব্যরত জিআরপি পুলিশ বিষয়টি জেনেও তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কোনো ব্যবস্থা নেয় না। যাত্রীরা অভিযোগ করেছে, ট্রেনে টহলরত পুলিশ চোরাচালানিদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েই সন্তুষ্ট। উপরন্তু তাদের মালপত্র পাহারা দেয় রেল পুলিশ।
ট্রেনের প্রতিটি বগিতে সিটের নিচে চিনি, কিশমিশ, এলাচ, লবঙ্গ, গুঁড়ো দুধ ভর্তি বস্তা রাখা হয়। এছাড়া বগির ভেতরের উপরিভাগে উডডেক্স দিয়ে সিলিং করা অংশে এক সাইড ফাঁকা করে খুলে ফেলা হয়। পরে পুরনো খবরের কাগজ দিয়ে মোড়ানো ফেনসিডিলের বোতলগুলো তার ওপর সাজিয়ে রাখা হয়। বোতলগুলো যশোর, নওয়াপাড়া, বসুন্দিয়া ও খুলনায় নামিয়ে নেয় চোরাকারবারিরা।
তবে মাঝে মধ্যে বিজিবি, পুলিশ এবং অণ্যন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান মালামাল আটক করে থাকেন। সম্প্রতি জেলা পুলিশ কমিউটার ট্রেনে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মালপত্র উদ্ধার করেছে। তবে চোরাচালানী সিন্ডিকেট সদস্যরা এতো বেশী শক্তিশালী যে তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে অনেকেই সাহস পায় না।
যশোর রেলের স্টেশন মাস্টার শহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা যাত্রীদের ভালো সেবা দিতে কাজ করছি। চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য রেলপুলিশ রয়েছে। এটা তাদের কাজ।’ তবে বেনাপোল যশোর সড়কের অবস্থা এতোটাই খারাপ যে অধিকাংশ যাত্রী বাসে করে যাতায়াত না করে ট্রেনে যাতায়াত সাচ্ছন্দ বোধ করছে।
কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের ডেপুটি কমিশনার সাদেক জানান, গত মাসে বোনপোল যশোর যাত্রীবাহী ট্রেন থেকে ৯ মন আতশবাজী জব্দ করে। এটি এখন চোরাচালানীদের অভয়রান্য হয়ে পড়েছে। বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আলমগীর হোসেন জানান, চোরাচালান প্রতিরোধে কমিউটার ট্রেনে অভিযান চালানো হচ্ছে। মাঝে মধ্যে বড় বড় চালান ধরা হচ্ছে এমন রেকর্ডও থানায় রয়েছে। এ বিষয়ে রেল পুলিশকে সতর্ক থাকার আহŸান জানিয়েছেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।