Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী কর্মতৎপরতা

| প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম


ইসলামী হকার্স শ্রমিক আন্দোলন
ইসলামী হকার্স শ্রমিক আন্দোলন-এর সভাপতি মুহাম্মদ ইমাম হোসেন ভুঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জাকির হোসেন এক বিবৃতিতে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সামরিক জান্তা কর্তৃক রোহিঙ্গা মুসলমানদের বর্বরতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এভাবে মুসলমানদের হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে মায়ানমার সরকার অং সান সুচি মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধে বাংলাদেশ সরকারসহ ওআইসি, আরবলীগ ও জাতিসংঘ কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং অত্যাচারিত হয়ে যারা নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে এসেছে মানবিক কারণে তাদেরকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে বাঁচতে দিতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ মিয়ানমার সরকারের বর্বর নির্যাতনে ঘরবাড়ী হারিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মজলুম রোহিঙ্গাদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসার জন্য দেশের বিত্তবানদের আহবান জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ সন্ত্রাসীরা রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর যে নির্যাতন চালাচ্ছে তা অতীতের সকল জুলুম নির্যাতনের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। বিশ্বনেতাদের উচিৎ শুধু নিন্দা-প্রতিবাদ নয় মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া, প্রয়োজনে সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে এসব মজলুম মুসলমানদের উদ্ধার করা। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মানবেতর জীবনযাপনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ সরকারসহ দেশের সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। নেতৃবৃন্দ সংগঠনের পক্ষ থেকেও শরণার্থী রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সাহায্য অব্যাহত রাখার কথা বলেন। বৈঠকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে আগামীকাল একটি কেন্দ্রীয় টীম পাঠানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
যুগ্ম মহাসচিব হাফেজ মাওলানা অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব হারুনুর রশীদ, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াদুদ, নগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, নগর উত্তর সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ প্রমুখ।
ইসলামী ঐক্য আন্দোলন
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর সাম্প্রতিক হত্যা যজ্ঞ এর নিন্দা জানিয়ে ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমির ড. মওলাানা মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী এক বিবৃতি প্রদান করেছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন-মিয়ানমারের রাখাইন (সাবেক আরাকান) রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর নতুন করে যে অত্যাচার,নিপীড়ন, অগ্নিসংযোগ ও নিধনযজ্ঞ চলানো হচ্ছে তার বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিবাদ জানানোর জন্য আমরা দেশের সর্বস্তরের জনগণ ও সরকারের প্রতি দাবী জানাচ্ছি। তিনি বলেন, আমরা ভেবে অবাক হই যে, মিয়ানমানের সরকার, সেনাবাহিনী ও মগদস্যুরা মিলে রাখাইন রাজ্যের আদি জাতিগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের বংশ নিপাত করার জন্য যে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে তার বিরুদ্ধে মিয়ানমারের একটি প্রাণীও কীভাবে প্রতিবাদ না করে পারছে? মিয়ানমার কি তাহলে আক্ষরিক অর্থে মগেরমুল্লুক এবং সেখানে মানবতা, বিবেক ও সভ্যতার অপমৃত্যু হয়েছে। রোহিঙ্গাদের উপর এই নির্যাতন চালানো হচ্ছে মুসলমান হওয়া এবং বাঙ্গালী হওয়ার অজুহাত খাড়া করে। আমরা মনেকরি, এ ব্যাপারে বাংলাদেশে এবং সারাবিশে^ বসবাসরত বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জোরদার প্রতিবাদ জানানোর বিরাট নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে।
আমাদের প্রশ্ন, কোনো দেশের নাগরিক হওয়ারজ ন্য কি একই ভাষাভাষীবা একই ধর্মের অনুসারী হতে হবে?, অন্যথায় তাদেরকে হত্যা করে নির্বংশ করা হবে? তখন তো এই বিশে^ মানবসভ্যতা বলতে কিছুর অস্তিÍত্ব থাকবেনা।
একই সঙ্গে আমরাবলতেচাই যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে এদেশের লাখো মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। এখন প্রতিবেশি রাখাইন রাজ্যে অসহায় মানুষের উপর হত্যাযজ্ঞের আর্তনাদে সাড়া না দেয়া বা তাদেরকে সাময়িকভাবে আশ্রয় না দেয়ার যে পলিসি বাংলাদেশ সরকার নিয়েছে তা সমর্থনযোগ্য হতে পারেনা। বিশেষকরে প্রতিবেশিত্বের এবং একই ধর্ম ও ভাষার নৈতিক দাবির প্রেক্ষিতে রোহিঙ্গা জনগণের আর্তকান্নাবিশ^ সমাজে তুলে ধরার দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকার এড়িয়ে যেতে পারেনা।
-প্রেস বিজ্ঞপ্তি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ