Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হোন

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ওআইসির প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সংকট সমাধানে নিজেদের ঐক্য দেখান : ভ্রাতৃপ্রতিম মুসলিম দেশগুলোর কাছ থেকে ‘জরুরি মানবিক সহায়তা’ দাবি : মুসলমানরাই কেন শুধু উদ্বাস্তু হয়ে ঘুরে বেড়ায় : মুসলিম নেতারা কেন সকলে ঐক্যবদ্ধ হন না?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমারে দুর্দশাগ্রস্ত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ হতে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ওআইসির যেকোন উদ্যোগে যোগ দিতে বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে জানিয়ে তিনি মুসলিম নেতাদের উদ্দেশে বলেন, সংকট সমাধানে আপনাদের ঐক্য প্রদর্শন করুন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনের ফাঁকে গতকাল দিনের শেষ দিকে নিউইয়র্কে ইউএনজিএ সদর দফতরে রোহিঙ্গা বিষয়ে ওআইসির কন্ট্রাক্ট গ্রুপকে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অন্যান্যের মধ্যে ওআইসি মহাসচিব ড. ইউসেফ আল ওথাইমেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
মিয়ানমারে ‘জাতিগত নির্মূল’ অভিযানে দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের ঢল সামলাতে বাংলাদেশের জন্য ভ্রাতৃপ্রতীম মুসলিম দেশগুলোর কাছ থেকে ‘জরুরি মানবিক সহায়তা’ চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সামরিক অভিযানে মুসলিম ভাই ও বোনেরা জাতিগত নির্মূলের মুখোমুখী হওয়ায় রোহিঙ্গাদের সর্বকালের সবচেয়ে বৃহত্তম দেশত্যাগের ঘটনা ঘটেছে। তিনি ওআইসি নেতাদের অবহিত করেন, গত ২৫ আগস্টের পর থেকে স্থল ও নদী পথে সীমান্ত অতিক্রম করে ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে, এদের ৬০ শতাংশই শিশু।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি একটি অসহনীয় মানবিক বিপর্যয়। আমি নিজে তাদের অবস্থা পরিদর্শন করেছি এবং আমি তাদের বিশেষ করে নারী ও শিশুর ভয়ঙ্কর দুঃখ-দুর্দশার ঘটনার বর্ণনা শুনেছি। আমি আপনাদের সবাইকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রন জানাচ্ছি এবং এখানে এসে মিয়ানমারের বর্বরতার ব্যাপারে তাদের কাছ থেকে শুনুন।
তিনি বলেন, মিয়ানমার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি’ বলে প্রচারণা চালাচ্ছে। অবশ্যই তা বন্ধ করতে হবে এবং দেশটিকে অবশ্যই রোহিঙ্গাদেরকে তাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করতে হবে। এ সময় তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানো পর্যন্ত ভ্রাতৃপ্রতীম মুসলিম দেশগুলো থেকে বাংলাদেশের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে সকল ধরনের নির্মমতা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদেরকে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে অবশ্যই তাদের স্বদেশে ফেরত নিতে হবে।
তিনি নিরপরাধ নাগরিক বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের সুরক্ষা দিতে মিয়ানমারের ভেতরে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ তৈরির প্রস্তাব দেন এবং ‘অনতিবিলম্বে নিঃশর্তভাবে এবং সম্পূর্ণরূপে’ কফি আনান কমিমনের সুপারিশ বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বশেষ উদ্বাস্তুদের বাংলাদেশে প্রবেশের আগে থেকেই গত তিনদশকে বাংলাদেশ তাদের আরও ৪ লাখ উদ্বাস্তু আশ্রয় দিয়েছে। তিনি বলেন, স্থান ও সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্তে¡ও আমরা সব মিলে প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছি। বাংলাদেশ দুর্দশাপীড়িত এই লোকদের খাদ্য, আশ্রয় এবং জরুরি সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
রোহিঙ্গারা ‘বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী’ মিয়ানমারের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমস্ত ঐতিহাসিক দলিল প্রমাণ করে যে রোহিঙ্গারা কয়েক শতাব্দী ধরে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বসবাস করে আসছে।
শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমার পরিকল্পনা মাফিক সংগঠিত ও ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় রোহিঙ্গাদের তাদের পৈতৃক নিবাস থেকে জোরপূর্বক বহিষ্কার করছে এবং নিকট অতীতে তারা দেশের স্বীকৃত সংখ্যালঘু গ্রুপের তালিকা থেকে প্রথম রোহিঙ্গাদের বাদ দেয়। তিনি বলেন, ১৯৮২ সালে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া হয় এবং পরে তাদের নিজ দেশে ইন্টারনালি ডিসপ্লেস পার্সনস (আইডিপি) ক্যাম্পে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার সকল রোহিঙ্গাকে তাদের স্বদেশে ফেরত পাঠাতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, তবে মিয়ানমার সরকার এ আহ্বানে সাড়া দিচ্ছে না বরং রোহিঙ্গাদের তাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানো বন্ধ করতে সীমান্তে স্থলমাইন পেতে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ‘জাতিগত নিধনের’ অবসান দেখতে চায়। ‘মুসলিম ভাই-বোনদের দুর্দশার অবসান হওয়া দরকার। এই সংকটের মূলে মিয়ানমার এবং মিয়ানমারেই এর সমাধান পাওয়া যাবে।
বিশ্বে মুসলমানরাই কেন শরণার্থী হবে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ প্রয়োজনে এক বেলা খেয়েও নির্যাতনের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবে, কিন্তু এই শরণার্থীদের যে ফিরিয়ে নিতে হবে, সে কথা মিয়ানমারকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, মিয়ানমারকে বলছি, আপনাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে হবে। তাদের নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। তাদেরকে নিরাপদ রাখতে হবে। তাদের আশ্রয় দিতে হবে। তাদের ওপর জুলুম অত্যাচার চলবে না। আজকে যারা বিপদে পড়েছে তাদের সাহায্য দেয়া জরুরি। আমরা যদি ১৬ কোটি মানুষকে যদি খাওয়াতে পারি, তবে ওদের কেন পারবো না? বাংলাদেশের মানুষ অনেক উদার। তারা একবেলা না খেয়ে রোহিঙ্গাদের খাওয়াবে।
গত মঙ্গলবার ম্যানহাটনের ম্যারিয়ট হোটেলে স্থানীয় সময় রাতে (বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল) যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাতিসংঘ অধিবেশন উপলক্ষে নিউ ইয়র্কে অবস্থানরত শেখ হাসিনা গত দুদিন ধরে বিভিন্ন ফোরামে আলোচনায় মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়ন বন্ধে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়কে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমারে যে ঘটনা ঘটেছে, দলে দলে মানুষ বাংলাদেশে এসেছে। মানবিক কারণে নির্যাতিত মানুষকে আমাদের আশ্রয় দিতে হয়েছে। আমরাও তো পাকিস্তানের আক্রমণে প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিলাম। আমাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়েছিল। প্রবাসী বাংলাদেশিদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, তাদের (মিয়ানমার) ওপর যেন চাপ সৃষ্টি হয়। তাদের নাগরিক তারা ফেরত নিয়ে যাবে। কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করবে। সেটাই আমরা চাই।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে দুর্ভাগ্য যে, মিয়ানমারে যে ঘটনা ঘটেছে, হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া, মেয়েদেরকে ধর্ষণ করাৃ এমন পরিবেশ-পরিস্থিতি যেখানে সৃষ্টি হয়েছে, সেখান থেকে দলে দলে মানুষ এসেছে। আমরা কী করব? মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দিতে হয়েছে।
কক্সবাজারে গিয়ে নিজের চোখে রোহিঙ্গাদের এই দুর্দশা দেখে আসার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সেখানে গিয়েছিলাম। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার কেবল নিজেদের কথা মনে হয়েছে। আমাদেরও তো একদিন এইভাবে ওই হানাদার পাকিস্তানীদের কারণে এ ঘর থেকে ওঘরেৃ আমাদের আশ্রয় খুঁজে বেড়াতে হয়েছে। আমাদের দেশের মানুষও তো আশ্রয় নিয়েছিল। ভারতে প্রায় এক কোটি শরণার্থী ছিল। আজকে যখন তারা বিপদে পড়েছে, অবশ্যই তাদের জায়গা দিতে হবে।
বাংলাদেশের মানুষকে ‘অনেক উদার’ হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে তারা একবেলা খাবে। অন্যবেলার খাবার এই আশ্রিত মানুষকে তুলে দেবে সেই মানসিকতা তাদের আছে। আমরা সেখানে লঙ্গরখানা খুলে দিয়েছি, চিকিৎসা, থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। কিন্তু মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতেই হবে, জোরের সঙ্গে বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই। দেশের মানুষের কল্যাণ চাই। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন আমরা করতে চাই। কাজেই সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে, প্রতিবেশীদের সঙ্গে যোগাযোগ সমুন্নত রেখে ব্যবসা-বাণিজ্য স¤প্রসারণ করা আমরা সেই ব্যবস্থা নিতে চাই।
রোহিঙ্গা বিষয়ে আন্তর্জাতিক জনমত গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়কে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আজকে জাতিসংঘে যাদের সঙ্গেই দেখা হচ্ছে, প্রত্যেকেই কিন্তু এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন। মঙ্গলবারই জাতিসংঘে ওআইসির এক বৈঠকে আমি প্রশ্ন রেখেছি, আজকে মুসলমানরা কেন রিফিউজি হয়ে ঘুরে বেড়ায়? আপনারা সকলে কেন এক হন না? কেন সকলে ঐক্যবদ্ধ হন না?
দলীয় নেতাকর্মীদের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের তাগিদ দিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, আমি আমার এমপিদেরও বলেছি, আপনারা দেখেন, শেখেন। কীভাবে ভোটারের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করা যায়। ওই বড় বড় গাড়ি-বাড়ি হলেই ভোটাররা ভোট দেবে না। ভোটারের সমস্যা জানতে হবে। সেগুলোর সমাধান করতে হবে। তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। তাদেরকে আপনজন ভাবতে হবে। আগামীতে নির্বাচন। এই ইলেকশনটা বিরাট চ্যালেঞ্জ, এটা মনে রাখতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।



 

Show all comments
  • Nasim Ahmed ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১১:৩৪ এএম says : 0
    আমাদের প্রিয় নেত্রী নোবেল পুস্কার পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তি
    Total Reply(0) Reply
  • Ferdoush Sarker ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১১:৫০ এএম says : 0
    Thanks for our prime minister about nice comments say to all
    Total Reply(0) Reply
  • Md Asaduzzaman ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১১:৫১ এএম says : 0
    Oic r leader ra apnar korha sunbe mone hosse na
    Total Reply(0) Reply
  • Farida Yeasmin ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ২:০৯ পিএম says : 0
    May Allah Help the Rohiynga people.... and justice should be done against those Burmese racists who have done this to them....
    Total Reply(0) Reply
  • Md Rubel ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ২:১১ পিএম says : 0
    ঘর বাড়ি ছেড়ে এভাবে অজানার পথে পাড়ি দিচ্ছেন হাজার হাজার রুহিঙ্গা মুসলিম তাদের বাড়ি ঘ্রে আগুন দিয়ে জালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইয়া আল্লাহ তাদেরকে তুমি হেফাজাত কর।
    Total Reply(0) Reply
  • Monimul Haque Bokul ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৩:০৪ পিএম says : 0
    আল্লাহ তুমি হেফাজত কর
    Total Reply(0) Reply
  • Noman Khan ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৩:৩৬ পিএম says : 0
    আধুনিক বিশ্বে এই ধরনের হত্যা কান্ড মেনে নেয়া যায় না ..সুচি ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শুধু অবরোধ আরোপ করলে চলবে না । মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানাচ্ছি ...
    Total Reply(0) Reply
  • Rashidul Islam ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৩:৩৮ পিএম says : 0
    বিশ্বের সব সংবাদ - গণমাধ্যমকে, মানবাধিকার সংগঠন- সংস্থা, মানবতাবাদী ব্যক্তি-সংগঠন, বাংলাদেশ সরকার সহ বিশ্বের সব সরকার ও রাজনৈতিক সংগঠ, জাতীসংঘ সহ সব আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সংগঠকে জানাতেচাই যে, রোহিঙ্গারা যে মায়ানমারের মানবতা বিরোধী - বরবর সেনাবাহিনী, সরককার ও সন্ত্রাসী বৈদ্ধ দ্বারা শারিরিক, মানষিক, অর্থনৈতিক ভাবে ভয়ানক ক্ষতিগ্রস্থ সেই সাথে রোহিঙ্গা নারীদের এবং কুমারী আল্প বয়স্ক মেয়েদেরকে ধর্ষণ করেছে, হত্যা- অগ্নি সংযোগে রোহিঙ্গা মানুষ সহ তাদের বাড়িঘর পুরিয়েছে, লুটপাট করেছে সর্বস্ব, তাদেরকে বিতারিত করেছে তাদের আবাসভূমি থেকে।
    Total Reply(0) Reply
  • Jhon Jay ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৩:৪১ পিএম says : 0
    অচিরেই আনতরজাতিক আদালতে অং সান সুচির বিচার চাওয়া হবে,অং সান সুচি রোহিজ্ঞাদের হত্যা লুটপাট বাড়ি ঘড় জালানোর সব রেকট আনতরজাতিক আদালতের দারসত হতে যাচছে,ত্রখন শুধু সময়ের বেপার, তবে বাংলাদেশের জনগনের পতি ত্রকটা অনুরোধ ত্রই রোহিজ্ঞারা যেন বাংলাদেশী দারা কোন রকম কষট না পায় সে দিকে পতিটা বাংলাদেশীর খেয়াল রাখতে হবে,ত্রই রোহিজ্ঞারা আমাদের মেহমান বা অতীতি,ওদের আমরা যথাসাধ্য সাহায্য করবো,
    Total Reply(0) Reply
  • Shanaz Parvin ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৩:৫৬ পিএম says : 0
    একসময় মনে করা হতো চীন রাশিয়া বাংলাদেশের বন্ধু রোহিঙ্গা ইস্যুতে আজ মনে হচ্ছে এরা বাংলাদেশ ও মুসলিম জাতির শত্রু... সূচীর গণহত্যার হিংস্র থাবার ইন্ধন দাতা..
    Total Reply(0) Reply
  • Takshal ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৫:২৩ পিএম says : 0
    allahar kache eaituku foriad, allah tumi hoto doridro niroshro rohinga der hefajot koro ebong bormis nobbo janowor der donsho koro.
    Total Reply(0) Reply
  • মো:ইউছুফ আলী গাজী ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৬:৫৬ পিএম says : 0
    মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আপনাকে ধন্যবাদ এব; আন্ততজাতিক আদালতের মাধ্যমে সূচির ফাসি চাই।
    Total Reply(0) Reply
  • Nitu choudhuri ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১০:৩০ পিএম says : 0
    kara oikkoboddho hobe? Tai jodi hoto tahole China Russia aj ki vumikai ase?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ