মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ব্রাজিল উত্তাল হয়ে উঠেছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে। প্রচ- বিক্ষোভ এখন দেশটির একশরও বেশি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এতে অংশ নিয়েছে প্রায় ১০ লাখ বিক্ষুব্ধ মানুষ। বিক্ষুব্ধ শহরগুলোর অন্যতম একটি হচ্ছে সাও পাওলো। এই শহরে ব্যারিকেড ভেঙ্গে নিরাপত্তা কর্মীদের একটি গাড়ি মানুষের ওপরে উঠিয়ে দেয়ায় মারা যায় ১৮ বছরের এক তরুণ। ওই ঘটনার পরে বিক্ষোভ আরও তুঙ্গে ওঠে।
সরকারের দুর্নীতি, বাসভাড়া বাড়ানো আর ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনে বিপুল খরচের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভের শুরু সপ্তাহখানেক আগে। তবে বিক্ষোভের মাত্রা বাড়তে থাকায় বাস ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার। তারপরও বিক্ষোভের মাত্রা কমছে না। সংকট সামাল দিতে এরই মধ্যে জাপান সফর বাতিল করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট দিলমা রৌসেফ। শুক্রবার মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন তিনি।
এদিকে, সাও পাওলোর বিক্ষুব্ধ মানুষের ওপর জরিপ চালিয়েছে জরিপকারী সংস্থা ডাটাফোলহা। তারা জানিয়েছে, এসব মানুষের ৭৭ শতাংশই উচ্চ শিক্ষিত। আর তাদের ৮৪ শতাংশ কোনো রাজনৈতিক দলগুলোকে সমর্থন করে না। ২২ শতাংশ শিক্ষার্থী। বিক্ষুব্ধ মানুষের মধ্যে ৫৩ শতাংশেরই বয়স ২৫-এর নিচে। আর ৭১ শতাংশ এই প্রথম বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে স্থানীয় সংবাদপত্র ফোলহা দ্য সাও পাওলো জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের বিক্ষোভে দশ লাখেরও বেশি মানুষ অংশ নিয়েছে। আর এই বিক্ষোভ এখন চলছে দেশটির একশর বেশি শহরে। রিও ডি জেনিরোতে মুখোশ পরা বিক্ষুব্ধ তরুণদের ওপর কাঁদানে গ্যাস আর রাবার বুলেট ছুড়েছে দাঙ্গা পুলিশ। ওরা সিটি হলের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। এতে ২৯ জন আহত হয়েছে। ইতিমধ্যেই সংসদ ভবন, রাজ্য গভর্নর অফিস, গুয়ানাবারা প্রাসাদ ও মেয়র অফিসের মতো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অফিস ও ভবন বন্ধ করে দিয়েছে রিও কর্তৃপক্ষ।
নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ব্যাপক তৎপরতা সত্ত্বেও শহরে শুরু হয়েছে লুটপাট। টিভির ছবিতে দেখা গেছে দুর্বৃত্তরা বেশ কয়েকটি দোকানে লুটপাট চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শহরের অন্য বাসিন্দাদের মত জুলিয়া ক্যামেরিওর আশঙ্কা, এখনো কেউ জানে না কীভাবে এর শেষ হবে। রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় বিক্ষোভকারীরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গেটে আগুন লাগানোর চেষ্টা করে। তবে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়ে তাদের সরিয়ে দেয়। শহরের অন্য সরকারি ভবনেও হামলা করেছে বিক্ষুব্ধ মানুষ। এ সময় পুলিশের হাতে ২৬ জন বিক্ষোভকারী আহত হয়। সবচেয়ে বেশি বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে দক্ষিণের পোর্তো আলেগয়ে, সাও পাওলোর উত্তরে ক্যামপিনাস ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর সালভাদোরে। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।