Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তুরস্কে গাড়িবোমা হামলা, নিহত ৩৪

প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় ভয়াবহ গাড়িবোমা বিস্ফোরণে অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অন্তত ১২৫ জন। রয়টার্সের খবরে বলা হয়, গত রোববার সন্ধ্যায় তুরস্কের আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মাত্র কয়েকশ’ মিটার দূরে ওই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, যার শব্দ পাওয়া যায় কয়েক কিলোমিটার দূর থেকেও। তুরস্কের প্রশাসনিক কেন্দ্রবিন্দুতে গত এক মাসের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার একই ধরনের হামলা চালানো হলো। বিবিসি জানিয়েছে, কিজিয়ালিতে গুভেন পার্কের কাছে ওই এলাকাটি আঙ্কারার একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র ও যোগাযোগের কেন্দ্রস্থল। বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে বেশ কয়েকটি যানবাহন ভস্মীভূত হয়।
গত মাসে সেনা সদস্যদের বহনকারী একটি বাস লক্ষ্য করে পরিচালিত একই ধরনের হামলায় ২৮ জন নিহত হন। কোনো দল গত রোববারের হামলার দায় স্বীকার না করলেও একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, এটি কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) বিদ্রোহী বা তাদের কোনো সহযোগীর কাজ হয়ে থাকতে পারে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে পারছেন না বলেই এখন বেসামরিক জনগণকে নিশানা করছে।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী মেহমেত মুয়েজ্জিনোগলু এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই ৩০ জন নিহত হন। আর ৪ জন মারা যান হাসপাতালে। নিহতদের মধ্যে অন্তত দুইজন হামলাকারী রয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১২৫ জনের মধ্যে ১৯ জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানান তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্কে বেশ কয়েকটি বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত জানুয়ারিতেই ইস্তাম্বুলে এক জঙ্গি হামলায় অন্তত দশজন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই জার্মান পর্যটক। তার আগে গতবছর অক্টোবরে আঙ্কারায় কুর্দিদের শান্তি সমাবেশে জোড়া আত্মঘাতী হামলায় শতাধিক লোকের মৃত্যু হয়। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে আক্রান্ত হয় সিরিয়া সীমান্তের কাছে কুর্দি অধ্যুষিত শহর সুরুস। ওই আত্মঘাতী হামলায় ৩০ জন নিহত হন।
তুরস্কে গাড়িবোমা হামলায় হতাহতের ঘটনার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার অঙ্গীকার করেছেন। দেশটির রাজধানী আঙ্কারার কেন্দ্রস্থলে শক্তিশালী গাড়িবোমা হামলায় অন্তত ৩৪ জন নিহত হওয়ার পর তিনি এই হুমকি দেন। এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার না করলেও সরকারি সূত্রগুলো হামলার জন্য নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টিকে (পিকেকে) সন্দেহ করছে। জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ভবিষ্যতে হামলা ঠেকাতে তুরস্ক তার আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করবে। এরদোগান বলেন, আমাদের জনগণের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই নিশ্চিতভাবে জয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। সন্ত্রাসবাদকে নতজানু করা হবে। হামলার পর তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতগলু তার পূর্বনির্ধারিত জর্ডান সফর স্থগিত করেছেন। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। হামলার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো। বিবিসি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তুরস্কে গাড়িবোমা হামলা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ