বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামী শিক্ষা, সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে যে সকল মনীষী নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে ভাস্বর হয়ে আছেন তাদের মধ্যে অন্যতম আল্লামা হাফেয কারী সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ (রহ.)। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সঠিক আক্বিদার প্রচার প্রসারের মাধ্যমে মুসলমানদের পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করেন তিনি। তার ধর্মীয় সংস্কার সমূহ মুসলিম সমাজকে যুগ যুগ ধরে আলোর পথ দেখাবে। বৃহস্পতিবার রাতে আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহর (রহ.) ২৫তম সালানা ওরশে বক্তারা এ কথা বলেন।
আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম ষোলশহরস্থ জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা ময়দানে দিনব্যাপী যথাযথ মর্যাদায় ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এ ওরশ। আনজুমান ট্রাস্টের ফাইন্যান্স সেক্রেটারী মুহাম্মদ সিরাজুল হকের সভাপতিত্বে ও জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ার প্রধান মোফাচ্ছির আল্লামা মুহাম্মদ বখতেয়ার উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আনজুমান ট্রাস্টের সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন স্বাগত বক্তব্যে বলেন, এ দেশে ইসলামের নামে ভ্রান্তমতবাদ প্রতিষ্ঠার প্রতিযোগীতার বিরুদ্ধে সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহর গৃহীত পদক্ষেপসমূহ ছিল সময়োপযোগী ও সুদূরপ্রসারী।
এতে শুভেচছা বক্তব্য রাখেন, গাউসিয়া কমিটির কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান পেয়ার মুহাম্মদ। বক্তারা আরো বলেন-দেশের প্রতিটি জেলায় দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার মাধ্যমে সুন্নিয়তকে স্থায়ীভাবে প্রচার-প্রসারে আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহর বিশাল খেদমত আনজাম দিয়ে গেছেন। শরিয়ত ও তরিকত চর্চার মাধ্যমে নিজেকে একজন সঠিক ও চরিত্রবান ব্যক্তি হিসেবে গঠনের ব্যাপারে তাঁর অবদান ছিল অপরিসীম। মাহফিলে প্রধানবক্তা ছিলেন ঢাকা দারুল নাজাত কামিল মাদাসার মুহাদ্দিস আল্লামা মুফতি ওসমান গণি সালেহী। তাকরির করেন- আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ ওবাইদুল হক নঈমী, জমিয়তুল ফালাহ্ মসজিদের খতিব আল্লামা সৈয়দ আবু তালেব মুহাম্মদ আলাউদ্দিন, আল্লামা আব্দুল মালেক নুরী, আল্লামা মুহাম্মদ জসীম উদ্দিন আলকাদেরী, মাওলানা আবু সুফিয়ান খান আবেদী আলকাদেরী।
মাহফিলে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নির্মূলে পরিকল্পিত গণহত্যা, ঘরবাড়িতে অগ্নি সংযোগ ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় গভীর শোক ও তীব্র নিন্দা জানান। বক্তারা বলেন, এবার মিয়ানমার সরকারের নির্যাতনের শিকার হয়ে আসা প্রায় ২ লাখ রোহিঙ্গার কারণে বাংলাদেশও অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যার মুখোমুখি। তাদের থাকা ও খাওয়া নিশ্চিত করতে আর্থিক ও অন্যান্য সহযোগিতা নিয়ে ওআইসি ও এশিয়ানভুক্ত মুসলিম দেশগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। সাথে সাথে রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে মিয়ানমার সরকারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করতে হবে। শেষে দেশ ও মুসলিম বিশ্বের শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনায় মুনাজাত পরিচালনা করেন জামেয়ার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আল্লামা হাফেজ সোলায়মান আনসারী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।