নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা, ধর্মশালা থেকে : টি-২০ ক্রিকেটে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটি আবার বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে প্রথমও। এমন এক ইতিহাস রচনায় একটু বেশিই আবেগী হয়ে পড়েছিলেন তামীম। সেঞ্চুরি উদযাপনে তাই নিজের আবেগ রাখতে পারেননি চাপা। পীচের উপর লাফটা এমনই দিয়েছেন যে, সত্যিই যেনো আকাশে উড়ছেন তামীম। হতে হতেও দু’বার হয়নি, ২০১২ তে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নট আউট ৮৮, টি-২০ বিশ্বকাপের চলমান আসরের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সেখানে নট আউট ৮৩। শেষ পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত ভার্সনের ক্রিকেটে তিন অংকের নাগাল পেয়ে তাই নিজেকে বড্ড গর্বিত মনে হচ্ছে তামীমেরÑ ‘সেঞ্চুরি করতে পারব, শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত এ ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলাম না। বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরি করতে পেরে আমি গর্বিত। তাই সেঞ্চুরি করে একটু বেশি উত্তেজনা পেয়ে বসে। তাই সেঞ্চুরির উৎসবটা ওভাবে করেছি।’
শুরুটা ধীরে করে সেঞ্চুরি করবেন, সে লক্ষ্যটা নির্ধারন করতে পেরেছেন ৯৪ এ এসে। সেটাই জানিয়েছেন তামীমÑ ‘এই ম্যাচে প্রথম ৬ ওভারে ভাল খেলতে পারিনি। ৭ম ওভারে বাউন্ডারির পর স্বাভাবিকভাবে ব্যাট করতে পেরেছি। ৮৬ থেকে ছক্কার শটে যখন ৯৪তে পৌছলাম, তখন মনে হলো সেঞ্চুরির সুযোগ আছে। ওই শটের আগে কিন্তু মাথায় তা ছিল না।’
টি-২০ ক্রিকেটে সবার আগে সেঞ্চুরি করবেন কে? চ্যালেঞ্জটা দিয়েছিলেন কোচ হাতুরুসিংহে। কোচকে দেয়া সে কথা রাখতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন তামীমÑ ‘টি-২০তে কে সবার আগে সেঞ্চুরি করবে, সেটাই জানতে চেয়েছিলেন কোচ। আমি তাকে কথা দিয়েছিলাম। ভাগ্য ভাল, আমি তাকে দেয়া কথা রাখতে পেরেছি। সেঞ্চুরি করে তাই তাকে নির্দেশ করতে ওভাবে উৎসব করেছি। ’
সংক্ষিপ্ত ভার্সনের ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করে ড্রেসিং রুমে ফিরেও অন্য দিনগুলোর মতোই স্বাভাবিক অভিনন্দন পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তামীমÑ ‘ড্রেসিং রুমের পরিবেশ আগের মতোই। ২ রান করে আউট হয়ে ড্রেসিং রুমে আসলে যেভাবে আমার সাথে আচরন করা হয়, সেঞ্চুরির করেও তাই। তবে আমি নিশ্চিত, আমার সেঞ্চুরি দেখে কোচ খুশি।’
বাংলাদেশের হয়ে টি-২০তে প্রথম সেঞ্চুরির দিনে আবার দেশের হয়ে সংক্ষিপ্ত ভার্সনের ক্রিকেটে সবার আগে পূর্ন করেেেছন ১ হাজার রান। তাতেও গর্ববোধ হচ্ছে তামীমেরÑ ‘খুবই গর্বিত। সাকিবের সাথে লড়াইটা ছিল। ওয়ানডেতে ৪ হাজার রানের মাইলফলক আমার আগে স্পর্শ করেছে সাকিব। অন্তত: টি-২০তে তো তাকে টপকে প্রথম হাজার রান করলাম।’
ব্যাটিংয়ে সব ভার্সনের ক্রিকেটে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের সব রেকর্ডই তামীমের। তিন ভার্সনের ক্রিকেটে সর্বাধিক রানই বলুন কিংবা সব ভার্সনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচচ তারই কব্জায়। ক্যারিয়ারটা এমন এক জায়গায় শেষ করতে চান, যে রেকর্ড ভাঙতে অন্যদের অনেক কস্ট করতে হয়, এ সংকল্প নিয়েই ক্যারিয়ারের অবশিস্ট দিনগুলো খেলতে চান তামীমÑ ‘আরো পাঁচ বছর কিংবা ৭ বছর ক্রিকেট খেলতে পারলে এমন একটা পর্যায়ে নিজেকে নিয়ে যেতে চাই, যা অন্যদের পক্ষে কস্ট হয়ে যায়।’
বাবা হওয়ার পর টি-২০ ক্রিকেটে বৃহস্পতি তুঙ্গে তামীমের। এই অনুভুতিটা প্রকাশ করেছেন তিনি ম্যাচ শেষেÑ ‘বাবা হওয়ার অনুভুতি অন্য রকম। ক্রিকেট খেলার বাইরে যতোক্ষন থাকি, ততোক্ষন ওকে নিয়েই ব্যস্ত থাকি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।