পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, মিয়ানমার সীমান্তে যৌথ অভিযানের প্রস্তাব দিয়ে সরকার মিয়ানমারের অপকর্মের সঙ্গে বাংলাদেশকে জড়ানোর ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশ সরকারের এমন সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার একটা স্থায়ী সমাধান হওয়া দরকার। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে; দেশে বিরাট বিপর্যয় নেমে আসবে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সুজন সম্পাদক রোহিঙ্গা সংকট স্থায়ী সমাধানে ৮ দফা প্রস্তাবও তুলে ধরেন। সেই সাথে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সুজনের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা দেন তিনি।
সুজনের ৮ দফা প্রস্তাব ঃ ১. অবিলম্বে গণহত্যা ও নির্যাতন বন্ধে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হোক। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের বৈঠকে রোহিঙ্গা সমস্যাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হোক। একইসঙ্গে আমাদের প্রতিবেশী ও অন্যান্য বন্ধু রাষ্ট্রদের এ সমস্যার দ্রুত সমাধানের লক্ষে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানানো হোক। ২. অবিলম্বে মিয়ানমারের কাছে প্রস্তাবিত সীমান্তে যৌথ অভিযানের প্রস্তাব বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রত্যাহার করা হোক।
৩. মানবতা ও প্রথাগত আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি সম্মান রেখে শরণার্থী রোহিঙ্গাদের বন্দুকের মুখে ঠেলে না দিয়ে শরণার্থীদের বেঁচে থাকার ও জীবন ধারণের ন্যুনতম সুযোগ নিশ্চিত করা হোক। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ওপর চাপ লাঘবের জন্য আন্তর্জাতিক সাহায্যের দাবি উত্থাপন করা হোক।
৪. শরণার্থীরা কেবল বাংলাদেশের হতে পারে না। এ ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করলেও তৃতীয় দেশসমূহে পুনর্বাসনের আশু উদ্যেগ গ্রহণ করার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে দাবি উত্থাপন করা হোক এবং এ লক্ষে কূটনীতিক তৎপরতা জোরদার করা হোক।
৫. শরণার্থী রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যাবার পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষে অবিলম্বে সামরিক অভিযান বন্ধ, অভিযুক্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিচারের ব্যবস্থা এবং রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেয়ার জন্য কূটনীতিক তৎপরতা জোরদার করা হোক এবং মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের দাবি সংশ্লিষ্ট মহলে উত্থাপন করা হোক।
৬. শরণার্থীদের কার্যকরভাবে সেবা প্রদানে সমন্বয় আনা এবং জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তাদের অধিভুক্ত করা এবং পরিচয়পত্র প্রদানের ব্যবস্থা করা হোক।
৭. শরণার্থীদের খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, আশ্রয়সহ অন্যান্য সেবা প্রদানের জন্য জন্য আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংগঠনকে সম্পৃক্ত করার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হেক।
৮. জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে গঠিত রাখাইন রাজ্য আন্তর্জাতিক বেসরকারি বিষয়ক পরামর্শক কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত সুপারিশসমুহ অবিলম্বে বাস্তবায়নে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।