নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : কিছু ঘটনা হয়তো সারা জীবন কাঙ্খিতই থেকে যায়, বাস্তবে মেলে না। ইউএস ওপেনে রজার ফেদেরার ও রাফায়েল নাদালের মধ্যকার ম্যাচও হয়তো তেমন কিছুই। সময়ের সেরা দুই টেনিস কিংবদন্তি এ পর্যন্ত মুখোমুখি হয়েছেন ৩৭ বার, কিন্তু এর কোন বারই নিউ ইয়র্কের ফ্লাশিং মিডোয় নয়!
এবার ছিল সেই সুযোগ। নিজ নিজ কাজ ঠিকমত করতে পারলে সেমিফাইনালেই দেখা হয়ে যেত দুই টেনিস মহাতারকার। ‘যেত’ বলতে হচ্ছে; কারণ, নাদাল নিজের কাজটা ঠিকমত সারতে পারলেও পারেননি ফেদেরার। সুইস তারকাকে পারতে দেননি একজন হুয়ান মার্টিন ডেল পোত্রো। ফেদেরারকে ৭-৫, ৩-৬, ৭-৬ (১০-৮) ৬-৪ গেমে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় করে দিয়েছেন এই আর্জেন্টাইন তারকা। শেষ চারে তাই ২৪তম বাছাই পোত্রোকে মোকাবেলা করতে হতে হবে রাশিয়ান টিনএজার আন্দ্রে রুবলেভকে ৬-১, ৬-২,৬-২ গেমে উড়িয়ে শেষ চারে পা রাখা বিশ্বের এক নম্বর তারকা নাদালকে।
শারিরীক ও মানসিকভাবে এদিন ঠিক অবস্থানে ছিলেন না আসরের মোস্ট ফেভারিট ফেদেরার। ম্যাচ শেষে এমনটিই জানান রেকর্ড ১৯ গ্র্যান্ড ¯øামের মালিক। তার কথার সত্যতা মেলে ঠিক এর আগের ম্যাচের দিকে তাকালে। খেলা বন্ধ করে সেদিন ডাক্তারের শুশ্রæষা নিতে হয়েছিল ৩৬ বছর বয়সী ফেদেরারকে। এমনিতেই পিঠের চোট দীর্ঘদিন ধরে ভোগাচ্ছে তাকে। এদিন তিনি মাঠে নেমেছিলেন শতভাগ ফিট না থেকেই। তৃতীয় বাছাই বলেন, ‘এটা সেই ম্যাচগুলোর মধ্যে একটি ছিল যেখানে ভালো দৌড়েও বুঝতে পারি আমি হারতে যাচ্ছি।’ ৩৬ বছর বয়সী বলেন, ‘বলতে চাই না যে আমি নেতিবাচক মন নিয়ে খেলেছি, তবে জানতাম আমি নিরাপদ অবস্থানে নেই।’
এর আগে ২০০৯ সালের ইউএস ওপেনে সর্বশেষ পোত্রোর মুখোমুখি হয়েছিলেন ফেদেরার। সেবারও তাকে হারতে হয়ছিল। পক্ষন্তরে, সুইস তারকাকে হারিয়ে ক্যারিয়ারের একমাত্র গ্র্যান্ড ¯ø্যামটি জিতেছিলেন পোত্রো। নিউ ইয়র্কের সেই একই স্টেডিয়ামে আবারো বিজয়ের হাসি হাসলেন ২৮ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন। তবে এজন্য তাকে সর্বোচ্চটাই দিতে হয়েছে। ম্যাচ শেষে তার অভিব্যক্তিই বলে দিচ্ছির তা, ‘আমার মনে হয় আজ আমি টুর্নামেন্টের সেরা ম্যাচ খেলেছি।’
এদিকে নারী এককে শেষ চার নিশ্চিত করেছেন ম্যাডিসন কাইস ও কোকো ভেনডেওয়েথ। তার মানে, ১৯৮১ সালের পর আবারো ইউএস ওপেনের সেমিফাইনাল হতে যাচ্ছে ‘অল আমেরিকান’! তাদের আগে শেষ চার নিশ্চিত করেন যুক্তরাষ্ট্রের-ই ভেনাস উইলিয়ামস ও ¯েøায়ানে স্টেফেনস। গতকাল কাইয়া কেনেপিকে ৬-৩, ৬-৩ গেমে হারান ম্যাডিসন। আগের ম্যাচে চেক শীর্ষ বাছাই ক্যারোলিনা পিসকোভাকে ৭-৬ (৭-৪), ৬-৩ গেমে হারিয়ে হইচই ফেলে দেন ২০তম বাছাই ভেনডেওয়েথ।
ফলে আসছে সোমবার র্যাঙ্কিং টেবিলের হালনাগাদ হলে গারবিন মুগুরুজাকে দেখা যাবে এক নম্বরে। শীর্ষস্থান ধরে রাখতে ফাইনাল পর্যন্ত যেতে হতো পিসকোভাকে।
ফাইনালে ভেনডেওয়েথের প্রতিপক্ষ ম্যাডিসন। অপর সেমিফাইনালে লড়বেন ভেনাস ও স্টেফেনস। ২০ বছর আগে ফ্লাশিং মিডোয় প্রথম সেমিফাইনালে খেলেছিলেন ৩৭ বছর বয়সী ভেনাস। আসরের সবচেয়ে বেশি বয়সী সেমিফাইনালিস্ট এখন এই উইলিয়ামস বড় বোন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।