পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের হত্যা-নির্যাতন বন্ধের দাবিতে দেশে দেশে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। রোহিঙ্গাদের ওপর নিমর্মতায় অং সান সু চির নীরব ভূমিকায়ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিক্ষোভকারীরা। এদিকে রাখাইনে সেনা দমন অভিযানের মুখে দলে দলে পালিয়ে আসছে রোহিঙ্গারা। জাতিসংঘ কর্মকর্তারা ধারণা করছেন পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা তিন লাখে পৌঁছাতে পারে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির বাংলাদেশ মুখপাত্র দ্বীপায়ন ভট্টাচার্য রয়টার্সকে বলেছেন, জাতিসংঘ কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছিলেন এক লাখ ২০ হাজার শরণার্থী বাংলাদেশে আসতে পারে। এখন তারা মনে করছেন এ সংখ্যা তিন লাখে পৌঁছাতে পারে। রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রতিবাদে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় গত বুধবার বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ ও তারা বিক্ষোভ মিছিল। বিক্ষোভকারীরা সু চির পোস্টার বহন করে তার ভূমিকার নিন্দা জানায়। জাকার্তায় মিয়ানমারের দূতাবাসের বাইরেও বিক্ষোভ হয়েছে। এদিকে বিক্ষোভ হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সুরাবায়াতেও। এর আগের দিন প্রায় ১১ লাখ মানুষের বিক্ষোভ হয়েছে রাশিয়ার মস্কোতে। বিক্ষোভ হয়েছে মালয়েশিয়া, ভারতে। আর বুধবার চেচনিয়ায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ক্ষুব্ধ মানুষ। এছাড়া পাকিস্তান, জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়ায় মিয়ানমার দূতাবাসের বাইরেও বিক্ষোভ হয়েছে। এর আগে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে কিরগিজস্তান মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ বাতিল করেছে। এশিয়া কাপের বাছাইপর্বের ওই খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল মিয়ানমারে। কিরঘিজিস্তান ফুটবল ফেডারেশন বলেছে তারা অন্য কোনো দেশে গিয়ে ওই ম্যাচ খেলবে। এদিকে রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিকত্ব অথবা বৈধভাবে বসবাসের অনুমতি দিতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। সে সঙ্গে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন মহাসচিব। অ্যান্টোনিও গুতেরেস রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের কাছে লেখা চিঠিতে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এ সহিংসতা মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করবে। গত বুধবার নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের মহাসচিব বলেন, ২৪ আগস্ট রাখাইনের পুলিশ পোস্ট ও সেনাক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির হামলার যে ঘটনা ঘটেছে তার নিন্দা জানিয়েছি আমরা। কিন্তু এরপর থেকে আমরা কেবল মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সহিংসতা আর নির্বিচারে হামলার খবর পাচ্ছি। পরিস্থিতির আরও অবনতি ঠেকাতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাধানের পথ খুঁজতে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর সে দেশের সেনাবাহিনীর হত্যা-নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে এ বিষয়ে আলোচনার জন্য ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের শীর্ষস্থানীয় আলেম গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ নাসের মাকারেম শিরাজি। রয়টার্স,বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।