Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীন-ভারত সুস্থ ও স্থিতিশীল সম্পর্ক বজায় রাখার আহ্বান

মোদির সাথে শি জিনপিংয়ের বৈঠক

দি গার্ডিয়ান নাইজেরিয়া | প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ভারতের সাথে উত্তজনাপূর্ণ সীমান্ত বিরোধ পিছনে ফেলার ইচ্ছা নিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে। ৩-৫ সেপ্টেম্বর চীনের জিয়ামেন নগরীতে অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেন মোদি। চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, শি তাকে বলেছেন, দু’ পারমাণবিক শক্তিধর দেশের সুস্থ, স্থিতিশীল সম্পর্ক বজায় রাখা উচিত। চীন আয়োজিত ব্রিকস সম্মেলন চলার ফাঁকে দু’ নেতা মত বিনিময় করেন।
শি মোদিকে বলেন যে প্রতিবেশিদের মৌলিক স্বার্থের খাতিরে চীন ও ভারতের মধ্যে সুস্থ, স্থিতিশীল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রয়োজন। সরকারী সিনহুয়া বার্তা সংস্থা জানায়, শি বলেন যে রাজনৈতিক পারস্পরিক বিশ্বাসের উন্নয়ন, পারস্পরিক কল্যাণকর সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উভয় দেশের অনুসৃত শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান পঞ্চশিলা নীতির ভিত্তিতে চীন ভারতের সাথে কাজ করতে ও ভারত-চীন সম্পর্ককে সঠিক পথে চালিত করতে ইচ্ছুক।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র টুইট করেন যে দু’ নেতার মধ্যে গঠনমূলক ও অগ্রসরমুখী আলোচনা হয়েছে। উল্লেখ্য যে হিমালয় অঞ্চলের একটি বিতর্কিত কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দোকলাম নিয়ে দু’দেশের সশস্ত্র বাহিনী কয়েক সপ্তাহ ধরে মুখোমুখি অবস্থানে ছিল। চীন এবং ভারতের মিত্র ভুটান দু’দেশই দোকলামকে নিজের এলাকা বলে দাবি করে। ১৬ জুন চীনা সৈন্যরা দোকলামে রাস্তা নির্মাণ শুরু করলে দু’দেশের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে ভারত দোকলামে সৈন্য মোতায়েন করে। এ ঘটনাকে তার ভূখন্ডে ভারতীয় সৈন্যদের অনুপ্রবেশ বলে আখ্যায়িত করে চীন। দু’ দেশের পারস্পরিক অবিশ^াসের ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে কয়েক দশকের মধ্যে অন্যতম সংকটজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
চীন এ সংকট নিয়ে কোনো আলোচনায় বসার আগে বারবার ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহারের দাবি করতে থাকায় অচলাবস্থা দীর্ঘায়িত হয়। ভারত পাল্টা দু’দেশের সৈন্য একযোগে প্রত্যাহারের দাবি জানায়।
অবশেষে মাত্র গত সপ্তাহে দু’দেশ তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করে। সম্ভবত চীনে অনুষ্ঠেয় ব্রিকস শীর্ষ বৈঠকে যাতে অপ্রীতিকর ছায়া না পড়ে সে কারণেই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়।
চীন এ শীর্ষ বৈঠককে উন্নয়নশীল বিশে^র মধ্যে সংহতি হিসেবে প্রদর্শন করছে।
নয়াদিল্লী গত সপ্তাহে ঘোষণা করে যে উভয় দেশই দোকলাম থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করেছে। কিন্তু বেইজিং বলে যে শুধু ভারতই তার সকল সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সদস্য ও সরঞ্জাম প্রত্যাহার করেছে যা অবৈধভাবে চীনা ভূখন্ডে প্রবেশ করেছিল।
এরপর চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, এ ঘটনা থেকে ভারতীয় পক্ষ শিক্ষা গ্রহণ করবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ঘটা প্রতিরোধ করবে বলে চীন আশা করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ